অনলাইন
ছাত্রদলের কাউন্সিল
মেহেদীর পক্ষে তারেক রহমানের কাছে তৃণমূলের আবেদন
স্টাফ রিপোর্টার
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল। ২৭ বছর পর ভোটের মাধ্যমে হতে যাচ্ছে বিএনপির ভ্যানগার্ড খ্যাত দলটির নতুন নেতৃত্ব। এই উপলক্ষে গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১১০ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। পরে ৭৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ২৭ আগষ্ট ৪৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে বাছাই কমিটি। এই বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ৩০ জন প্রার্থী। এই বাদের তালিকায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি ও কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী আল মেহেদী তালুকদার। বিবাহিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে তাকে বাদ দেয়া হয় বলে জানায় বাছাই কমিটি। পরে তিনি আপিল কমিটি বরাবর আবেদন করলেও সেটা আমলে নেয়নি আপিল কমিটি। রোববার মেহেদী তালুকদারের প্রাথীতা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর আবেদন করে ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতারা। যদিও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
খোলা আবেদনে বলা হয়েছে, আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম ছাত্রসংঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা শত দুঃখ-দুর্দশার মাঝে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কে আনন্দ প্লাবনে প্লাবিত করছে। আমরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে যোগ্য-দক্ষ-বলিষ্ঠ নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যে নেতৃত্ব আগামী দিনে অবৈধ নিশিরাতের সরকার কে হটিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিবে এবং সংবিধানের চারটি মূলনীতির অন্যতম স্তম্ভ গণতন্ত্র কে সু-সংহত করবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ছাত্রসংঠন টি সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সারা বাংলার ছাত্রসমাজ কে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিজয় নিশান উদিত করে চলছে, পাশাপাশি কিছু ছদ্মবেশধারী অনভিপ্রেত, কলঙ্কিত বেঈমান নেতৃত্ব জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে প্রতারণা করে শহীদ জিয়ার রক্তের সাথে হুলি খেলায় মেতেছে। আপনি অবশ্যই লক্ষ করেছেন, আপনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাউন্সিলে অংশগ্রহণকারী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের এস এস সি পাশের সাল ২০০০ উল্লেখ করায় দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সরকারের অনুচরেরা তথাকথিত বিদ্রোহ সংঘটনের চেষ্টা করে। কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই সিন্ডিকেট দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী কে নেতৃত্বে নিয়ে আসার জন্য পাশের সাল ২০০০ করা হয়। অথচ আমরা লক্ষ্য করলাম কাউন্সিলে অংশগ্রহনের প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া থেকে ভুয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তার প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রায়শই সংশয়ে পড়ে যাচ্ছি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল কেন্দ্র করে বিভিন্ন কমিটির অসংগত আচরণে আমরা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। আল-মেহেদী তালুকদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বিভ্রান্ত, প্রতিহিংসাপরায়ণ ও বানোয়াট। নিম্নের কয়েকটি বিষয় একটু লক্ষ্য করলে তা বুঝা যায়
]১. উল্লেখিত রেজেস্ট্রিতে বর ও কনের ভোটার আইডি এবং আঙ্গুলের ছাপ নাই।
২. কনের ঠিকানা অনুযায়ী কোন মানুষের সন্ধান বাংলাদেশে নাই
৩. নির্বাচন কমিশন অফিস ও পাসপোর্ট অফিসে তথ্য অনুযায়ী কনের কোন ঠিকানা নাই
৪. উল্লেখিত কনের জন্মতারিখের সাথে ভোটার আইডি ও পাসপোর্টের জন্ম তারিখের মিল নাই
৫. উল্লেখিত কনে হলফনামায় নোটারী করে ঘোষণা করেন যে, তাদের মধ্যে কোন বৈবাহিক সম্পর্ক নাই বা ছিলনা।তারা বিশ্ব বিদ্যালয় জীবনে বন্ধু ছিলেন
৬. দুজনের পাসপোর্টে অবিবাহিত উল্লেখ রয়েছে
তাহলে কি করে এমন একজন পোড় খাওয়া রাজপথের কর্মীকে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তথাকথিত সিন্ডিকেট বাদ দেয়, তা তৃণমূল নেতাকর্মীদের বোধগম্য নয়। আমরা আশাহত হই এই কারণে যখন জানতে পারি আল-মেহেদি তালুকদার সকল তথ্য-প্রমাণাদি আপিল কমিটিতে দাখিলের করলেও কোন রূপ যাচাই-বাছাই ব্যতিরেক তথাকথিত চূড়ান্ত প্রার্থীতা ঘোষণা করে সারা বাংলার ছাত্রসমাজের সাথে নির্মম প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিতে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে আল মেহেদী তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, আমি শুনেছি তৃণমূলের নেতারা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়ার একটি আবেদন করেছে। তৃণমূলের ছাত্রনেতারা আমার প্রতি তাদের ভালবাসার জায়গা থেকেই এটা করেছে। আর যে কারণে আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে সেই বিষয় আপিল কমিটির কাছে আমি পরিস্কার ব্যাখা এবং প্রমাণ দিয়েছি। যদিও ওনার বলেছেন বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত এর কোন সঠিক জবাব পাইনি। আশা করছি আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ২৭ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। চূড়ান্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
