বাংলারজমিন
বগুড়ায় নারী, রায়পুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ
বগুড়া প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার শহরের তিয়রপাড়া নামক স্থানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। গত রোববার রাতে বখাটেরা ওই নারীকে ভ্যান থেকে নামিয়ে নিরাপদস্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। এক সন্তানের মা ধর্ষিতা ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এবিষয়ে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফেরদৌস আলী জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী একটি পর্যটন কেন্দ্রে পান-সিগারেটসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রোববার সন্ধ্যায় সে দোকান বন্ধ করে চাচাতো ভাই সুজন আলীকে সঙ্গে নিয়ে শহরের পার্শ্বে কাশিমালা গ্রামে তার অসুস্থ ফুফুকে দেখতে যাচ্ছিল। তাদের বহন করা ভ্যান সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের তিয়রপাড়া খাড়ীর ব্রিজে পৌঁছা মাত্র সেখানে অবস্থান করা ১২ থেকে ১৪ জন বখাটে যুবক ভ্যান আটকিয়ে যাত্রী সুজন এবং ভ্যানচালক রকিকে ধরে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর মারপিট শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়। তখন বখাটেরা ভ্যানের অপর ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নারীর নিকট থেকে কয়েক হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার পর ভ্যান থেকে টেনেহিঁচড়ে নেমে নিয়ে খাল পাড়ের নির্জন স্থানে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই নারীর স্বজনরা রাতের আঁধারে ওই স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে দমদমা গ্রামের নিকট খালের বাঁধ থেকে ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সান্তাহার শহর পাশের নওগাঁ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সে বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরিপোর্ট পাঠানো সময় পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আনিছুর রহমান বলেন, এব্যাপারে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি মামলার তদন্ত ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর অপরাধীদের আটকের স্বার্থে আটক যুবকের পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রায়পুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঝাউডগী গ্রাম থেকে মামলার প্রধান আসামি রাজিব হোসেন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে গতকাল সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার রাজিব উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলগীর হোসেনের ছেলে। অন্য আসামিরা হলো একই এলাকার রাকিব ও হৃদয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরবংশী এস.এম. আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মামার বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মেঘনা বাজার এলাকা থেকে মামলার আসামি রাজিব, রাকিব ও হৃদয় জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এই সময় পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে অচেতন হয়ে পড়লে হাত পা বেধে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। শনিবার রাতে স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে হাত পায়ের বাঁধন খুলে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অভিভাবকদের খবর দেয়। পরে অভিভাবকরা এসে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। এই ব্যাপারে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, গণর্ধষণের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রায়পুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঝাউডগী গ্রাম থেকে মামলার প্রধান আসামি রাজিব হোসেন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে গতকাল সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার রাজিব উপজেলার চর জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আলগীর হোসেনের ছেলে। অন্য আসামিরা হলো একই এলাকার রাকিব ও হৃদয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরবংশী এস.এম. আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী মামার বাড়ি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মেঘনা বাজার এলাকা থেকে মামলার আসামি রাজিব, রাকিব ও হৃদয় জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এই সময় পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে অচেতন হয়ে পড়লে হাত পা বেধে ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। শনিবার রাতে স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে হাত পায়ের বাঁধন খুলে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অভিভাবকদের খবর দেয়। পরে অভিভাবকরা এসে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। এই ব্যাপারে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, গণর্ধষণের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।