অনলাইন

বাড়ি ভাঙলো নদীতে, শেষ সম্বলটুকুও পুড়লো আগুনে

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ আগস্ট ২০১৯, শনিবার, ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

নাসিমা বেগমের সংসারে যেন সুখের দেখা নাই। বয়স আনুমানিক ৬০। ১২ বছর আগে থাকতেন ভোলায়। নদী ভাঙনে হারান সব। বাঁচার তাগিদে দুই ছেলে আর স্বামীকে নিয়ে পাড়ি জমান ঢাকায়। এরপরই শুরু হয় সংগ্রাম। নাসিমার পোশাক কারখানার কাজ আর স্বামীর রিকশা। এই নিয়ে সংসার তাদের। ভোলা থেকে নিয়ে আসা দুই ছেলেও ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে।

নাসিমার বয়স হওয়ায় আর কাজ করতে পারেন না। রিকশা চালতে পারেন না তার স্বামী মোকলেসুর রহমানও। এখন কাজ করেন একটি মুদি দোকানে। মাসে বেতন ৭ হাজার টাকা। আর বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করেন নাসিমা। এভাবেই জীবনটা কাটছিল তাদের।
এরই মাঝে ২ ছেলে বিয়ের পর চলে যান বাবা মাকে ছেড়ে। টাকা পাঠান না, খোঁজ নেন না। দুঃখকে সঙ্গী করা এই দম্পতির জীবনে ফের এলো এক ভয়াল রাত। যে রাতে পুড়ে ছাই হলো সব। গতকাল শুক্রবার রাতে রূপনগরের চলন্তিকা বস্তির আগুনে সব শেষ হয়ে যায় নাসিমার। আগুন লাগার সময় বাড়িতে ছিলেন না তারা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন। কিন্তু বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেননি। সব পুড়ে ছাই। সঙ্গে থাকা কাপড় আর কিছু টাকাই এখন সম্বল তাদের।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে লাগা আগুন রাত সাড়ে ১০টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আগুনের লাগার পর বস্তিবাসী তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও অধিকাংশ তাদের মালামাল বের করতে পারেননি। ঘরের ভেতরে টিভি, ফ্রিজ, জামা-কাপড়, টাকা সবই রয়েছে গেছে এবং তা পুড়ে ছাই হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status