বাংলারজমিন
১১ ছাত্রীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোরপূর্বক ১১ ছাত্রীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা ও দপ্তরির বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন অভিভাবক ও স্বজনরা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে গতকাল অভিযোগের তদন্তে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মশিউল আজম হীরক। দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সরজমিন জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের অবস্থিত ২৯নং ডিএম খালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বৃহস্পতিবার ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির সাথী, মারিয়া, তাজরিন, ফাহমিদা, সুমাইয়া, শ্রাবন্তি, ইতি, ফারহানা, নাহিদা ও ফাতেমাসহ ১১ ছাত্রীর চুল কেটে দেয় বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী জুমান। জুমান চুলকাটতে এলে ছাত্রীরা বারবার নিষেধ করে কিন্তু প্রধান শিক্ষক কাবেরী গোপ দাঁড়িয়ে থেকে জুমানকে চুল কাটতে হুকুম করেন। জোরপূর্বক ছাত্রীদের চুল কেটে দেয় জুমান। এতে ছাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করে। আশপাশ থেকে অভিভাবকরা এগিয়ে এলে প্রধান শিক্ষক কাউকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি। ছেলে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী মেয়েদের চুল কেটে দিয়েছে এ খবর জানাজানি হওয়ায় লজ্জায় ভেঙে পড়েছে ছাত্রীরা। কেউ কেউ বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাবেরী গোপ বলেন, আমি মাস খানেক আগে মা সমাবেশে মেয়েদের চুল সেটিং করে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা আমার কথা বুঝে নাই। তাই আমরা উপস্থিত থেকে দপ্তরিকে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করতে মেয়েদের চুল কেটেছি। এ নিয়ে কিছু লোক প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, আমি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করতে বলেছি।