এক্সক্লুসিভ
রপ্তানি আয়ে ধাক্কা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে অর্থবছর শুরু হলেও দ্বিতীয় মাসে এসে ধাক্কা খেয়েছে রপ্তানি আয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, আগস্টে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ২৮৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলার আয় করেছে। রপ্তানির এই পরিমাণ গতবছর একই মাসের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশ কম। গতবছর আগস্টে বাংলাদেশ ৩২১ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। এবার আগস্টে ৩৮৫ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য ঠিক করেছিল বাংলাদেশ। এই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬.২৭ শতাংশ কম আয় হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আয় করে। গতবছর জুলাইয়ে এ খাতে আয় হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ১৪ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে ৮ শতাংশের মত। আর চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৬৭৩ কোটি ২২ লাখ ডলার। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৯২ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২.৪০ শতাংশ কম। গত বছর জুলাই-আগস্ট সময়ে ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। এবার জুলাই-আগস্টের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, কোরবানি ঈদের কারণে কয়েক দিন পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সে কারণেই আগস্টে রপ্তানি কমেছে। পরের মাসগুলোতে এ ধারা থাকবে না।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাই-আগস্ট সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪.৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অর্থাৎ ৬৭৩ কোটি ২২ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৫৭১ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের যোগান দিয়েছে তৈরি পোশাক খাত। তবে, এ খাতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে ০.৩৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১.৪০ শতাংশ আয় কম হয়েছে এবার। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ২৯২ কোটি ডলার, প্রবদ্ধি হয়েছে ০.৩৩ শতাংশ। উভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি কমেছে ০.৯৪ শতাংশ। মূলতঃ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কারণেই আগস্টে সার্বিক রপ্তানি আয় কমেছে।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পোশাক রপ্তানিতে ৯.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছিল ৩.০৩ শতাংশ।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, অর্থবছরের শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু কোরবানির ঈদের কারণে ৮/১০ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। উৎপাদন হয়নি, রপ্তানি হয়নি। সে কারণেই আগস্টে রপ্তানি আয় ধাক্কা খেয়েছে। প্রতি বছরই দুই ঈদের কারণে এমন হয় বলে জানান তিনি।
অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে আয় বাড়বে আশা করে তিনি বলেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও খুব একটা বাড়বে না। তবে বাকি মাসগুলোতে ভালো হবে আশা করছি। এক প্রশ্নের উত্তরে পারভেজ বলেন, বাজার ধরে রাখতে চায়না তাদের মুদ্রার মান অনেক কমিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিযোগিতা করে তাদের বাজার দখল করা খুবই কঠিন।
যুদ্ধের ডামাডোলে সামগ্রিকভাবে পোশাকের চাহিদা কমবে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া পোশাকের দাম অনেক কমে গেছে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ আমাদের রপ্তানিতে ভালো ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-আগস্ট সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ০.৪৩ শতাংশ। হিমায়িত মাছ রপ্তানি কমেছে ৫ শতাংশ। চা রপ্তানি কমেছে ১৮.১৮ শতাংশ। তবে চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১.৩২ শতাংশ। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ৫ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২২.১১ শতাংশ। তামাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭.৪৩ শতাংশ। হ্যান্ডিক্যাফট রপ্তানি বেড়েছে ১২ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪ হাজার ৫৩৫ কোটি ৮২ লাখ (৪০.৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করে। এর মধ্যে ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারই এসেছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। সার্বিক রপ্তানি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছিল ৪ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি (৪৫.৫০ বিলিয়ন) ডলার।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, কোরবানি ঈদের কারণে কয়েক দিন পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সে কারণেই আগস্টে রপ্তানি কমেছে। পরের মাসগুলোতে এ ধারা থাকবে না।
ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাই-আগস্ট সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪.৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অর্থাৎ ৬৭৩ কোটি ২২ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৫৭১ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের যোগান দিয়েছে তৈরি পোশাক খাত। তবে, এ খাতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে ০.৩৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১.৪০ শতাংশ আয় কম হয়েছে এবার। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ২৯২ কোটি ডলার, প্রবদ্ধি হয়েছে ০.৩৩ শতাংশ। উভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি কমেছে ০.৯৪ শতাংশ। মূলতঃ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার কারণেই আগস্টে সার্বিক রপ্তানি আয় কমেছে।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পোশাক রপ্তানিতে ৯.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছিল ৩.০৩ শতাংশ।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, অর্থবছরের শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু কোরবানির ঈদের কারণে ৮/১০ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। উৎপাদন হয়নি, রপ্তানি হয়নি। সে কারণেই আগস্টে রপ্তানি আয় ধাক্কা খেয়েছে। প্রতি বছরই দুই ঈদের কারণে এমন হয় বলে জানান তিনি।
অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে আয় বাড়বে আশা করে তিনি বলেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও খুব একটা বাড়বে না। তবে বাকি মাসগুলোতে ভালো হবে আশা করছি। এক প্রশ্নের উত্তরে পারভেজ বলেন, বাজার ধরে রাখতে চায়না তাদের মুদ্রার মান অনেক কমিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিযোগিতা করে তাদের বাজার দখল করা খুবই কঠিন।
যুদ্ধের ডামাডোলে সামগ্রিকভাবে পোশাকের চাহিদা কমবে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া পোশাকের দাম অনেক কমে গেছে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ আমাদের রপ্তানিতে ভালো ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-আগস্ট সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ০.৪৩ শতাংশ। হিমায়িত মাছ রপ্তানি কমেছে ৫ শতাংশ। চা রপ্তানি কমেছে ১৮.১৮ শতাংশ। তবে চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১.৩২ শতাংশ। স্পেশালাইজড টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ৫ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানি বেড়েছে ২২.১১ শতাংশ। তামাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭.৪৩ শতাংশ। হ্যান্ডিক্যাফট রপ্তানি বেড়েছে ১২ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪ হাজার ৫৩৫ কোটি ৮২ লাখ (৪০.৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করে। এর মধ্যে ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারই এসেছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। সার্বিক রপ্তানি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছিল ৪ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানির মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি (৪৫.৫০ বিলিয়ন) ডলার।