বাংলারজমিন

রূপগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল দখল

দুর্ভোগে ৫০০ পরিবার

জয়নাল আবেদীন জয়, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:২৫ পূর্বাহ্ন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩ সহোদর ভাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল দখল করে শিল্পকারখানা নির্মাণ করার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে ৫০০ পরিবার। বেড়িবাঁধের ভেতরের স্থানীয় পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি সংকুলান থাকায় জলাবদ্ধতায় এ দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ এলাকার জনসাধারণকে। বছরের অর্ধেক সময় রাস্তাঘাটসহ অনেক ঘরবাড়ি থাকে জলমগ্ন থাকে। এছাড়া বছরজুড়েই এলাকার বাসিন্দারা পানিবাহী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত থাকেন। অথচ প্রভাবশালী তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই কারো। উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নলপাথর এলাকায় এই জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নথপাথর, ডুলুরদিয়া, হাটাব, ত্রিশকাহনীয়া, বাড়ৈপাড়া গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য ইরিগেশন প্রজেক্টের আওয়ায় ২ যুগ আগে একটি খাল খনন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেখানে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদের জন্য পানি সরবারহের পাশাপাশি বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশন করে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্প (এনএনডি) খালে ফেলা হতো। কিন্তু গত ২ বছর ধরে খালটির সামনের অংশের নলপাথর এলাকার বাইপাস সড়ক এলাকায় পানি ভরাট করে ৩টি টেক্সটাইল মিলের কারখানা নির্মাণ করেন স্থানীয় হাজী মুলামদি ভূঁইয়ার ৩ ছেলে কবির হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন ও শাজাহান। এ কারণে সেখানে ৩৩ ফিটের খাল রূপ নিয়েছে ৩ ফিটে। এ কারণে সে এলাকায় পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্লুইস গেট দিয়ে পানি না টানতে পারায় পানি উন্নয়ন বোর্ডও গত ২ বছর ধরে এ খালের পানি নিষ্কাশন করছেন না। এতে করে নলপাথর গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বছরের অর্ধেক সময় সেখানকার রাস্তাঘাটসহ অনেক ঘরবাড়ি থাকে জলমগ্ন। এ কারণে বছরজুড়েই এলাকার বাসিন্দারা পানিবাহী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অথচ এ ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপ করছেন না সংশ্লিষ্ট কোনো মহল।

এ ব্যাপারে দখলদার কবির হোসেন বলেন, খালটি ৩৩ ফিট প্রশস্ত কথাটি সত্য। কিন্তু আমরা যে বাড়িতে বসবাস করছি তার পাশ দিয়ে খালটি বয়ে গেছে। কিন্তু খালের ওপাশের জমি ভেঙে খালে পরে খালটি ভরে প্রশস্ততা কমে গেছে। আমরা সেখানে কিছু মাটি ভরাট করে টেক্সাইল মিল করেছি। যদি পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ খাল খনন করে তাহলে আমরা জায়গা ছেড়ে দেবো।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল বলেন, ইরিগেশনের খাল দখলের অভিযোগটির ব্যাপারে আমরা অবগত। স্থানীয় বাসিন্দারা ইরিগেশন প্রজেক্ট বন্ধ রাখা ও বাজেটের অভাবে এতদিন খালটি খনন ও দখলদার উচ্ছেদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। বিগত সময়ে জেলায় মাত্র ১টি খাল খননের অনুমোদন পাওয়া গেলেও বর্তমান সরকার এ বছর থেকে কমপক্ষে ৫টি খাল খনন ও দখলদার উচ্ছেদের বাজেট দিয়েছেন। আমরা বর্ষা মৌসুমের পরপরই এ খালটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

এব্যাপারে কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিন ভাইয়ের এ দখলের ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পৌরসভায় নালিশ এসেছে। আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status