খেলা

এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনাল

আবাহনীর রক্ষণ বনাম এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের আক্রমণ

স্পোর্টস রিপোর্টার

২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘদিন ধরে ডিফেন্ডার তপু বর্মণের সার্ভিস পাচ্ছে না আবাহনী। ইনজুরির কারণে প্রিমিয়ার লীগের মাঝপথ থেকে অনুপস্থিত আবাহনীর এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। আরেক আফগান ডিফেন্ডার মাসি সাইগানি আকাশী-নীল তাবু ছেড়ে চেন্নাইন এফসিতে ভিড়েছেন। লালকার্ডের গেরোতে পড়ে মাঠে নামতে পারছেন না এএফসি কাপের জন্য দলে নেয়া মিসরীয় ডিফেন্ডার ঈশা আলেলদিন নাসের। ইনজুরিতে রয়েছেন মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। এতো সংকট নিয়েই আজ এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে শক্তিশালী উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের মুখোমুখি হচ্ছে আবাহনী। তবে আবাহনী কোচ থমাস মারিও লেমোস নির্ভার। তার বিশ্বাস- রক্ষণটা ঠিকঠাক রাখতে পারলে সাফল্য পাবে আবাহনী। সন্ধ্যা পৌঁনে সাতটায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ। খেলা দেখার জন্য দর্শকদের কোন টিকিট কাটতে হবে না। গ্যালারি থাকবে উম্মুক্ত।
ঈশা, মাসি ও মামুনুল নেই তো কী হয়েছে, আবাহনী কোচ মারিওর কণ্ঠে দৃঢ়তা। তিনি বলেন, ‘সানডে সিজোবাকে ছাড়াই আমরা মিনারভা পাঞ্জাবকে হারিয়েছি। ঢাকার মাঠে ওয়েলিংটনকে না পেয়েও চেন্নাইন এফসিকে হারাতে কোনো বেগ পেতে হয়নি। ওই তিন ফুটবলারকে মাঠে পাচ্ছি না। এটা আমাদের জন্য কোন সমস্যাই নয়।’  উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটি এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ সমীহ করে মারিও বলেন, ‘বলতে দ্বিধা নেই যে উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটি খুবই শক্তিশালী। তবে আমাদের কাছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা ও নাবীব নেওয়াজ জীবন রয়েছে। বড় ম্যাচ।  জিততেই হবে আমাদের। সেরা দল নিয়েই মাঠে নামবো আমরা।’ কাফ (পায়ের গুল) মাসলে ইনজুরি মামুনুলের। যদিও খেলার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মামুনুলের সেরে উঠার অপেক্ষায় থাকবে টিম ম্যানেজমেন্ট। আবাহনী অধিনায়ক শহিদুল আলম সোহেল বলেন, ‘দু’সপ্তাহ হলেও আমরা ভালো অনুশীলন করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ ম্যাচের জন্য অনেকদিন প্রস্তুতি নিয়েছি। জেতার জন্যই মাঠে নামবো আমরা।’ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বলেন, ‘এটা কেবল আবাহনীরই নয়, দেশের সম্মানের ব্যাপার। আমি দর্শকদের অনুরোধ করবো, মাঠে আসুন। ছেলেদের উদ্বুদ্ধ করুন। আমরা ভালো কিছু দেখাতে চাই।’
আগের তিনবারই এএফসি কাপে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল খেলেছে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। গতবার এই টুর্নামেন্টের জোনাল ফাইনালও খেলেছিল উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটি। আর এ পর্যায়ের এবারই প্রথম উঠেছে আবাহনী। গত লীগে মোট ২৮ গোল হজম করেছে আবাহনী। আর এএফসি কাপের ছয় ম্যাচেও একমাত্র মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে দুই লেগে ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে লেমোসের দল। প্রতিপক্ষ এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের চিত্র পুরো উলটো। এএফসি কাপে ছয় ম্যাচের চারটিতেই ক্লিনশিট তাদের, আর গোল হজম করেছে মাত্র দুইটিতে। পিইংইংয়ে ঘরের মাঠে তারা আরও বেশি অপ্রতিরোধ্য। তাই যা করার প্রথম লেগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই করতে হবে- এমন একটা ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন আবাহনী কোচ মারিও। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার লীগে একটু বেশিই গোল হজম করেছি। এখানে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশেই আমাদের সুযোগ। ঘরের মাঠে ওরা দুই বছর কোনো ম্যাচ হারেনি।’ আক্রমণে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের মূল ভরসা দুই উইং থেকে করা ক্রস। আবাহনীর ফুলব্যাক বনাম এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের উইঙ্গারদের ছোট লড়াইটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে কী না সে প্রশ্নের জবাব খেলোয়াড়দের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কোচ, ‘আমরা তো ওদের সব ক্রসই আটকানোর চেষ্টা করব। সেদিনেই মনোযোগ থাকবে।  শুধু ফুলব্যাক নয় সেন্টারব্যাকরাও যাতে সজাগ থাকে সেই দিকটাতেও খেয়াল রাখতে হবে। তবে সব তো আর ঠেকানো সম্ভব নয়। দেখা যাক কী হয়!’
অন্যদিকে হারতে চায় না উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। কোচ ইউন সন বলেন, ‘প্রত্যেকটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। জেতার জন্য আমরাও প্রস্তুত। হারলেই বাদ পড়তে হবে। ছেলেরা সেরাটা দিয়েই খেলবে।’ আবাহনীর খেলা সরাসরি না দেখলেও ইউটিউবে হাইলাইটস দেখেছেন ইউন সন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে আমরা তেমন জানি না। ইউটিউবে যতটুকু দেখেছি, তার উপর ভর করেই রণকৌশল সাজাবো।


   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status