বাংলারজমিন
পাট নিয়ে ভোগান্তিতে মণিরামপুরের চাষিরা
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
পাট নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই যশোরের মণিরামপুরের চাষিদের। চাহিদামতো বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিদের এ ভোগান্তির কারণ। চাষিরা বর্তমানে জমি থেকে পাট কাটতেও পারছেন না পানির অভাবে। আবার কেউ কেউ পাট কেটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পাট পচানো নিয়ে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। এখানকার চাষিরা মূলত শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে জমি থেকে পাট কেটে আমন ধান চাষ করে থাকেন। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার তা সম্ভব হচ্ছে না, ফলে দুশ্চিন্তায় ও ভোগান্তিতে রয়েছেন চাষিরা। উপজেলার দেবীদাসপুর গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৪৪ শতক জমিতে পাট চাষ করে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। জমি থেকে পাট কেটে পচন দেয়ার জায়গা না পেয়ে রাস্তায় ফেলে রেখেছি। যা নষ্ট হচ্ছে। একই কথা বললেন, উপজেলার আম্রঝুটা গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম ও মকবুল হোসেন।
আগরহাটি গ্রামের চাষি জালাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষ করে এমন বিপদে পড়েছি মনে হচ্ছে আর কখনো পাট চাষ করবো না। তিনি বলেন, এ বছরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় খালে-বিলে কোথাও নেই পানি। পাট নিয়ে কোথাও পচানোর জায়গা মিলছে না।
ক্ষেতের পাট শুকিয়ে জ্বালানি তৈরি করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, পাট নিয়ে চাষিরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন, এমতাবস্থায় চাষিদের রিবন পদ্ধতি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
আগরহাটি গ্রামের চাষি জালাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষ করে এমন বিপদে পড়েছি মনে হচ্ছে আর কখনো পাট চাষ করবো না। তিনি বলেন, এ বছরে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় খালে-বিলে কোথাও নেই পানি। পাট নিয়ে কোথাও পচানোর জায়গা মিলছে না।
ক্ষেতের পাট শুকিয়ে জ্বালানি তৈরি করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, পাট নিয়ে চাষিরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন, এমতাবস্থায় চাষিদের রিবন পদ্ধতি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।