শেষের পাতা

পিয়াজে এত ঝাঁজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন

হঠাৎ করেই বেড়েছে পিয়াজের দাম। দেশি পিয়াজ খুচরা বাজারে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। গতকাল সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দর অনুযায়ি এ তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা বাজারে এরচেয়েও বেশি দামে পিয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। টিসিবি’র বাজার দর অনুযায়ী, বর্তমান আমদানি করা প্রতিকেজি পিয়াজের দাম ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। সে হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৭৯.১০ শতাংশ। অন্যদিকে, বর্তমানে দেশী প্রতিকেজি পিয়াজের দর ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা। সে হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৬২.৬৫ শতাংশ।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, সহসাই বাজারে এর দাম কমে আসবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত ও আমদানির পর্যায়ে রয়েছে, তাতে সহসাই দাম কমে আসবে। এদিকে, দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে খোলাবাজারে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

গতকাল রাজধানীর ৫টি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে দেশি পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, রাজধানীর ৫টি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে। আমাদের সোর্সিং চলছে, পর্যায়ক্রমে আরও বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক সেল শুরু হবে।

ড. জাফর উদ্দিন বলেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেদেশে উৎপাদিত পিয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে, তাদের দেশে পিয়াজ সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রতি টন পিয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। এর আগে এই পিয়াজ রপ্তানি হতো ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার দরে। এর ফলে আমাদের দেশের বাজারে পিয়াজের ক্রাইসিস নয়, বাণিজ্যিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সচিব বলেন, আমি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করেছি। পিয়াজ নিয়ে আতঙ্ক থাকবে না। আমাদের আমদানি ও মজুত দুটোই সন্তোষজনক। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, দেশে পিয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন। এবার উৎপাদিত হয়েছে ২৩ লাখ ৭৬ হাজার টন। কিন্তু পিয়াজ পচনশীল পণ্য। এ কারণে উৎপাদনের ৩০ শতাংশই পচে যায়। ফলে আমাদের সাড়ে সাত লাখ টন পিয়াজের ঘাটতি হয়। আমরা এবছর আমদানি করেছি ১২ লাখ ৭১ হাজার টন। কাজেই মজুত সন্তোষজনক। বাংলাদেশে নতুন পিয়াজ উঠবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ভারতে উঠবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। নতুন পিয়াজ উঠলেই এই সংকট কেটে যাবে। সচিব জানান, ভোমরা, বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দরে এখনও ১৭ ট্রাক পিয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় আছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status