শেষের পাতা
সিলেটে অস্ত্র ও ৫৫৪০ ইয়াবাসহ ফের গ্রেপ্তার পীযূষ দে
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
তিন সহযোগীসহ সিলেটের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ পীযূষকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। অস্ত্র ও ইয়াবার চালানসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা রাতে র্যাব সদস্যরা নগরীর মীর্জা জাঙ্গাল থেকে পীযূষকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় পীযূষ তার দলবল নিয়ে নিজের আস্তানায় বসা ছিলেন। র্যাব’র অভিযানকালে পালিয়ে যায় তার অনেক সহযোগী। রাতভর তাকে র্যাব কার্যালয়ের রাখার পর সকালে প্রথমে এসএমএস’র মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পীযূষকে আটকের কথা জানায় র্যাব। পরে দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং থেকে তাকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। প্রায় দেড় বছর আগে নগরীর তালতলার হোটেল ইস্টএন্ড থেকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পীযূষ। এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা পীযূষ। ছিলেন মদন মোহন কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কও হন। বিধান গ্রুপের কর্মী হয়ে সিলেটে ছাত্রলীগের রাজনীতির হাতেখড়ি। মাঝখানে বেশ কয়েক বছর এককভাবে গ্রুপ তৈরি করে রাজনীতি করলেও কয়েক মাস আগে ফিরে গেছেন পুরনো বলয়ে। বিধানের সঙ্গে রাজনীতিতে ফের হাত মেলান।
একসঙ্গে হলেও পীযূষ তার গ্রুপ নিয়ে নগরীর জিন্দাবাজারের পশ্চিম অংশ অর্থাৎ মীর্জা জাঙ্গাল, মাছুদিঘীরপাড় এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে পীযূষ সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ কারণে রাজনীতিতেও রয়েছে তার দাপট। পীযূষের পুরো নাম পীযূষ কান্তি দে। বাড়ি নগরীর শেখঘাটের ভাঙ্গাটিকর এলাকায়। পিতা মৃত ননী গোপাল দে। গতকাল দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় র্যাব’র একটি আভিযানিক দল মীর্জা জাঙ্গাল এলাকার আনোয়ার ভিলার সামনে অভিযান চালায়। এ সময় তারা তিন সহযোগী সহ পীযূষ কান্তি দে’কে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি, ৩টি রামদা ও ৫,৫৪০ পিস ইয়াবার চালান উদ্ধার করে। পীযূষের বিরুদ্ধে ১৬ টি মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব। র্যাব জানায়- পীযূষের সঙ্গে মণিপুরী রাজবাড়ী এলাকার মৃত আশ্বিনী কুমার পালের ছেলে বাপ্পা পাল, রামের দিঘীরপাড় এলাকার মৃত পরেশ রায়ের ছেলে মন্টি রায় ও গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ীর রাণীখাইল গ্রামের রুস্তুম খানের পুত্র রায়হান খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মাসে সিলেটের পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের সামনে লন্ডন প্রবাসী তিন সহোদরের ওপর হামলা চালিয়েছিলো পীযূষ গ্রুপের কর্মীরা।
এ ঘটনার পর নতুন করে বিতর্কিত হন পীযূষ ও তার লোকজন। তবে- এ ঘটনার সঙ্গে পীযূষের সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। এ কারণে পীযূষকে বাদ রেখে তার গ্রুপের জড়িত থাকা কর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়। এর মধ্যে পীযূষের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া বাপ্পা ছিলো প্রবাসীদের ওপর হামলাকারী। সে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও। গতকাল পুলিশ বাপ্পাকে র্যাব’র দায়ের করা দু’টি মামলার আসামি ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। এদিকে- রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল সকালে র্যাব সদস্যরা পীযূষ ও তার তিন সহযোগীকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে। থানার ওসি সেলিম মিয়া গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- পীযূষের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অস্ত্র মামলা। তার কাছ থেকে যে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে সেটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া- আরেকটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। র্যাব পীযূষের আস্তানা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ মামলায় পীযূষ সহ তার তিন সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। ওসি জানান- দুই মামলার আসামি দেখিয়ে পীযূষকে গতকাল দুপুরের পর সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একসঙ্গে হলেও পীযূষ তার গ্রুপ নিয়ে নগরীর জিন্দাবাজারের পশ্চিম অংশ অর্থাৎ মীর্জা জাঙ্গাল, মাছুদিঘীরপাড় এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে পীযূষ সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ কারণে রাজনীতিতেও রয়েছে তার দাপট। পীযূষের পুরো নাম পীযূষ কান্তি দে। বাড়ি নগরীর শেখঘাটের ভাঙ্গাটিকর এলাকায়। পিতা মৃত ননী গোপাল দে। গতকাল দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় র্যাব’র একটি আভিযানিক দল মীর্জা জাঙ্গাল এলাকার আনোয়ার ভিলার সামনে অভিযান চালায়। এ সময় তারা তিন সহযোগী সহ পীযূষ কান্তি দে’কে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি, ৩টি রামদা ও ৫,৫৪০ পিস ইয়াবার চালান উদ্ধার করে। পীযূষের বিরুদ্ধে ১৬ টি মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব। র্যাব জানায়- পীযূষের সঙ্গে মণিপুরী রাজবাড়ী এলাকার মৃত আশ্বিনী কুমার পালের ছেলে বাপ্পা পাল, রামের দিঘীরপাড় এলাকার মৃত পরেশ রায়ের ছেলে মন্টি রায় ও গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ীর রাণীখাইল গ্রামের রুস্তুম খানের পুত্র রায়হান খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত মাসে সিলেটের পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের সামনে লন্ডন প্রবাসী তিন সহোদরের ওপর হামলা চালিয়েছিলো পীযূষ গ্রুপের কর্মীরা।
এ ঘটনার পর নতুন করে বিতর্কিত হন পীযূষ ও তার লোকজন। তবে- এ ঘটনার সঙ্গে পীযূষের সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। এ কারণে পীযূষকে বাদ রেখে তার গ্রুপের জড়িত থাকা কর্মীদের আসামি করে মামলা করা হয়। এর মধ্যে পীযূষের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া বাপ্পা ছিলো প্রবাসীদের ওপর হামলাকারী। সে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও। গতকাল পুলিশ বাপ্পাকে র্যাব’র দায়ের করা দু’টি মামলার আসামি ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। এদিকে- রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল সকালে র্যাব সদস্যরা পীযূষ ও তার তিন সহযোগীকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে। থানার ওসি সেলিম মিয়া গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন- পীযূষের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অস্ত্র মামলা। তার কাছ থেকে যে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে সেটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া- আরেকটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। র্যাব পীযূষের আস্তানা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ মামলায় পীযূষ সহ তার তিন সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। ওসি জানান- দুই মামলার আসামি দেখিয়ে পীযূষকে গতকাল দুপুরের পর সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।