প্রথম পাতা
ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭৮০০০ ছাড়িয়েছে
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ডেঙ্গু জ্বরে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বেসরকারি হিসাবে এটা কয়েকগুণ বেশি হবে। ডেঙ্গুতে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম দিকে ডেঙ্গু জ্বর রাজধানীর প্রায় ঘরে ঘরে থাকলেও তা এক পর্যায়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দেশজুড়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুরুতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নীরব থাকলেও পরে সরব হয়ে উঠে। এখনো রোগী ভর্তির সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের মাঝে এখনও উদ্বেগ রেয়েগেছে। গতকালও সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে চারজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৩৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। রাজধানী ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে ২২১ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৪১৩ জন। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ৪৯ জন, মিটফোর্ডে ৩০ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৪ জন, বিএসএমএমইউতে ১১ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১২ জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ১৫৯ জন ভর্তি হন। বেসরকারি অন্যান্য হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৬২ জনসহ ঢাকা শহরে সর্বমোট ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভাগীয় হাসপাতালে ৪১৩ জন ভর্তি হন। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, খুলনায় ১৩৮ জন, রংপুরে ১২ জন, রাজশাহীতে ৪৪ জন, বরিশালে ৬৭ জন, সিলেটে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬১৭ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এটা কয়েকগুণ বেশি। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫ হাজার ২৫৫ জন। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ১৬৫ জন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৪৩৪ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৩১ জন।
এবছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তা পর্যালোচনার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে(আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটি এর মধ্যে ১০১টি মৃত্যু ঘটনা পর্যালোচনা করে ৬০ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত হয়েছে। এখনও পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক।
চলতি মাসের ১১ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৫২০ জন, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৫ জন, জুলাই মাসে ১৬ হাজার ২৫৩ জন, জুনে ১ হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ জন ভর্তি হন।
এদিকে গতকাল মহাখালীপশ আইইডিসিআর এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডেঙ্গুসহ যেকোনো রোগের প্রাদুর্ভাবকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদন তৈরিতে কৌশলী হতে হবে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় এমন প্রতিবেদন কৌশল করে লিখতে হবে, প্রয়োজনে পরিহার করতে হবে। আবার কখনও কখনও মানুষকে সচেতন করার স্বার্থে ইচ্ছে করেই আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হবে। চলতি বছর বিশ্বের ১২৭টি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় জানিয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশসহ কোনো দেশ আগে থেকে বুঝতে পারেনি ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এতটা বাড়বে। তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে এ বছর শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। ডেঙ্গুতে একজন মানুষের মৃত্যুও কাম্য নয় মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ডেঙ্গুতে মৃতের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা অনেক কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তদের মধ্যে এক শতাংশের নিচে মৃত্যুবরণ করলে তা সহনীয় বলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে মৃত্যু হার দশমিক ২ শতাংশ। অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। তবে এ বছরের মতো এত বেশি হবে না। এ বছর যেভাবে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে অতীতে কখনও এমন হয়নি বলেও দাবি করেন মহাপরিচালক। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরারা অনুষ্ঠানে কিছু তথ্য তুলে ধরে বলেন, এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ আর ৩৭ শতাংশ নারী। ১৮ বছরের নিচে ৩২ শতাংশ শিশু রয়েছে। ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯৪ জনের উপর জরিপ চালিয়ে তারা দেখতে পেয়েছেন ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ঢাকায় ভ্রমণের কারণে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগেছেন। যাদের বেশির ভাগ তিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন। পেশা ভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী, ৩৭ শতাংশ চাকরিজীবী, ১৩ শতাংশ গৃহকর্মী, ৫ শতাংশ ব্যবসায়ী এবং ৮ শতাংশ অন্যান্যরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উপরে জোর দিয়েছেন গবেষকরা। পরীক্ষার নিরীক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণাগারে ২৭ হাজার ৭৪২ জনের ( ১লা মে থেকে ১৮ই আগস্ট পর্যন্ত) নমুনা থেকে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশে এনএস১ পজেটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ডেঙ্গু আছে। বাকি ৮২ দশমিক ৩ শতাংশে নেগেটিভ ছিল।