বাংলারজমিন
গরুর শরীরে ‘লামথি স্কিন ডিজিজ’
আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৭:৩০ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহে ‘লামথি স্কিন ডিজিজ’ নামে একটি নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার গরু। যে কারণে গরু পালকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পশু সম্পদ কর্মকর্তারা এই রোগ নিয়ে বিচলিত না হয়ে খামারি ও গরু পালকদের মশারির মধ্যে গরু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আক্রান্ত গরুগুলোর প্রথমে পা ফুলে যাচ্ছে, এরপর শরীরে প্রচণ্ড জ্বর আসছে। এই জ্বর থাকা অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যে গরুর গোটা শরীরে বসন্তের মতো গুটি গুটি ফোসকা বের হচ্ছে। এরপর ফোসকাগুলো ঘাঁয়ে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। বাংলাদেশে কখনো এই রোগ দেখা যায়নি। ৯০ এর দশকে আফ্রিকাতে এই রোগ দেখা দিয়েছিল। এই রোগ মশার কামড় থেকেই ছড়া। বাংলাদেশের অনেক স্থানেই এখন এই রোগ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা গরুগুলো মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। গরুর মালিক জানান, এই রোগে আক্রান্ত গরুগুলো কোনো কিছুই খেতে পারছে না। ফলে দ্রুতই তারা রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলার নিয়ামতপুর, মালিয়াট, জামাল ও কোলা ইউনিয়নে এর প্রাদুর্ভাবটা বেশি। সরজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের গোয়ালে হালের বলদ, দুধের গাভী, সদ্যজাত বাছুরসহ সব বয়সের গরুই এই রোগে আক্রান্ত। কালীগঞ্জের পার-খালকুলা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি দুধের গাভীর পেছনের একটি পা ফুলে আছে। গাভীটির সারা শরীরে বসন্তের মতো গুটি গুটি বের হয়েছে। একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ইমারত মণ্ডলের ২ টি গরুর। তালিয়ান গ্রামের নারায়ণ বিশ্বাস জানান, তার গোয়ালের মোট ৪টি গরুর পা ফুলে গায়ে ফোসকা বের হয়েছে। তার একটি বড় বলদের অবস্থা খুবই খারাপ। পায়ের ফোলা স্থানে ক্ষত হয়ে পচন ধরেছে। ডাউটি গ্রামের কৃষক লিখন তরফদার জানান, তার হাল চাষের ৩ টি বড় বলদের অবস্থা বেশ খারাপ। স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খাওয়াচ্ছেন, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। একাধিক পশু চিকিৎসকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, উল্লিখিত গ্রাম ছাড়াও হরদেবপুর, বাগডাঙ্গা, উল্ল্যা, তালিয়ান, কাবিলপুর, বাসুদেবপুর, হুদা-ডাউটি, বড়-বায়সা, চুকাইতলা, খেদাপাড়া, রামচন্দ্রপুর, খালকুলা, ময়ধরপুর, কোলা, কাদিরডাঙ্গা, কামালহাট, দৌলতপুর, খড়িকাডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামগুলোর গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। তারা জানান, দিন যতই যাচ্ছে, এই রোগ ততই ছড়াচ্ছে। নতুন নতুন গ্রামে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুজ্জামান জানান, এই রোগটি শুধু কালীগঞ্জ উপজেলায় নয়, দেশের অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে। লামথি স্কিন ডিজিজ (ষঁসঢ়যু ংশরহ ফরংবধংবং) বলে এক ধরনের ভাইরাস এটা। ইতিপূর্বে এই রোগ দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা কম। তবে গরুর শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, এই রোগ দেখা দিলে অন্য গরু থেকে আক্রান্ত গরুটি আলাদা করে রাখতে হবে। কারণ রোগটি মশার মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে, সেজন্য রোগাক্রান্ত গরুটি অবশ্যই মশারির মধ্যে রাখতে হবে। আক্রান্ত গরুর জ্বর হলে দ্রুত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে। আর এভাবে ৪ থেকে ৫ দিন অতিবাহিত হলে যদি ক্ষত জায়গা বেশি খারাপ হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এটা কোনো মরণব্যাধি নয়।