বাংলারজমিন
ছাত্রীকে নির্যাতনের পর অর্ধনগ্ন ছবি প্রধান শিক্ষক শ্রীঘরে
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:১২ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্যাতনের পর অর্ধনগ্ন করে ছবি তোলার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে তার ছেলে পলাতক রয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীর ফুফু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে ৮ই সেপ্টেম্বর রাতে তাকে আটক করা হয়।
মামলার বাদী আমিনা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০শে জুলাই প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী ফারজানাকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি প্রদানে দেরি করার কারণ জিজ্ঞাসা করতে তার ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এসময় প্রধান শিক্ষক অফিসের দরজা বন্ধ করে তার বাড়ি থেকে আনা জালি বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে ছাত্রীর পিঠে ও হাতের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়।
এরপর বুধবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্রীর পিঠের জখম দেখার কথা বলে তার পরনের কামিজ খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং তার ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তুলেন। ছবি তোলার পর একথা কাউকে বললে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এদিকে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর ফুফু আমিনা আক্তার শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় কুলাউড়া থানায় রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলী ও তার ছেলে মো. জাকারিয়াকে আসামি করে মামলা (নং ১০) দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেই পুলিশ বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার ৮ই সেপ্টেম্বর সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। অপর আসামি মো. জাকারিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আইয়ুর উদ্দিন জানান, পূর্বে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ এলে সহকারী শিক্ষা অফিসার ঘটনার তদন্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
মামলার বাদী আমিনা আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০শে জুলাই প্রধান শিক্ষক মন্তাজ আলী ফারজানাকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি প্রদানে দেরি করার কারণ জিজ্ঞাসা করতে তার ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নেন। এসময় প্রধান শিক্ষক অফিসের দরজা বন্ধ করে তার বাড়ি থেকে আনা জালি বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে ছাত্রীর পিঠে ও হাতের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়।
এরপর বুধবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর স্কুলছাত্রীর পিঠের জখম দেখার কথা বলে তার পরনের কামিজ খুলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং তার ছেলে জাকারিয়াকে দিয়ে কয়েকটি আপত্তিকর ছবি তুলেন। ছবি তোলার পর একথা কাউকে বললে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
এদিকে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর ফুফু আমিনা আক্তার শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় কুলাউড়া থানায় রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলী ও তার ছেলে মো. জাকারিয়াকে আসামি করে মামলা (নং ১০) দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেই পুলিশ বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক মো. মন্তাজ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার ৮ই সেপ্টেম্বর সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। অপর আসামি মো. জাকারিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আইয়ুর উদ্দিন জানান, পূর্বে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ এলে সহকারী শিক্ষা অফিসার ঘটনার তদন্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।