বাংলারজমিন
কলা চাষে লাখপতি রাজা মিয়া
তোফায়েল হোসেন জাকির, সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) থেকে
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:২৫ পূর্বাহ্ন
কৃষক আবদুর রাজ্জাক রাজা মিয়া। বয়স তার (৬৫)। কৃষক পরিবারেই তার জন্ম। বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি কলা চাষ করাই তার নেশা ও পেশা। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে চাষ করে আসছেন কলা। দীর্ঘদিন ধরে কলা চাষ করেই লাখপতি বনে গেছেন রাজা মিয়া।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে রাজা মিয়া। প্রতি বছরের মতো এবারেও ৫০ শতক জমিতে চাষ করেছেন কলা। এ ফসল ক্ষেতে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সমপ্রতি কলা গাছগুলো যেন স্বপ্নপূরণে হাতছানি দিয়ে ডাক দিচ্ছে তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষক আবদুর রাজ্জাক রাজা মিয়ার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি থাকলেও, এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো তার। ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে তেমন আয় করা সম্ভব হতো না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করতেন তিনি। দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে প্রায় ২০ বছর আগে এক কলা চাষির পরামর্শ নিয়ে শুরু করেন কলার আবাদ। এই কলা চাষ করেই প্রথমে দেখতে পারেন লাভের মুখ। ফলে কলা আবাদে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। সেই থেকে চাষাবাদ করে আসছেন কলা। ফলশ্রুতিতে রাজা মিয়া দরিদ্রকে বিদায় জানাতে সক্ষম হয়েছেন। কলা বিক্রির আয় দিয়ে ১ ছেলে ও ৪ মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তিনি। ছেলেটি এখন বিজিবিতে চাকরি করছেন। মেয়েদের ভালো ঘরে পাত্রস্থ করাতে সক্ষম হয়েছেন রাজা মিয়া। আরো করেছেন পাকা বাড়ি। তিনি এখন ফিরে পেয়েছেন সোনালী দিন। মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। রাজা মিয়া জানান, এবারেও ৫০ শতক জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। জমিতে ৫০০ গাছে কলা ধরেছে। যার খরচ হয়েছে ২২-২৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে কলা বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমান দাম অনুযায়ী প্রায় লক্ষাধিক টাকার কলা বিক্রি করা সম্ভব।
এদিকে রাজা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, কলা চাষ বিষয়ে কৃষি বিভাগের তেমন সহায়তা পাওয়া যায় না। কলাতে ওষুধ ছিটানোর জন্য একটা স্প্রে মেশিন চেয়ে আবেদন করা হলেও, আজও মেশিনটি কপালে জোটেনি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বলেন, কৃষক রাজা মিয়া কলাচাষ করে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে রাজা মিয়া। প্রতি বছরের মতো এবারেও ৫০ শতক জমিতে চাষ করেছেন কলা। এ ফসল ক্ষেতে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সমপ্রতি কলা গাছগুলো যেন স্বপ্নপূরণে হাতছানি দিয়ে ডাক দিচ্ছে তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষক আবদুর রাজ্জাক রাজা মিয়ার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমি থাকলেও, এক সময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো তার। ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে তেমন আয় করা সম্ভব হতো না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করতেন তিনি। দরিদ্রের কষাঘাত থেকে রেহাই পেতে প্রায় ২০ বছর আগে এক কলা চাষির পরামর্শ নিয়ে শুরু করেন কলার আবাদ। এই কলা চাষ করেই প্রথমে দেখতে পারেন লাভের মুখ। ফলে কলা আবাদে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। সেই থেকে চাষাবাদ করে আসছেন কলা। ফলশ্রুতিতে রাজা মিয়া দরিদ্রকে বিদায় জানাতে সক্ষম হয়েছেন। কলা বিক্রির আয় দিয়ে ১ ছেলে ও ৪ মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তিনি। ছেলেটি এখন বিজিবিতে চাকরি করছেন। মেয়েদের ভালো ঘরে পাত্রস্থ করাতে সক্ষম হয়েছেন রাজা মিয়া। আরো করেছেন পাকা বাড়ি। তিনি এখন ফিরে পেয়েছেন সোনালী দিন। মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। রাজা মিয়া জানান, এবারেও ৫০ শতক জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। জমিতে ৫০০ গাছে কলা ধরেছে। যার খরচ হয়েছে ২২-২৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে কলা বিক্রি শুরু হয়েছে। বর্তমান দাম অনুযায়ী প্রায় লক্ষাধিক টাকার কলা বিক্রি করা সম্ভব।
এদিকে রাজা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, কলা চাষ বিষয়ে কৃষি বিভাগের তেমন সহায়তা পাওয়া যায় না। কলাতে ওষুধ ছিটানোর জন্য একটা স্প্রে মেশিন চেয়ে আবেদন করা হলেও, আজও মেশিনটি কপালে জোটেনি।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বলেন, কৃষক রাজা মিয়া কলাচাষ করে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।