বাংলারজমিন
বয়স্কভাতার কার্ড পেয়ে ছামনার মুখে হাসি
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২০ আগস্ট ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
‘বাবা আমি ভাতার কার্ড পাইছি। এতিমরে খুশি করছেন। আমনেও খুশি হন। আমিও খুশি। আমার আল্লাহও খুশি। বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়ে বয়সের ভারে ন্যূব্জ ছামনা খাতুন তার মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অভিব্যক্তি এ প্রতিবেদকের কাছে এভাবেই প্রকাশ করলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামীহারা বৃদ্ধা ছামনা খাতুন বলেন, এই বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য বহুত কষ্ট করছি। মেম্বর চেয়ারম্যানের কাছে অনেক দৌঁড়ছি। এতো কষ্টের পর আল্লাহ আমারে দিছে। গত বৃহস্পতিবার ১০ টাকা দিয়া সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলছি। আগামী সোমবারে কইছে ব্যাংকে যাইতাম। ভাতার টাকা দিব। ৬৩ বছর বয়সী ছামনা খাতুন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহীবাগ আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল কাদির মিয়ার স্ত্রী। তিনি জানান, এক ছেলেকে নিয়ে ভাড়া নেওয়া খুপরি ঘরের মধ্যে বসবাস তার। স্বামী বছর ৮/১০ বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি নিজে ভিক্ষা শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখন সেটাও আর পারেন না। বয়সের ভারে একেবারে নুয়ে পড়েছেন। চোখে ঝাঁপসা দেখেন। শরীরে নেই তেমন শক্তি। দু’মুঠো ভাতের জন্য এ-বাড়ি ও-বাড়ি ভিক্ষা করার জন্য প্রতিদিন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যেতে হয় ছামনা খাতুন কে। ভিক্ষা পেলে মিলে ভাত, না হলে থাকতে হয় উপোস। ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়েই কোনোরকমে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন চলে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে উপোস থাকলেও খোঁজ নেয় না কেউ। আপন বলতে তাদের কেউ নেই। নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
ছামনা খাতুন বলেন, ‘বাবা আমি অচল। আমার কেউ নাই। আমার স্বামী নাই, মাও নাই, বাপ নাই। এই দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। মাইনষের দুয়ারও যাই ভিক্ষার লাগি। আমি আর কত দৌড়মু জানে আর কুলায় না’। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুয়েব হোসেন চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধা ছামনা খাতুনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড সরকারের পক্ষ থেকে দিতে পেরে আমি নিজেও খুশি। কারণ তার মতো অসহায় গরিব নারীদের খবরাখবর কেউ রাখেন না।
ছামনা খাতুন বলেন, ‘বাবা আমি অচল। আমার কেউ নাই। আমার স্বামী নাই, মাও নাই, বাপ নাই। এই দুনিয়ায় আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। মাইনষের দুয়ারও যাই ভিক্ষার লাগি। আমি আর কত দৌড়মু জানে আর কুলায় না’। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুয়েব হোসেন চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধা ছামনা খাতুনকে বয়স্ক ভাতার কার্ড সরকারের পক্ষ থেকে দিতে পেরে আমি নিজেও খুশি। কারণ তার মতো অসহায় গরিব নারীদের খবরাখবর কেউ রাখেন না।