দেশ বিদেশ
সরাইলে বাবা-মা’কে হত্যার হুমকি
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সরাইলে গিয়াস উদ্দিন (২৬) নামের এক মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে দিলেন মা ফরিদা বেগম। সরাইল সদর ইউনিয়নের মোঘলটুলা গ্রামের প্রবাসী আবদুল হোসেনের ছেলে গিয়াস। মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে গিয়াস উদ্দিনকে মাদকসহ আটক করেন সরাইল থানার এসআই আলাউদ্দিন। গতকাল বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে গিয়াসকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় হাজত থেকে ফিরে বাবা মা’কে হত্যার হুমকি দিয়েছে গিয়াস। পুলিশ, পরিবার ও অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, মোঘলটুলা গ্রামের আবদুল হোসেন। পরিবারের সুখের জন্যই জীবনের ১২-১৪ বছর কাটিয়েছেন প্রবাসে। ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে গিয়াস তৃতীয়। পিতার অনুপস্থিতিতে মা সন্তানদের পড়ালেখার জন্য চেষ্টা করেছেন। সফল হতে পারেননি। গিয়াসের এলোমেলো চলামেলা মা’কে ভাবিয়ে তোলে। গত ১০-১১ বছর আগে বিয়ে করে গিয়াস। তার রয়েছে ৮ বছর বয়সের একটি ছেলে। ৫-৬ বছর আগ থেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে গিয়াস। গাঁজা, হেরোইনসহ নানা ধরনের মাদক সেবন তার প্রাত্যহিক নিয়মে পরিণত হয়ে যায়। মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান কাউকে তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া জীবন-যাপন শুরু করে গিয়াস। মাদক ছাড়া কিছুই চিন্তা করতে পারে না। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের লোকজনের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। কেউ বাঁধা দিলে তার উপর চালায় শারীরিক নির্যাতন। সকল ফার্নিচার শেষ করে খাটগুলোও বিক্রি করে দিয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে টাকার জন্য নিয়মিত মা-বাবাকে মারধর করে আসছে। মাদকাসক্ত গিয়াস উদ্দিনের তাণ্ডবে ২ বছর আগে চলে গেছে তার স্ত্রী। গত ৪-৫ দিন ধরে মা-বাবার ওপর মাদকের টাকার জন্য আবারও অত্যাচার করছে। নিরুপায় হয়ে মা ফরিদা বেগম ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার রাতে এসআই আলাউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে বসতঘর থেকে গ্রেপ্তার করেন গিয়াসকে।
গ্রেপ্তারের পর তার পকেট থেকে গাঁজা ও দু’টি ধারালো ছোরা ও উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক সেবন, ধারালো অস্ত্র বহনের দায় স্বীকার করায় তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দণ্ডবিধির ১০৬০ এর ১৪৮ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াঙ্কা। জেলহাজতে নেয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠার সময় গিয়াস চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘ওরা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে। ফিরে এসে বাবা-মা’কে শেষ করে ফেলবো।’ গিয়াসের বাবা আবদুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ১৪ বছরের কামাই শেষ। ঘরে কিছু নেই। আমাকে সে ভিক্ষুক বানিয়েছে। আমার কোনো উপায় নেই। মা ফরিদা বেগম বলেন, গর্ভধারিণী মা তার নিজের ছেলেকে কখন জেলে দিতে বাধ্য হয় ভাবুন। তার যন্ত্রণায় আমার সংসারের সুখ-শান্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। মাদকের টাকার জন্য আমার গায়ে হাত তুলে। বাবার গায়েও হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করছে না। আল্লাহ্ যেন কারো সন্তানকে মাদকাসক্ত না বানায়।
গ্রেপ্তারের পর তার পকেট থেকে গাঁজা ও দু’টি ধারালো ছোরা ও উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক সেবন, ধারালো অস্ত্র বহনের দায় স্বীকার করায় তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও দণ্ডবিধির ১০৬০ এর ১৪৮ ধারায় ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াঙ্কা। জেলহাজতে নেয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠার সময় গিয়াস চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘ওরা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছে। ফিরে এসে বাবা-মা’কে শেষ করে ফেলবো।’ গিয়াসের বাবা আবদুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ১৪ বছরের কামাই শেষ। ঘরে কিছু নেই। আমাকে সে ভিক্ষুক বানিয়েছে। আমার কোনো উপায় নেই। মা ফরিদা বেগম বলেন, গর্ভধারিণী মা তার নিজের ছেলেকে কখন জেলে দিতে বাধ্য হয় ভাবুন। তার যন্ত্রণায় আমার সংসারের সুখ-শান্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। মাদকের টাকার জন্য আমার গায়ে হাত তুলে। বাবার গায়েও হাত তুলতে দ্বিধাবোধ করছে না। আল্লাহ্ যেন কারো সন্তানকে মাদকাসক্ত না বানায়।