প্রথম পাতা
সাবেক নেতাদের চোখে ছাত্রদলের কাউন্সিল
শাহনেওয়াজ বাবলু
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
সাতাশ বছর পর ভোটের মাধ্যমে হতে যাচ্ছে ছাত্রদলের নতুন কমিটি। ১৯৮০ সালে ছাত্রদলের প্রথম কাউন্সিলে এনামুল কবির শহীদ সভাপতি ও গোলাম হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় কাউন্সিলে গোলাম সারোয়ার মিলন সভাপতি ও আবুল কাশেম চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৩ সালে আবুল কাশেম চৌধুরী সভাপতি ও জালাল আহমেদ সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে জালাল আহমেদ সভাপতি ও মাহবুবুল হক বাবলু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর সবশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯২ সালে। তখন ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হন রুহুল কবির রিজভী আর সাধারণ সম্পাদক হন এম ইলিয়াস আলী। এরপর আর কোনো কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে হয়নি। সেই হিসাবে এবার ষষ্ঠবারের মতো ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ কাউন্সিল। তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে দলটির আগামীর নেতৃত্ব। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে কাউন্সিলরদের ভোটে। ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুটি পদে ভোট দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন সারাদেশের ৫৩৩ জন কাউন্সিলর। যেখানে প্রতিযোগিতা করছেন সভাপতি পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন।
কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই বদলে গেছে চিত্র। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন সারাদেশের ভোটারদের কাছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মুঠোফোনের এসএমএস, কল করে তারা আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করছেন ভোটারদের। অতীত আন্দোলন-সংগ্রামে নিজের ভূমিকা তুলে ধরছেন কাউন্সিলরদের কাছে। বর্ণনা দিচ্ছেন হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার হওয়াসহ রাজনীতির কারণে পারিবারিকভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা।
ছাত্রদলের সাবেক নেতারা মনে করছেন, এতে করে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের নেতাদের সুসম্পর্ক হচ্ছে। সবাই একে অপরকে ভাল ভাবে জানতে এবং চিনতে পারছেন। এটা ছাত্রদলের জন্য বৃহত্তর একটা শক্তি তৈরী হচ্ছে। আর এই শক্তি আগামী আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি একটি নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক দল। আর ছাত্রদলের কাউন্সিল ভোটের মাধ্যমে হচ্ছে আমাদের দলের জন্য ভাল খবর। কিছুদিন আগে ডাক্তার এসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ ড্যাবের নেতৃত্ব নির্বাচন হয়েছে ভোটের মাধ্যমে। এবারের ছাত্রদলের নির্বাচন হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে। আমি মনে করি দেশের মধ্যে যেমন গণতন্ত্র প্রয়োজন ঠিক তেমনি যে কোন দলের ভিতরেও গণতন্ত্র থাকা প্রয়োজন।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর দেশে একটা কালো অধ্যায় নেমে এসেছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছাত্রদলের কাউন্সিল। কাউন্সিলকে ঘিরে শত বাধা উপেক্ষা করে সারাদেশের ছাত্রনেতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। যেটা আগে ছিল না। আমি মনে করি এবারের কাউন্সিল আগের সব কাউন্সিলকে ছাড়িয়ে যাবে।
২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শফিউল বারী বাবু বলেন, ছাত্রদলের নির্বাচন কাউন্সিলের মাধ্যমে হওয়ায় ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে অসাধারণ সুসম্পর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এটা দলের জন্য বড় শক্তি। কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন হলে প্রার্থীরা তৃণমূলের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। যারাই পরবর্তীতে নির্বাচিত হন সবাই তৃণমূলের কথা চিন্তা করেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব পরিচালিত করে থাকেন। ২৭ বছর পর ছাত্রদলে কাউন্সিল হওয়ায় দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীই এখন দারুণ উজ্জীবিত। আমি আশা করব এর ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সভাপতির পদে থাকা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হওয়া ছাত্রদলের জন্য একটা পজেটিভ দিক। কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন হলে সঠিক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। এতে করে সংগঠন আরো শক্তিশালী হয়। এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে সাড়া পড়েছে ছাত্র নেতাদের মধ্যে।
ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল সত্যিই একটি ইতিবাচক দিক। কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কাউন্সিল হওয়ার কারণে তৃণমুল নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের নেতাদের খুব ভালো একটা বোঝাপরা হচ্ছে। যেটা আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করবে।