খোলা আবেদনে বলা হয়েছে, আপনি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম ছাত্রসংঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা শত দুঃখ-দুর্দশার মাঝে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কে আনন্দ প্লাবনে প্লাবিত করছে। আমরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে যোগ্য-দক্ষ-বলিষ্ঠ নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যে নেতৃত্ব আগামী দিনে অবৈধ নিশিরাতের সরকার কে হটিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিবে এবং সংবিধানের চারটি মূলনীতির অন্যতম স্তম্ভ গণতন্ত্র কে সু-সংহত করবে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ছাত্রসংঠন টি সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সারা বাংলার ছাত্রসমাজ কে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিজয় নিশান উদিত করে চলছে, পাশাপাশি কিছু ছদ্মবেশধারী অনভিপ্রেত, কলঙ্কিত বেঈমান নেতৃত্ব জাতীয়তাবাদী আদর্শের সাথে প্রতারণা করে শহীদ জিয়ার রক্তের সাথে হুলি খেলায় মেতেছে। আপনি অবশ্যই লক্ষ করেছেন, আপনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাউন্সিলে অংশগ্রহণকারী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের এস এস সি পাশের সাল ২০০০ উল্লেখ করায় দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সরকারের অনুচরেরা তথাকথিত বিদ্রোহ সংঘটনের চেষ্টা করে। কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই সিন্ডিকেট দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল সভাপতি মেহেদী কে নেতৃত্বে নিয়ে আসার জন্য পাশের সাল ২০০০ করা হয়। অথচ আমরা লক্ষ্য করলাম কাউন্সিলে অংশগ্রহনের প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া থেকে ভুয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তার প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রায়শই সংশয়ে পড়ে যাচ্ছি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল কেন্দ্র করে বিভিন্ন কমিটির অসংগত আচরণে আমরা ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। আল-মেহেদী তালুকদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বিভ্রান্ত, প্রতিহিংসাপরায়ণ ও বানোয়াট। নিম্নের কয়েকটি বিষয় একটু লক্ষ্য করলে তা বুঝা যায়
]১. উল্লেখিত রেজেস্ট্রিতে বর ও কনের ভোটার আইডি এবং আঙ্গুলের ছাপ নাই।
২. কনের ঠিকানা অনুযায়ী কোন মানুষের সন্ধান বাংলাদেশে নাই
৩. নির্বাচন কমিশন অফিস ও পাসপোর্ট অফিসে তথ্য অনুযায়ী কনের কোন ঠিকানা নাই
৪. উল্লেখিত কনের জন্মতারিখের সাথে ভোটার আইডি ও পাসপোর্টের জন্ম তারিখের মিল নাই
৫. উল্লেখিত কনে হলফনামায় নোটারী করে ঘোষণা করেন যে, তাদের মধ্যে কোন বৈবাহিক সম্পর্ক নাই বা ছিলনা।তারা বিশ্ব বিদ্যালয় জীবনে বন্ধু ছিলেন
৬. দুজনের পাসপোর্টে অবিবাহিত উল্লেখ রয়েছে
তাহলে কি করে এমন একজন পোড় খাওয়া রাজপথের কর্মীকে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তথাকথিত সিন্ডিকেট বাদ দেয়, তা তৃণমূল নেতাকর্মীদের বোধগম্য নয়। আমরা আশাহত হই এই কারণে যখন জানতে পারি আল-মেহেদি তালুকদার সকল তথ্য-প্রমাণাদি আপিল কমিটিতে দাখিলের করলেও কোন রূপ যাচাই-বাছাই ব্যতিরেক তথাকথিত চূড়ান্ত প্রার্থীতা ঘোষণা করে সারা বাংলার ছাত্রসমাজের সাথে নির্মম প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিতে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে আল মেহেদী তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, আমি শুনেছি তৃণমূলের নেতারা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়ার একটি আবেদন করেছে। তৃণমূলের ছাত্রনেতারা আমার প্রতি তাদের ভালবাসার জায়গা থেকেই এটা করেছে। আর যে কারণে আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে সেই বিষয় আপিল কমিটির কাছে আমি পরিস্কার ব্যাখা এবং প্রমাণ দিয়েছি। যদিও ওনার বলেছেন বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত এর কোন সঠিক জবাব পাইনি। আশা করছি আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর ২৭ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। চূড়ান্ত প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।