খেলা
জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার শুরু আগামীকাল
স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
একশ’ তিনটি ইভেন্টে প্রায় ছয়শ’ বালক-বালিকা ও যুবক-যুবতীর অংশগ্রহণে আগামীকাল শুরু হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা। পাঁচটি গ্রুপে খেলবেন সাঁতারুরা। এগুলো হলো- অনূর্ধ্ব-১০, ১১-১২, ১৩-১৪, ১৫-১৭, ১৮-২০ ও যুবক ও যুবতী । ছয়টি বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, ৪৪ জেলা, ৪৩ সুইমিং ক্লাব, একটি শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি, আনসারসহ ৯৬টি দলের সাঁতারুরা পুলে ঝড় তুলবেন। মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে স্প্রিং বোর্ড না থাকায় ডাইভিংয়ের তিনটি ইভেন্ট নৌবাহিনীতে অনুষ্ঠিত হবে। ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ, রুপা ও ব্রোঞ্জ ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলকে ট্রফি দেয়া হবে। গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ। প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে দেশজুড়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে’ প্রতিভা অন্বেষন করেছে ফেডারেশন। সেই প্রতিভারাই ঝড় তুলছেন পুলে। এবারও সেই প্রতিক্ষায় রয়েছেন কর্মকর্তারা। তাছাড়া ক্যাম্পের ক্ষুদে সাঁতারুদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতার মাধ্যমে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান সাইফ। তবে ইলেক্ট্রোনিক্স বোর্ড থাকলেও তা নিয়ে সন্দিহান কর্মকর্তারা। কারণ গত বছরও কাজ করেনি ক্রীড়া পরিষদের তত্বাবধানে থাকা এই ইলেক্ট্রনিক্স বোর্ড। গৌহাটিতে দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্কের তত্ত্বাবধানে দু’টি স্বর্ণ জিতেছিলেন মাহফুজা খাতুন শিলা। এবার পার্ক নেই। জাপানি কোচ তাকিও ইনোকি দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই নেপাল এসএ গেমসে কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে স্বর্ণপদক জিততে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফ বলেন, ‘ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছেন তাকিও। কাল (আজ) আবার ফিরে যাবেন। ফের ১৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে দলের দায়িত্ব নেবেন। এছাড়া জাইকার মাধ্যমে আমরা আরেকজন কোচ আনার চেষ্টা করছি। আশাকরি আমাদের ফলাফল ধরে রাখতে পারবো।’ নেপালের পুল নিয়ে বেশ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সাইফ বলেন, ‘ডিসেম্বরে প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকবে নেপালে। আমরা জানতে পেরেছি, সেখানে ২৫মিটার পুলে হিটার রয়েছে। ৫০ মিটার পুলে নেই। যেখানে আমাদের ছেলে মেয়েরা ৫০ মিটার পুলে প্রশিক্ষণ নিয়ে অভ্যস্ত। ইতিমধ্যে নেপালের এই পুল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। তবে আমরা খেলবো।’ রাত তিনটা অবদি ক্যাম্পের সাঁতারুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে সাইফের বক্তব্য, ‘আমরা রাত আটটার মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডারের কাছে মোবাইল ফোন জমা দেয়ার বিধান রেখেছি। এরপরও অনেকের একাধিক মোবাইল ফোন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা আরও সতর্ক হবো।’