শেষের পাতা
বাসাবাড়িতে অভিযানে সুফল মিলবে কি?
মারুফ কিবরিয়া
২৩ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
এডিস মশা নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। ‘চিরুনি অভিযান’ নামে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভবন ধরে ধরে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে উত্তর সিটি। গতকালও ঢাকার উত্তরে পাঁচটি ভাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। সকাল সাড়ে দশটায় বাড্ডা লিংক রোড থেকে অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তরের ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান। এ সময় অভিযানটিতে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন না। এ বিষয়ে অবশ্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এই টিমে যে ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেয়ার কথা তিনি বদলি হয়েছেন। তার পরিবর্তে অন্য একজন আসার কথা রয়েছে। তাই ওই কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকালে শুরু হওয়া ওই অভিযানে অংশ নিয়েই গুলশান-১-এর একাধিক ভবনে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেন মফিজুর রহমানসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। কয়েকটি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ার পাশাপাশি যে ভবনে লার্ভা নেই সেখানেও অভিযান চালানো হয়। শুধু তাই নয়, ওইসব ভবনের শুকনো ঝোপঝাড়ে মশক নিধন কর্মীদের দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এই কাউন্সিলর। গুলশান ১২১ নং রোডের একটি ভবনে লার্ভা না পেলেও মশা নিধন করতে ওই ভবনের এক কোনায় থাকা ঝোপের মাঝে আগুন দেয়া হয়। অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ডিএনসিসির মেয়র মহদয়ের নির্দেশ অনুযায়ী গত দুদিন ধরে আমরা এডিস মশা নিধনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আজ আমাদের ১৯ নং ওয়ার্ডে চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, অতীতে আমাদের অনেক ব্যর্থতা আছে। আমার ১৯নং ওয়ার্ডে মাত্র ১২ জন মশক নিধন কর্মী ছিল। এই কাজ করতে গিয়ে অনেক সমালোচনার শিকার হয়েছি। এখন মন্ত্রণালয় ও মেয়র আমাদের লোকবলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যে ওষুধ দরকার সেটা পাচ্ছি। ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় সকাল থেকে এই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে কোনো জরিমানা না করলেও কমপক্ষে ৭টি ভবনের ফটকে ‘সাবধানী স্টিকার’ লাগানো হয়। এছাড়া যেসব ভবনে লার্ভা পাওয়া যায় সেগুলোতে স্টিকারের পাশাপাশি ঔষুধ দেয়া দেয়া হয়।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ২৬১টি ভবন পরিদর্শন করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। গুলশান ১১৩নং সড়কে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এবং ‘হাশেম ইলেকট্রিক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ১১৫নং সড়কে ‘হারমোনি হোল্ডিংস’ এর ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
‘চিরুনি অভিযানে’ ২৬১টি বাড়ি পরিদর্শন করে ১৮টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পায় ডিএনসিসির ভ্রাম্যামান আদালত। এ বাড়িগুলোর সামনে ‘সাবধান, এ বাড়িতে/প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়াছে’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়। এদিকে ডিএনসিসি জানিয়েছে গত ২০শে আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৯নং ওয়ার্ডের মোট ৬৫৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৬টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বারিধারা জে ব্লকে ‘গালফ অটো কারস লিমিটেড’ এর মালিককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সগীর হোসেন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মিরপুরের টোলারবাগে পরিত্যক্ত টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি দোকানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ। ভাষানটেকে ৪টি দোকানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শফিউল আজম প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে জরিমানা ও মশক নিধন কর্মকাণ্ড নিয়মিত চালিয়ে গেলেও উত্তরের অপ্রশিক্ষিত কর্মী নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে ডিএনসিসি ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৩০ জন করে নতুন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে। এক মাস ধরে এই কর্মীরা দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করবেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কর্মী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবেন, ১০ জন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করবেন এবং বাকি ১০ জন কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ করবেন। সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, এই ৩০ জনের মধ্যে কেউ কেউ আগে দৈনিক মজুরিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পুরোনো কর্মীদের সঙ্গে থেকে কাজ শিখবেন তারা।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ২৬১টি ভবন পরিদর্শন করে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। গুলশান ১১৩নং সড়কে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এবং ‘হাশেম ইলেকট্রিক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া ১১৫নং সড়কে ‘হারমোনি হোল্ডিংস’ এর ছাদে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
‘চিরুনি অভিযানে’ ২৬১টি বাড়ি পরিদর্শন করে ১৮টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পায় ডিএনসিসির ভ্রাম্যামান আদালত। এ বাড়িগুলোর সামনে ‘সাবধান, এ বাড়িতে/প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়াছে’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়। এদিকে ডিএনসিসি জানিয়েছে গত ২০শে আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৯নং ওয়ার্ডের মোট ৬৫৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৫৬টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বারিধারা জে ব্লকে ‘গালফ অটো কারস লিমিটেড’ এর মালিককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সগীর হোসেন ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মিরপুরের টোলারবাগে পরিত্যক্ত টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি দোকানের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ। ভাষানটেকে ৪টি দোকানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শফিউল আজম প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে জরিমানা ও মশক নিধন কর্মকাণ্ড নিয়মিত চালিয়ে গেলেও উত্তরের অপ্রশিক্ষিত কর্মী নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে ডিএনসিসি ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৩০ জন করে নতুন কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য সংস্থাটির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছে। এক মাস ধরে এই কর্মীরা দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করবেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কর্মী পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবেন, ১০ জন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করবেন এবং বাকি ১০ জন কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ করবেন। সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, এই ৩০ জনের মধ্যে কেউ কেউ আগে দৈনিক মজুরিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পুরোনো কর্মীদের সঙ্গে থেকে কাজ শিখবেন তারা।