কাউন্সিলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সভাপতি পদে রয়েছেন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, হাফিজুর রহমান, মো. ফজলুর রহমান খোকন, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, এস এম সাজিদ হাসান বাবু, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, এবিএম মাহমুদ আলম সরদার। সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন, মো. আমিনুর রহমান আমিন, মো. জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদ জুয়েল), মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল, শাহনেওয়াজ, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), শেখ আবু তাহের, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, সাদিকুর রহমান, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. হাসান (তানজিল হাসান), মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান শরিফ, শেখ মো. মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, কাজী মাজহারুল ইসলাম।
কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই বদলে গেছে চিত্র। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন সারাদেশের ভোটারদের কাছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মুঠোফোনের এসএমএস, কল করে তারা আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করছেন ভোটারদের। অতীত আন্দোলন-সংগ্রামে নিজের ভূমিকা তুলে ধরছেন কাউন্সিলরদের কাছে। বর্ণনা দিচ্ছেন হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার হওয়াসহ রাজনীতির কারণে পারিবারিকভাবে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা।
ছাত্রদলের সাবেক নেতারা মনে করছেন, এতে করে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের নেতাদের সুসম্পর্ক হচ্ছে। সবাই একে অপরকে ভাল ভাবে জানতে এবং চিনতে পারছেন। এটা ছাত্রদলের জন্য বৃহত্তর একটা শক্তি তৈরী হচ্ছে। আর এই শক্তি আগামী আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি একটি নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক দল। আর ছাত্রদলের কাউন্সিল ভোটের মাধ্যমে হচ্ছে আমাদের দলের জন্য ভাল খবর। কিছুদিন আগে ডাক্তার এসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশ ড্যাবের নেতৃত্ব নির্বাচন হয়েছে ভোটের মাধ্যমে। এবারের ছাত্রদলের নির্বাচন হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে। আমি মনে করি দেশের মধ্যে যেমন গণতন্ত্র প্রয়োজন ঠিক তেমনি যে কোন দলের ভিতরেও গণতন্ত্র থাকা প্রয়োজন।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর দেশে একটা কালো অধ্যায় নেমে এসেছে। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছাত্রদলের কাউন্সিল। কাউন্সিলকে ঘিরে শত বাধা উপেক্ষা করে সারাদেশের ছাত্রনেতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। যেটা আগে ছিল না। আমি মনে করি এবারের কাউন্সিল আগের সব কাউন্সিলকে ছাড়িয়ে যাবে।
২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শফিউল বারী বাবু বলেন, ছাত্রদলের নির্বাচন কাউন্সিলের মাধ্যমে হওয়ায় ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে অসাধারণ সুসম্পর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এটা দলের জন্য বড় শক্তি। কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন হলে প্রার্থীরা তৃণমূলের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। যারাই পরবর্তীতে নির্বাচিত হন সবাই তৃণমূলের কথা চিন্তা করেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব পরিচালিত করে থাকেন। ২৭ বছর পর ছাত্রদলে কাউন্সিল হওয়ায় দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীই এখন দারুণ উজ্জীবিত। আমি আশা করব এর ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সভাপতির পদে থাকা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হওয়া ছাত্রদলের জন্য একটা পজেটিভ দিক। কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচন হলে সঠিক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। এতে করে সংগঠন আরো শক্তিশালী হয়। এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে সাড়া পড়েছে ছাত্র নেতাদের মধ্যে।
ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল সত্যিই একটি ইতিবাচক দিক। কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কাউন্সিল হওয়ার কারণে তৃণমুল নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের নেতাদের খুব ভালো একটা বোঝাপরা হচ্ছে। যেটা আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে শক্ত ভিত হিসেবে কাজ করবে।
কাউন্সিলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সভাপতি পদে রয়েছেন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, হাফিজুর রহমান, মো. ফজলুর রহমান খোকন, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা রুবেল, মো. এরশাদ খান, এস এম সাজিদ হাসান বাবু, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, এবিএম মাহমুদ আলম সরদার। সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন, মো. আমিনুর রহমান আমিন, মো. জুয়েল হাওলাদার (সাইফ মাহমুদ জুয়েল), মো. ইকবাল হোসেন শ্যামল, শাহনেওয়াজ, মোহাম্মদ কারিমুল হাই (নাঈম), শেখ আবু তাহের, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, মাজেদুল ইসলাম রুমন, ডালিয়া রহমান, সাদিকুর রহমান, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. হাসান (তানজিল হাসান), মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান শরিফ, শেখ মো. মশিউর রহমান রনি, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, কাজী মাজহারুল ইসলাম।