বাংলারজমিন
রংপুরে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, ধর্ষকের মৃত্যু
জাভেদ ইকবাল, রংপুর থেকে
২৩ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন
রংপুরে ধর্ষণে এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের কীটনাশক পান করে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। এতে ধর্ষিতার মা অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর ধরে রংপুর নগরীর নজিরেরহাট এলাকার সোনার বাংলা নার্সারি দেখাশোনা করতো সদর উপজেলার চন্দপাট ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত খেতু শেখের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৫)। সেখানে রান্নার কাজ করতেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা। মায়ের কাজের সুবাদে ওই মেয়ে নার্সারিতে যাতায়াত করতো। এরই মধ্যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েটিকে নজিরেরহাট এলাকার ল্যাপরোসি মিশনে ভর্তি করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে তোফাজ্জল হোসেন জড়িত বলে প্রচার হতে থাকে। এরই মধ্যে ১৬ই আগস্ট নার্সারিতে কীটনাশক পান করে তোফাজ্জল হোসেন আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে হাজীরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
হাজীরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত ১৮ই আগস্ট মেয়েটির মা থানায় এসে অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও মেয়েটি বাসায় বিষয়টি জানায়নি। এক পর্যায়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। কীটনাশক পান করে ধর্ষকের আত্মহত্যার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ধর্ষকের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে হাসপাতাল থেকে আমরা কোনো খবর পাইনি।
চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনকে একজন ভালো ব্যক্তি হিসেবে জানতাম। তিনি নার্সারির পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল চৌধুরীর বাসায়ও কাজ করতো। নার্সারিতে কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জেনেছি। তবে ধর্ষণের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ও আত্মহত্যার ব্যাপারটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
হাজীরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত ১৮ই আগস্ট মেয়েটির মা থানায় এসে অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও মেয়েটি বাসায় বিষয়টি জানায়নি। এক পর্যায়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজন বুঝতে পারে। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। কীটনাশক পান করে ধর্ষকের আত্মহত্যার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ধর্ষকের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে হাসপাতাল থেকে আমরা কোনো খবর পাইনি।
চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনকে একজন ভালো ব্যক্তি হিসেবে জানতাম। তিনি নার্সারির পাশাপাশি সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল চৌধুরীর বাসায়ও কাজ করতো। নার্সারিতে কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জেনেছি। তবে ধর্ষণের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ও আত্মহত্যার ব্যাপারটি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।