বাংলারজমিন
মারা গেলেন চুরির অভিযোগে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা রিকশাচালক
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় এক রিকশাচালকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুরে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর পৌরসভার আওতাধীন হবিবনগর এলাকায় গত তিনদিন আগে (১৫ই আগস্ট) নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলার আসাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে রিকশা চালক জামির হোসেন (৩৫)কে রিকশা চুরির অভিযোগে হবিবনগর এলাকার বাসিন্দা এখলাছ মিয়ার ছেলে রিকশা গ্যারেজের মালিক শাকিল আহমদ ধরে নিয়ে গিয়ে তাঁর বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। একপর্যায়ে গত শুক্রবার দুপুরের দিকে রিকশা চালক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান শালিক। সেখান থেকে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিলেক কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে কিছুক্ষণ পরে আবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গতকাল সকালে পুলিশ শালিক আহমদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রিকশা চালক জামির হোসেন তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে গ্যারেজের মালিক শাকিল আহমদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সূধন বলেন, জামির হোসেনকে যখন স্বাস্থ্য নিয়ে আসার হয় তখন তার বুকে ব্যথা হচ্ছিল। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটে রেফার্ড করি। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আবার তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এলে আসা হলে তখন আমরা তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, ওই সময় রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন জানান, যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের সুনামগঞ্জ সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, জগন্নাথপুর পৌরসভার আওতাধীন হবিবনগর এলাকায় গত তিনদিন আগে (১৫ই আগস্ট) নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলার আসাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে রিকশা চালক জামির হোসেন (৩৫)কে রিকশা চুরির অভিযোগে হবিবনগর এলাকার বাসিন্দা এখলাছ মিয়ার ছেলে রিকশা গ্যারেজের মালিক শাকিল আহমদ ধরে নিয়ে গিয়ে তাঁর বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। একপর্যায়ে গত শুক্রবার দুপুরের দিকে রিকশা চালক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান শালিক। সেখান থেকে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিলেক কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে কিছুক্ষণ পরে আবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গতকাল সকালে পুলিশ শালিক আহমদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রিকশা চালক জামির হোসেন তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে গ্যারেজের মালিক শাকিল আহমদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সূধন বলেন, জামির হোসেনকে যখন স্বাস্থ্য নিয়ে আসার হয় তখন তার বুকে ব্যথা হচ্ছিল। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেটে রেফার্ড করি। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আবার তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এলে আসা হলে তখন আমরা তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি বলেন, ওই সময় রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজন জানান, যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এবিষয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের সুনামগঞ্জ সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে।