বাংলারজমিন
ভৈরবে গৃহকর্মীকে অমানুষিক নির্যাতন: স্বামী-স্ত্রী আটক
ভৈরব প্রতিনিধি
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাদিয়া বেগম (১৮) নামে এক গৃহকর্মীকে লাঠিপেটা ও গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকাসহ অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী ও স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় সাদিয়াকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সাদিয়ার পিতার নাম মরহুম জামাল মিয়া এবং বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার সিংগেরকান্দা গ্রামে। সাদিয়া বাবা-মা হারা একজন এতিম সন্তান। পুলিশের হাতে আটক হওয়া স্বামী-স্ত্রী হলেন, ভৈরব বাজারের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার কন্যা গৃহকর্ত্রী মেহেরুন্নেছা অপি এবং তার স্বামী উপজেলার শিমুলকান্দি গ্রামের হাজী উসমান গণির ছেলে তানভীর রাফসান সাদলী। জানা গেছে, সাত বছর আগে সাদিয়া বেগম তার দূর সম্পর্কের এক খালার মাধ্যমে ভৈরব বাজারের গৃহকর্ত্রী মেহেরুন্নেছা অপির বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে আসে। প্রথম দিকে তাকে কাজের জন্য কোনো নির্যাতন করা হতো না। কয়েক বছর যাওয়ার পর কাজ করতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় যখন তখন তাকে মারধরসহ প্রায়ই তার হাতে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিত। অনেক সময় তার হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করা হতো। তাকে কখনো বাসার বাইরে যেত দিত না। এমন কি গৃহকর্ত্রী বাসার বাইরে গেলে তাকে তালাবদ্ধ করে ঘরে রেখে যেত।
সাদিয়া জানায়, সোমবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কাজের সময় একটি চুড়ি ভেঙে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। গরম পানি ঢেলে দেয়। ছুরি দিয়া কপালে আঘাত করে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেরে ফেলতে চায়। এরপর রাতে গোপনে সে বাসা থেকে পালিয়ে একপর্যায়ে খালার ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. ফেরদৌস হায়দার জানান, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতগুলো গুরুতর বলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, কাজের মেয়ে সাদিয়াকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে সাদিয়ার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা দু’জনকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাদিয়া জানায়, সোমবার (৯ই সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কাজের সময় একটি চুড়ি ভেঙে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। গরম পানি ঢেলে দেয়। ছুরি দিয়া কপালে আঘাত করে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেরে ফেলতে চায়। এরপর রাতে গোপনে সে বাসা থেকে পালিয়ে একপর্যায়ে খালার ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. ফেরদৌস হায়দার জানান, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতগুলো গুরুতর বলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, কাজের মেয়ে সাদিয়াকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে সাদিয়ার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তারা দু’জনকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।