বিশ্বজমিন

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইসুফ

কেমব্রিজে প্রত্যাখ্যাত, এমআইটিতে ২৫০০০০ পাউন্ডের বৃত্তি

মানবজমিন ডেস্ক

১৫ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:২৫ অপরাহ্ন

কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু কপাল যদি না হয় ফাঁকা, ঘুরতে পারে ভাগ্যের চাকা। ঠিক তাই হয়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ইসুফ আহমেদের (১৮) ক্ষেত্রে। তিনি সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) পড়ার। শুধু যে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তাই-ই নয়। একই সঙ্গে পেয়েছেন আড়াই লাখ পাউন্ডের বৃত্তি। ইসুফ আহমেদের মা শিফা বেগম (৩৯)। তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। লন্ডনে একজন অপটিশিয়ানের রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। এখন তিনি সিঙ্গেল মা। তার ছেলে ইসুফকে কেমব্রিজ প্রত্যাখ্যান করার পর যেন ভাগ্যের চাকা সত্যি সত্যি ঘুরে গেছে। আড়াই লাখ পাউন্ড বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাওয়া এ চাট্টিখানি কথা নয়। তাও আবার বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমআইটি’তে ইসুফ পড়াশোনা করবেন পদার্থবিজ্ঞান ও মহাশূন্য বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে ইসুফ বেছে নিয়েছেন এমআইটি’কে।
 
মা শিফা বেগম ও ছোট দুই ভাইকে নিয়ে লন্ডনে তাদের বসবাস। এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে ইসুফের যেন স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কারণ, মহাশূন্য বিষয়ে তিনি সব সময়ই আগ্রহী। রাতের বেলা বেশির ভাগ সময় টেলিস্কোপ নিয়ে আকাশে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এখন আর তা করতে হবে না। তার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। এ-লেভেলে ম্যাথ, ফারদার ম্যাথ, ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি পড়ার সময়ই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া সম্পর্কিত পরীক্ষা দেন। এতেই জুটে যায় বৃত্তি।
 
এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, যখন কেমব্রিজ আমাকে প্রত্যাখ্যান করল, হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। সত্যিকার অর্থে বলছি, আমি কখনো ভাবিনি যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবো। এরপর এমআইটির চিঠি এলো। তারপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠি। মহাকাশ বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য যেহেতু এমআইটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়, তাই আমি এটিকেই বেছে নিলাম। এক্ষেত্রে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন আমার শিক্ষকরা। মানব জাতির জন্য অর্থবহ এমন কিছু আবিষ্কার করতে চাই।
এই কৃতীত্বের জন্য তার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইসুফ। তিনি বলেছেন, আমার মা সব সময়ই আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। যখনই স্কুলে কোনো প্রয়োজন হতো, অথবা বইয়ের দরকার হতো, সবই মিটিয়েছেন মা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status