ষোলো আনা
আলোকিত মানুষ গড়তে চাই
৫ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
আমরা প্রতিদিন শিখি। প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কিছু শিখতে বা শিখে নিতে বাধ্য করে। আমরা ঠেকে শিখি, ঠকে শিখি, ভুল করি বিস্তর আবার ঠিক ও করে নিই। আর এই ঠিক ভুলের প্রাক্কালে শিশুকাল থেকেই মা-বাবার পরে অবদান রাখেন একজন শিক্ষক। ‘শি’তে শিষ্টাচার, ‘ক্ষ’তে ক্ষমা ‘ক’তে কর্তব্য। শিক্ষক শব্দটিকে যদি এইভাবে ভাঙা হয় তবেই বোঝা যায় একজন শিক্ষকের মধ্যে কী কী গুণ থাকে বা থাকতে হয়। বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা অ, আ, ক, খ, ১, ২ ছবি দেখে পশু-পাখি কিংবা রঙ চেনা শিখে থাকি। পরবর্তীতে শিক্ষকরা হয়ে ওঠেন চলার পথের পাথেয়।
আমি একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মনন বুদ্ধি চিন্তাকে বাস্তব রূপে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করি। আমার চেষ্টা শিক্ষার্থীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে বিকশিত করা। আমি আমার শিক্ষার্থীদের শুধু পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত রাখি না। তাদের নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের দিকেও খেয়াল রাখি। শিক্ষক হিসেবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শুধু পড়ালেই চলবে না। গড়ে তুলতে হবে লেখাপড়ায় উৎকৃষ্ট পরিস্থিতি। যাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে একঘেয়েমি চলে না আসে। আর আমি বিশ্বাস করি উৎসাহ দিলেই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
আচরণের ভিন্নতার কারণে একজন শিক্ষক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা বদলে যেতে পারে। এই কারণেই আমি কোমল আচরণ করার চেষ্টা করি। একজন শিক্ষক আগামী দিনের পথপ্রদর্শক সৃষ্টি করে। তিনিই উপহার দেবেন ভবিষ্যৎ সময়ের জন্য আলোকিত জাতি। আমার চাওয়া শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলের আগে ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক।
(লেখক পরিচিতিঃশাহজাদী সানিজিদা ইমা, সফিপুর আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কালিয়াকৈর, গাজীপুর)