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আক্রান্ত গরুগুলোর প্রথমে পা ফুলে যাচ্ছে, এরপর শরীরে প্রচণ্ড জ্বর আসছে। এই জ্বর থাকা অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যে গরুর গোটা শরীরে বসন্তের মতো গুটি গুটি ফোসকা বের হচ্ছে। এরপর ফোসকাগুলো ঘাঁয়ে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। বাংলাদেশে কখনো এই রোগ দেখা যায়নি। ৯০ এর দশকে আফ্রিকাতে এই রোগ দেখা দিয়েছিল। এই রোগ মশার কামড় থেকেই ছড়া। বাংলাদেশের অনেক স্থানেই এখন এই রোগ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা গরুগুলো মশারির মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। গরুর মালিক জানান, এই রোগে আক্রান্ত গরুগুলো কোনো কিছুই খেতে পারছে না। ফলে দ্রুতই তারা রোগাক্রান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এই রোগ দেখা দিয়েছে। তবে উপজেলার নিয়ামতপুর, মালিয়াট, জামাল ও কোলা ইউনিয়নে এর প্রাদুর্ভাবটা বেশি। সরজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের গোয়ালে হালের বলদ, দুধের গাভী, সদ্যজাত বাছুরসহ সব বয়সের গরুই এই রোগে আক্রান্ত। কালীগঞ্জের পার-খালকুলা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি দুধের গাভীর পেছনের একটি পা ফুলে আছে। গাভীটির সারা শরীরে বসন্তের মতো গুটি গুটি বের হয়েছে। একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ইমারত মণ্ডলের ২ টি গরুর। তালিয়ান গ্রামের নারায়ণ বিশ্বাস জানান, তার গোয়ালের মোট ৪টি গরুর পা ফুলে গায়ে ফোসকা বের হয়েছে। তার একটি বড় বলদের অবস্থা খুবই খারাপ। পায়ের ফোলা স্থানে ক্ষত হয়ে পচন ধরেছে। ডাউটি গ্রামের কৃষক লিখন তরফদার জানান, তার হাল চাষের ৩ টি বড় বলদের অবস্থা বেশ খারাপ। স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খাওয়াচ্ছেন, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। একাধিক পশু চিকিৎসকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, উল্লিখিত গ্রাম ছাড়াও হরদেবপুর, বাগডাঙ্গা, উল্ল্যা, তালিয়ান, কাবিলপুর, বাসুদেবপুর, হুদা-ডাউটি, বড়-বায়সা, চুকাইতলা, খেদাপাড়া, রামচন্দ্রপুর, খালকুলা, ময়ধরপুর, কোলা, কাদিরডাঙ্গা, কামালহাট, দৌলতপুর, খড়িকাডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রামগুলোর গরুর শরীরে এই রোগ দেখা দিয়েছে। তারা জানান, দিন যতই যাচ্ছে, এই রোগ ততই ছড়াচ্ছে। নতুন নতুন গ্রামে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বাড়ছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আতিকুজ্জামান জানান, এই রোগটি শুধু কালীগঞ্জ উপজেলায় নয়, দেশের অনেক স্থানে দেখা দিয়েছে। লামথি স্কিন ডিজিজ (ষঁসঢ়যু ংশরহ ফরংবধংবং) বলে এক ধরনের ভাইরাস এটা। ইতিপূর্বে এই রোগ দেখা যায়নি। তিনি বলেন, এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটা কম। তবে গরুর শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, এই রোগ দেখা দিলে অন্য গরু থেকে আক্রান্ত গরুটি আলাদা করে রাখতে হবে। কারণ রোগটি মশার মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে, সেজন্য রোগাক্রান্ত গরুটি অবশ্যই মশারির মধ্যে রাখতে হবে। আক্রান্ত গরুর জ্বর হলে দ্রুত প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে। আর এভাবে ৪ থেকে ৫ দিন অতিবাহিত হলে যদি ক্ষত জায়গা বেশি খারাপ হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এটা কোনো মরণব্যাধি নয়।