বাংলারজমিন
ধর্ষকের বাড়িতে মাদ্রাসা ছাত্রীর অনশন
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন
জুড়ী উপজেলার সাগরনাল গ্রামের ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে। রোববার থেকে অনশনে থাকা মাদ্রাসা ছাত্রীর খবর পেয়ে জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীর অনশন ভঙ্গ করান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে একদল গণমাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে পুলিশ অনশন ভাঙ্গিয়ে ছাত্রীকে তার মায়ের জিম্মায় দেন। জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুস সোবহান (কুটি) মিয়ার পুত্র জামাল মিয়া বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্থানীয় সাগরনাল সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানা-জানি হলে জামালের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নিয়ে মেয়েটির মা’সহ তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। অতঃপর মেয়েটির মা এলাকার মুরব্বিদের পরামর্শে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে মেয়েটি একটি মৃত পুত্র সন্তান জন্ম দেন হাসপাতালে। আদালত ছাত্রীর আবেদনকে আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য পিবিআই মৌলভীবাজারকে নির্দেশ দেন। মানবজমিনসহ অন্যান্য পত্রিকায় গত বছরের ৪ঠা আগস্ট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। পিবিআই কার্যালয়ে তিন দফা তলব করলেও ছাত্রীর অনুপস্থিতিতে পিবিআই মামলাটি নথিজাত করতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই খবরে ছাত্রী আদালতে উপস্থিত হয়ে পিবিআই কার্যালয়ে তলব করার সংবাদ জানেন না বলে প্রতিবেদনের উপর নারাজি পিটিশন দিলে আদালত তা গ্রহণ করে তদন্তের দায়িত্ব দেন সিআইডিকে। সিআইডিতে তদন্তাধীনে থাকার পর ধর্ষক জামাল গোপনে বড়লেখায় বিয়ে করছেন এমন খবরে ছাত্রীটি ধর্ষকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করে। এ বিষয়ে মেয়েটি জানায়, জামাল আমাকে
এখনও মন থেকে ভালবাসে বলে জানিয়েছে। কিন্তু পরিবারের চাপে সে অন্যত্র গোপনে বিয়ে করার চেষ্টা করছে। দাবি না মানলে সে আত্মহত্যা করবে। এছাড়া তার জীবনের হতাশা কাটবে না। আর এর জন্য জামালের পরিবার দায়ী থাকবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল মিয়ার সাথে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এখনও মন থেকে ভালবাসে বলে জানিয়েছে। কিন্তু পরিবারের চাপে সে অন্যত্র গোপনে বিয়ে করার চেষ্টা করছে। দাবি না মানলে সে আত্মহত্যা করবে। এছাড়া তার জীবনের হতাশা কাটবে না। আর এর জন্য জামালের পরিবার দায়ী থাকবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল মিয়ার সাথে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।