বাংলারজমিন
সাংবাদিক হতে গিয়ে হলেন গর্ভবতী
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৯ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার, ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
বেকারত্ব ঘুচাতে সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতারকের খপ্পরে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। ধর্ষণের ফুটেজ ফাঁস হওয়ার ভয়ে মুখ খুলতেও পারেননি তিনি। শেষমেশ সাংবাদিক হওয়ার আশায় নতুন আসা আরেক নারীর সহায়তায় থানায় অভিযোগ করেন দুজনেই। এ ঘটনায় সোমবার দিনগত রাতে এসটিভি২৪ ডটকম নামক ইউটিউব চ্যানেলের মালিক ও সম্পাদক শহিদুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার পুলিশ। নগরীর পাহাড়তলী থানার হাজীক্যামপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পাহাড়তলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈনুর রহমান।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে শহিদুল ইসলাম। সে নিজেকে ‘এসটিভি২৪’ নামে একটি অনলাইন টেলিভিশনের মালিক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, শহিদুলের বিরুদ্ধে দুজন নারী যৌন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিবরণে তারা এসটিভি২৪ অফিসে চাকরি করেন বলে জানান। এরমধ্যে শহিদুল দীর্ঘদিন ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এতে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সে কাউকে বলতে পারেননি। গোপন ক্যামেরায় বিশেষ মুহূর্তগুলো ধারণ করে রাখায় তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে দমিয়ে রাখা হয়। এর মাঝে চাকরিতে যোগ দেন নতুন আরেক নারী। যিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারেন। কিছুদিন পর শহিদুল নতুন আসা ওই নারীর সাথেও যৌন হয়রাণীমূলক আচরণ করা শুরু করে। যার প্রতিবাদ করেন তিনি। তবে শহিদুলের ধর্ষণে আগে আসা নারীর সাত মাসের গর্ভবতীর হওয়ার কথা শুনে ভীত হন তিনি। পরে দুজনে মিলেই আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন আসা ওই নারী বলেন, অভিযুক্ত শহিদুল গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে বলেছেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে দুজনের ভিডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়া হবে। হুমকির পরেও থেমে না থেকে পাহাড়তলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, কখনো এসটিভি ২৪ আবার কখনো বাংলা টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে হাজী ক্যামপ সারাই পাড়া লোহারপুল এলাকায় অফিস খুলে বসেন শহিদুল ইসলাম। অফিসের একটি কক্ষে মাদক সেবন ও অসামাজিক কাজ করেন তিনি। সাংবাদিক বানানোর কথা বলে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের সেখানে এনে জিম্মি করেন। সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকার মানুষকে নানা ধরনের হয়রানি করেন তিনি।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে শহিদুল ইসলাম। সে নিজেকে ‘এসটিভি২৪’ নামে একটি অনলাইন টেলিভিশনের মালিক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, শহিদুলের বিরুদ্ধে দুজন নারী যৌন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিবরণে তারা এসটিভি২৪ অফিসে চাকরি করেন বলে জানান। এরমধ্যে শহিদুল দীর্ঘদিন ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এতে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সে কাউকে বলতে পারেননি। গোপন ক্যামেরায় বিশেষ মুহূর্তগুলো ধারণ করে রাখায় তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে দমিয়ে রাখা হয়। এর মাঝে চাকরিতে যোগ দেন নতুন আরেক নারী। যিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারেন। কিছুদিন পর শহিদুল নতুন আসা ওই নারীর সাথেও যৌন হয়রাণীমূলক আচরণ করা শুরু করে। যার প্রতিবাদ করেন তিনি। তবে শহিদুলের ধর্ষণে আগে আসা নারীর সাত মাসের গর্ভবতীর হওয়ার কথা শুনে ভীত হন তিনি। পরে দুজনে মিলেই আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নতুন আসা ওই নারী বলেন, অভিযুক্ত শহিদুল গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে বলেছেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে দুজনের ভিডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়া হবে। হুমকির পরেও থেমে না থেকে পাহাড়তলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, কখনো এসটিভি ২৪ আবার কখনো বাংলা টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে হাজী ক্যামপ সারাই পাড়া লোহারপুল এলাকায় অফিস খুলে বসেন শহিদুল ইসলাম। অফিসের একটি কক্ষে মাদক সেবন ও অসামাজিক কাজ করেন তিনি। সাংবাদিক বানানোর কথা বলে বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের সেখানে এনে জিম্মি করেন। সাংবাদিক পরিচয়ে এলাকার মানুষকে নানা ধরনের হয়রানি করেন তিনি।