দেশ বিদেশ
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলো চীন
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিস্থিতিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে গভীর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে বেইজিং। তিন দিনের সফরে চীনে থাকা ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার সাক্ষাৎ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি। তিনি এ সময় ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এস জয়শঙ্করকে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই অঞ্চলে এমন যেকোনো একতরফা পদক্ষেপ, যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করবে, তার বিরোধিতা করবে চীন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
গত ৫ই আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত সরকার। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলকে ভেঙে দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরি ঘোষণা করে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনের অধীনে থাকবে। জাতিসংঘ বা বিশ্ব সম্প্রদায়, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের পার্লামেন্টকে এড়িয়ে ভারত সরকারের এভাবে পদক্ষেপ নেয়াকে একতরফা বলে আখ্যায়িত করে পাকিস্তান এর কড়া বিরোধিতা করেছে। তারা ভারত সরকারের ওই উদ্যোগকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি আশা প্রকাশ করেছেন, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ এই বিরোধের সমাধান করবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। এর আগে এ ইস্যুতে জাতিসংঘে যাওয়ার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। তাতে তাদেরকে পূর্ণ সমর্থন দেয় চীন। এরপর তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে রয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ওয়াং য়ি আশা প্রকাশ করেন, ভারত সম্প্রতি যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে চীনের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে, যদিও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষায় চুক্তি রয়েছে। তাদের এমন পদক্ষেপ সেই চুক্তির বিরোধী। ওয়াং য়ি’র ভাষায়, এসব বিষয়ে চীন সিরিয়াসলি উদ্বিগ্ন। ভারতের পদক্ষেপ এই সত্যকে পাল্টাতে পারবে না যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় চীন তার সার্বভৌমত্ব চর্চা করবে। তাই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, পারস্পরিক আস্থা, শান্তি ও প্রশান্তিকে সমুন্নত রাখতে পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি।
ওই বৈঠকে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ভারতের সংবিধান সংশোধন কোনো নতুন সার্বভৌমত্ব সৃষ্টি করেনি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতি লাইন পরিবর্তন করেনি। নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে নি।
এ সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে আশা প্রকাশ করে ভারতীয় পক্ষ। এস জয়শঙ্কর বলেন, নয়াদিল্লি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আগ্রহী। তারা বিরত থাকতে চান। তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট ইস্যু যথাযথ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী ভারত। দুই দেশ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে যে সমঝোতায় এসেছে তা মেনে চলতে বাধ্য নয়াদিল্লি।
গত ৫ই আগস্ট ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত সরকার। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলকে ভেঙে দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরি ঘোষণা করে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনের অধীনে থাকবে। জাতিসংঘ বা বিশ্ব সম্প্রদায়, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের পার্লামেন্টকে এড়িয়ে ভারত সরকারের এভাবে পদক্ষেপ নেয়াকে একতরফা বলে আখ্যায়িত করে পাকিস্তান এর কড়া বিরোধিতা করেছে। তারা ভারত সরকারের ওই উদ্যোগকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি আশা প্রকাশ করেছেন, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ এই বিরোধের সমাধান করবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে। এর আগে এ ইস্যুতে জাতিসংঘে যাওয়ার ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। তাতে তাদেরকে পূর্ণ সমর্থন দেয় চীন। এরপর তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে রয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ওয়াং য়ি আশা প্রকাশ করেন, ভারত সম্প্রতি যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে চীনের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে, যদিও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষায় চুক্তি রয়েছে। তাদের এমন পদক্ষেপ সেই চুক্তির বিরোধী। ওয়াং য়ি’র ভাষায়, এসব বিষয়ে চীন সিরিয়াসলি উদ্বিগ্ন। ভারতের পদক্ষেপ এই সত্যকে পাল্টাতে পারবে না যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় চীন তার সার্বভৌমত্ব চর্চা করবে। তাই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, পারস্পরিক আস্থা, শান্তি ও প্রশান্তিকে সমুন্নত রাখতে পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি।
ওই বৈঠকে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ভারতের সংবিধান সংশোধন কোনো নতুন সার্বভৌমত্ব সৃষ্টি করেনি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতি লাইন পরিবর্তন করেনি। নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে নি।
এ সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে আশা প্রকাশ করে ভারতীয় পক্ষ। এস জয়শঙ্কর বলেন, নয়াদিল্লি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আগ্রহী। তারা বিরত থাকতে চান। তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন এই বলে যে, ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট ইস্যু যথাযথ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী ভারত। দুই দেশ সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে যে সমঝোতায় এসেছে তা মেনে চলতে বাধ্য নয়াদিল্লি।