দেশ বিদেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার
দরপত্র শিডিউল না দেয়ার অভিযোগ ঠিকাদারের
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবার দরপত্র শিডিউল না দেয়ার অভিযোগ করেছেন এক ঠিকাদার। গতকাল জেলা প্রশাসকের কাছে এই অভিযোগ দেয়া হয়। এর আগে এই কারাগারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারকে অন্যত্র বদলিও করা হয়। তারপরও এই কর্মস্থলেই রয়েছেন তারা। মেসার্স অন্বেষা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো: আল আমিন অভিযোগ করেন গত ৩১শে জুলাই জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকার ডাল সরবরাহের জন্যে দরপত্র আহ্বান করেন। এই দরপত্র শিডিউল কিনতে গেলে আগের একটি দরপত্র শিডিউলের কয়েকটি আইটেম নিয়ে আপিল থাকার অজুহাতে তার কাছে শিডিউল বিক্রি করতে অস্বীকার করেন। ইতিপূর্বেকার বেশ কয়েকটি আইটেমের উদ্ধৃত্ত মূল্য নিয়ে জেল সুপার তার প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত মূল্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে তিনি পাবলিক প্রকিউরম্যান্ট অ্যাক্ট ২০০৬ এর ৩০ ধারার বিধান মোতাবেক কারা মহাপরিদর্শক বরাবর আপিল করেন। যা বর্তমানে অনিষ্পত্তিকৃত অবস্থায় রয়েছে। তাকে শিডিউল কিনতে না দেয়ায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত এবং তার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে জেলা কারাগারের সুপার নূরন্নবী ভূঁইয়া বলেছেন অন্বেষা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ আছে। আমাদের এখানে আগে অংশগ্রহণ করে তারা মাল সরবরাহ করেনি। তাকে ব্ল্যাকলিস্ট করার জন্যে আমরা চিঠি দিয়েছি। সে নিজেই ডিফল্টার। তিনি আরো বলেন শিডিউল উন্মুক্ত। আমার এখানে না হয় তার রেকর্ডপত্র আছে। এখানে শিডিউল না পেলে সে ঢাকা বা চট্টগ্রামে গিয়েও কিনতে পারে। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি গত এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করে। এতে কারাগারে বন্দি বেচাকেনা, সাক্ষাৎ বাণিজ্য, সিট বানিজ্য ,খাবার বাণিজ্য, চিকিৎসা বানিজ্য ,পিসি বাণিজ্য, পদায়ন বাণিজ্য, কারা অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ মালামাল প্রবেশ এবং জামিন বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মের অভিযোগের সত্যতা মিলে। ৬ই এপ্রিল ৫১ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।