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৩৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। রাজধানী ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে ২২১ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৪১৩ জন। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ৪৯ জন, মিটফোর্ডে ৩০ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৪ জন, বিএসএমএমইউতে ১১ জন, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১২ জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ১৫৯ জন ভর্তি হন। বেসরকারি অন্যান্য হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৬২ জনসহ ঢাকা শহরে সর্বমোট ২২১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভাগীয় হাসপাতালে ৪১৩ জন ভর্তি হন। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৮৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫১ জন, খুলনায় ১৩৮ জন, রংপুরে ১২ জন, রাজশাহীতে ৪৪ জন, বরিশালে ৬৭ জন, সিলেটে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬১৭ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এটা কয়েকগুণ বেশি। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫ হাজার ২৫৫ জন। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩ হাজার ১৬৫ জন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৪৩৪ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৩১ জন।
এবছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তা পর্যালোচনার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে(আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। সংস্থাটি এর মধ্যে ১০১টি মৃত্যু ঘটনা পর্যালোচনা করে ৬০ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত হয়েছে। এখনও পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক।
চলতি মাসের ১১ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ৫২০ জন, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৫ জন, জুলাই মাসে ১৬ হাজার ২৫৩ জন, জুনে ১ হাজার ৮৮৪ জন, মে মাসে ১৯৩ জন, এপ্রিলে ৫৮ জন, মার্চে ১৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ জন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ জন ভর্তি হন।
এদিকে গতকাল মহাখালীপশ আইইডিসিআর এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডেঙ্গুসহ যেকোনো রোগের প্রাদুর্ভাবকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদন তৈরিতে কৌশলী হতে হবে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় এমন প্রতিবেদন কৌশল করে লিখতে হবে, প্রয়োজনে পরিহার করতে হবে। আবার কখনও কখনও মানুষকে সচেতন করার স্বার্থে ইচ্ছে করেই আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হবে। চলতি বছর বিশ্বের ১২৭টি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় জানিয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশসহ কোনো দেশ আগে থেকে বুঝতে পারেনি ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এতটা বাড়বে। তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে এ বছর শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল। ডেঙ্গুতে একজন মানুষের মৃত্যুও কাম্য নয় মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ডেঙ্গুতে মৃতের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা অনেক কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তদের মধ্যে এক শতাংশের নিচে মৃত্যুবরণ করলে তা সহনীয় বলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে মৃত্যু হার দশমিক ২ শতাংশ। অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। তবে এ বছরের মতো এত বেশি হবে না। এ বছর যেভাবে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে অতীতে কখনও এমন হয়নি বলেও দাবি করেন মহাপরিচালক। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরারা অনুষ্ঠানে কিছু তথ্য তুলে ধরে বলেন, এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ আর ৩৭ শতাংশ নারী। ১৮ বছরের নিচে ৩২ শতাংশ শিশু রয়েছে। ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯৪ জনের উপর জরিপ চালিয়ে তারা দেখতে পেয়েছেন ৫৯ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ ঢাকায় ভ্রমণের কারণে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগেছেন। যাদের বেশির ভাগ তিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন। পেশা ভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী, ৩৭ শতাংশ চাকরিজীবী, ১৩ শতাংশ গৃহকর্মী, ৫ শতাংশ ব্যবসায়ী এবং ৮ শতাংশ অন্যান্যরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উপরে জোর দিয়েছেন গবেষকরা। পরীক্ষার নিরীক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণাগারে ২৭ হাজার ৭৪২ জনের ( ১লা মে থেকে ১৮ই আগস্ট পর্যন্ত) নমুনা থেকে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশে এনএস১ পজেটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ডেঙ্গু আছে। বাকি ৮২ দশমিক ৩ শতাংশে নেগেটিভ ছিল।