বাংলারজমিন
মোংলা বন্দরে স্বামী-স্ত্রীর চাকরি: তদন্তে দুদক
বাগেরহাট প্রতিনিধি
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:২৪ পূর্বাহ্ন
মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের রাজস্ব শাখার সিনিয়র আউটডোর অ্যাসিসটেন্ট ইবনে হাসান ও একই বন্দরের প্রশাসন বিভাগে তার স্ত্রী কানিজ হাসান অবৈধ উপায়ে বাগিয়ে নিয়েছেন চাকরি। ২০১৩ সালে মোংলা বন্দরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা কোটায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার নাম না থাকলেও তারা ওই দুই জেলার বাসিন্দা হয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে কৌশলে চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়ে ইতিমধ্যেই এই দম্পতি পদোন্নতিও পেয়েছেন। এমন অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) সভাপতি মো. সাইজ উদ্দিন মিঞা জানান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক প্রশাসন হাওলাদার জাকির হোসেন, সচিব মো. হেলাল উদ্দিন ভূইয়া ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ২০১৩ সালে বন্দরের নিয়োগ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময়ে ইবনে হাসান ও তার স্ত্রী কানিজ হাসান অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছেন। এ জন্য নিয়োগ কমিটি দায়ী, আমাদের সিবিএর কোনো দায় নেই। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এ দু’জন চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে ইতিমধ্যে পদোন্নতিও পেয়েছেন। এ ব্যাপারে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি ৩ মাস হয়েছে এখানে এসেছি, এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবো না। তবে ইবনে হাসান ও কানিজ হাসানের নিয়োগ অবৈধ প্রমাণ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া বলে জানান তিনি। মোংলা বন্দর ট্রাফিক বিভাগের প্রধান পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, তাদের নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন ব্যাপারে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। এদিকে ইবনে হাসানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
এরপর আবারো তাকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওদিকে তার স্ত্রী কানিজ হাসানকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
এরপর আবারো তাকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওদিকে তার স্ত্রী কানিজ হাসানকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।