খেলা

টাইগারদের নয়া কোচ কেমন?

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৮ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

রাসেল ডমিঙ্গো কোচ হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ পরিচিত নাম। তবে তার খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারটা ছিল অল্প দিনের। আহামরি কিছু নেই বললেই চলে। পোর্ট এলিজাবেথে ১৯৭৪ সালে জন্ম নেয়া ডমিঙ্গো খেলা ছেড়ে দ্রুতই নাম লেখান কোচিংয়ে। যে বয়সে একজন খেলোয়াড় জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষা করেন  সেই ২২ বছর বয়সেই পেয়ে যান প্রথম কোচিং ডিগ্রি। তার অভিজ্ঞতা  নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘রাসেল ডমিঙ্গোর সমৃদ্ধ কোচিং অভিজ্ঞতা আছে। সে অল্প বয়েসেই কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করে। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হয়। ২০১৫তে ওডিআই বিশ্বকাপে কোচ ছিল। ২০১৭ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ছিল। এখনো সে সেখানকার এইচপির কোচ রয়ে গেছে। আমি বলবো তার অভিজ্ঞতা দারুণ।’
কোচ হিসেবে স্বীকৃত পর্যায়ে দায়িত্ব নেন নিজ দল ইস্টার্ন প্রভিন্সের বয়সভিত্তিক দলের। পরে দায়িত্ব পান জাতীয় পর্যায়েও। ২০০৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশে এসেছিলেন যুব দলের কোচ হিসেবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম বড় দায়িত্ব পান ২০০৫ সালে। মিকি আর্থার দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত দল ওয়ারিয়র্সের কোচ হন ডমিঙ্গো। কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর ডমিঙ্গো তার দলে পরামর্শক হিসেবে এনেছিলেন গ্যারি কারস্টেনকে। দুজনের সুসম্পর্কের শুরু সেই সময় থেকেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে এরপর কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন সাফল্যের সঙ্গে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আাফ্রিকা ‘এ’ দলের কোচ হিসেবে এসেছিলেন বাংলাদেশে। ২০১১ সালে গ্যারি কারস্টেন দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর সহকারী হিসেবে নিয়ে আসেন ডমিঙ্গোকে। ২০১২ সালে কারস্টেনের ভার কমাতে দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ডমিঙ্গোকে। ২০১৩ সালে কারস্টেন দায়িত্ব ছেড়ে দিলে সব সংস্করণেই দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পান তিনি। অবশেষে সেই দায়িত্বে ছিলেন তিনি ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত। মেয়াদ শেষে আবার দায়িত্ব বাড়ানোর আবেদন করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন কোচের দায়িত্ব দেয় ওটিস গিবসনকে। ডমিঙ্গো ফিরে যান ঘরোয়া ক্রিকেটে। পাশাপাশি ‘এ’ দলের দায়িত্বও পালন করেন। এবার বাংলাদেশকে দিয়ে আবার কোচ হিসেবে ফিরলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এই বিষয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘তাকে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম কেন বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে চান। তিনি বলেছেন- দেখেন বাংলাদেশে কোন দলই সহজে জিততে পারেনা। এমনকি বিশ্বচ্যাম্পিয়ানরা এসেও হেরে যায়। আবার বাংলাদেশ অন্য দেশে গেলে তারাও হেরে যায় এটাই সত্যি বিষয়। আমার ধারণা যেহেতু আগামী বিশ্বকাপ এই উপমহাদেশে তাই  সেখানে ভারতের পর বাংলাদেশ দলই অন্যতম প্রতিযোগী।’ বলার অপেক্ষা রাখে না কোচের কথাতেই স্পষ্ট যে ২০২৩ এ ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপেই নয়া কোচের চোখ, সেই চ্যালেঞ্জই তিনি নিতে চান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status