শেষের পাতা
এডিসের লার্ভা নিয়ে হার্ডলাইনে সিসিক
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
এডিসের লার্ভা নিয়ে হার্ডলাইনে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এবার আর সতর্ক নয়। করলেন জরিমানাও। ঘোষণা দিলেন এখন থেকে যেখানেই লার্ভা পাওয়া যাবে সেখানেই জরিমানা পৃষ্ঠা ৫ কলাম ১
করা হবে। সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও আশপাশ এলাকা এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি পেয়েছে। একাধিকবার অভিযানে এসব স্থানে মিলেছে এডিস মশা ও লার্ভা। মঙ্গলবারও অনুসন্ধানকালে সেখানে লার্ভা পাওয়া
যায়। এরপর চূড়ান্ত সতর্কতা জানিয়ে দেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। গতকাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে টায়ার ফেলে রেখে এডিস মশা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখায় সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমাস্থ কদমতলী এলাকার তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও মালামাল জব্দ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজে উপস্থিত থেকে ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে এ তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে, ঢাকা মটরস, কাকলি মটরস ও ভাই ভাই মটরস। স্থানীয় কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কদমতলীতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা এখানকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে জনসচেতনতা সভাও করেছি। কিন্তু আজ সিসিকের অভিযানে ফের এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঢাকা মটরসকে ৫০ হাজার, কাকলি মটরসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ভাই ভাই মটরস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করা হয়। সিটি করপোরেশনের অনুসন্ধানে পাওয়া এডিস মশার লার্ভা নতুন করে সন্ধান পাওয়ায় নগরজুড়ে শুরু হয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। নগরীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলা, টায়ার, টিউব, ফুলের টবে জমে থাকা পানি পরিষ্কার না করলে এভাবে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড করা হবে বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর আগে ২৫শে জুলাই ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীতে পক্ষকালব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশা নিধনকল্পে অভিযান শুরু করেন। এসময় তিনি নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের সম্মানিত নাগরিকদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ সকল প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে অনুরোধ করেন। অন্যথায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন অভিযান চালাবে বলেও নগরবাসীকে সতর্ক করেন তিনি। অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানান সিসিকের ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই ওয়ার্ডগুলো অতিক্রম করেই নগরীতে প্রবেশ করতে হয়। এখানে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল থাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য টায়ার টিউবের দোকান। এসব দোকানের সামনে স্তূপ আকারে থাকা গাড়ির টায়ারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পূর্ণবয়স্ক মশার সন্ধানও মিলেছে। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা এই ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারে। তিনি জানান, সিটি করপোরেশন এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস সহ সকল প্রকার মশা নিধনে অভিযান অব্যাহত রাখবে। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, মশার ডিম থেকে লার্ভার সৃষ্টি হয়। লার্ভার পর তিনটি ধাপে ৮-৯ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপ নেয়। মশা নিধনে শুধু ওষুধ দিলে হবে না সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, জেলা কীটতত্ত্ববিদ মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামান, সিসিকের প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনিশিয়ান সহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। শাহপরাণ থানায় পরিচ্ছন্ন অভিযান: এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে শাহপরাণ থানা পুলিশ। বুধবার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে শাহপরাণ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মশক নিধনেও মশার স্প্রে ব্যবহার করা হয়। অভিযান চলাকালে ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা আমার সকলের নাগরিক দায়িত্ব। একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠুক আগামীর প্রজন্ম-এই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে সকলকে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় নিজ বাড়ি, এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই কার্যক্রমকে পৌঁছে দিতে হবে সমাজের সকল পর্যায়ে। অভিযানে থানা পুলিশের সদস্য ছাড়াও এলাকার মুরব্বি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
করা হবে। সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও আশপাশ এলাকা এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি পেয়েছে। একাধিকবার অভিযানে এসব স্থানে মিলেছে এডিস মশা ও লার্ভা। মঙ্গলবারও অনুসন্ধানকালে সেখানে লার্ভা পাওয়া
যায়। এরপর চূড়ান্ত সতর্কতা জানিয়ে দেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। গতকাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে টায়ার ফেলে রেখে এডিস মশা সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখায় সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমাস্থ কদমতলী এলাকার তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও মালামাল জব্দ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজে উপস্থিত থেকে ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে এ তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে, ঢাকা মটরস, কাকলি মটরস ও ভাই ভাই মটরস। স্থানীয় কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কদমতলীতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা এখানকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে জনসচেতনতা সভাও করেছি। কিন্তু আজ সিসিকের অভিযানে ফের এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঢাকা মটরসকে ৫০ হাজার, কাকলি মটরসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ভাই ভাই মটরস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করা হয়। সিটি করপোরেশনের অনুসন্ধানে পাওয়া এডিস মশার লার্ভা নতুন করে সন্ধান পাওয়ায় নগরজুড়ে শুরু হয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। নগরীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলা, টায়ার, টিউব, ফুলের টবে জমে থাকা পানি পরিষ্কার না করলে এভাবে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদণ্ড করা হবে বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর আগে ২৫শে জুলাই ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীতে পক্ষকালব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশা নিধনকল্পে অভিযান শুরু করেন। এসময় তিনি নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের সম্মানিত নাগরিকদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ সকল প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে অনুরোধ করেন। অন্যথায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন অভিযান চালাবে বলেও নগরবাসীকে সতর্ক করেন তিনি। অভিযান শেষে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। জানান সিসিকের ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই ওয়ার্ডগুলো অতিক্রম করেই নগরীতে প্রবেশ করতে হয়। এখানে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল থাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য টায়ার টিউবের দোকান। এসব দোকানের সামনে স্তূপ আকারে থাকা গাড়ির টায়ারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক স্থানে পূর্ণবয়স্ক মশার সন্ধানও মিলেছে। এ থেকে ধারণা করা যাচ্ছে, এডিস মশার লার্ভা এই ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে থাকতে পারে। তিনি জানান, সিটি করপোরেশন এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস সহ সকল প্রকার মশা নিধনে অভিযান অব্যাহত রাখবে। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী এডিস মশা ও লার্ভার সন্ধান পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, মশার ডিম থেকে লার্ভার সৃষ্টি হয়। লার্ভার পর তিনটি ধাপে ৮-৯ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মশায় রূপ নেয়। মশা নিধনে শুধু ওষুধ দিলে হবে না সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ সময় সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমন, জেলা কীটতত্ত্ববিদ মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামান, সিসিকের প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অ্যান্টোমোলজি টেকনিশিয়ান সহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। শাহপরাণ থানায় পরিচ্ছন্ন অভিযান: এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে শাহপরাণ থানা পুলিশ। বুধবার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর নেতৃত্বে শাহপরাণ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মশক নিধনেও মশার স্প্রে ব্যবহার করা হয়। অভিযান চলাকালে ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা আমার সকলের নাগরিক দায়িত্ব। একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠুক আগামীর প্রজন্ম-এই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে সকলকে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলায় নিজ বাড়ি, এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এই কার্যক্রমকে পৌঁছে দিতে হবে সমাজের সকল পর্যায়ে। অভিযানে থানা পুলিশের সদস্য ছাড়াও এলাকার মুরব্বি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।