বাংলারজমিন
সরাইলে চাতাল শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, ব্যবস্থাপকসহ গ্রেপ্তার ৩
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
সরাইল থানার পুলিশ হৃদয় মিয়া (২৫) নামের এক চাতাল শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে। গতকাল বিকাল পাঁচটার দিকে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার চাচা-ভাতিজা নামের চাতাল কলের একটি ঘর থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। হৃদয় মিয়া সিলেটের জাফলং উপজেলার বাদামতলি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হৃদয় মিয়া শ্রমিক সরদার বাচ্চু মিয়ার কাছ থেকে কাজ করার জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন। কাজ ছেড়ে মাঝে মধ্যে পালিয়ে যায় হৃদয়। এজন্য গত কয়েক মাস ধরে কাজের পর হৃদয়কে একটি কক্ষে নিয়ে তালা দিয়ে রাখতেন। চার মাস ধরে হৃদয় তার স্ত্রী মাসুমাকে (২৫) নিয়ে চাচা-ভাতিজা নামের চাতাল কলে শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। সেখানে আর্থিক লেনদেন নিয়ে শ্রমিক সরদার বাচ্চু মিয়ার (৪২) সঙ্গে হৃদয়ের মনোমালিন্যের ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে চাতালে কাজ করেন। এক পর্যায়ে বিশ্রামের জন্য হৃদয় তাদের ঘরে যান। দুপুর ১২টার দিকে স্ত্রী ঘরে গিয়ে স্বামীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনার পর বাচ্চু মিয়া গা-ঢাকা দেন। পরে চাতাল কলের লোকজন উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিকাল পাঁচটার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকালে কাজ শেষ করার পর যখন হৃদয়কে কক্ষে আটকে রাখতে যায় সরদার। তখন সরদারের সঙ্গে হৃদয়ের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সম্ভবত এক পর্যায়ে হৃদয়কে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ নিহত হৃদয়ের গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সরাইলের ভিটঘর গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫), শাখাইতি গ্রামের মো. নূর মোহাম্মদ (৪০) ও নাছিরনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের মোসা. শারমিন (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল হক বলেন, হৃদয় মিয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হৃদয় মিয়ার মৃত্যু ও প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিকাল পাঁচটার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সকালে কাজ শেষ করার পর যখন হৃদয়কে কক্ষে আটকে রাখতে যায় সরদার। তখন সরদারের সঙ্গে হৃদয়ের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সম্ভবত এক পর্যায়ে হৃদয়কে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ নিহত হৃদয়ের গলায় আঙুলের ছাপ রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সরাইলের ভিটঘর গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়া (৩৫), শাখাইতি গ্রামের মো. নূর মোহাম্মদ (৪০) ও নাছিরনগর থানার শ্রীঘর গ্রামের মোসা. শারমিন (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল হক বলেন, হৃদয় মিয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হৃদয় মিয়ার মৃত্যু ও প্রকৃত কারণ জানা যাবে।