বাংলারজমিন
মাংসের উৎপাদন বেড়েছে সাতগুণ
স্টাফ রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
খাদ্য উৎপাদনে এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। এখন আর ভারত ও মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু এনে বাংলাদেশের মাংসের চাহিদা মেটাতে হয় না। চারবছর আগেও বাংলাদেশে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আসতো। অবৈধভাবে গরু আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য খামার। সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় নানামুখী প্রকল্পে চার বছরেই বদলে গেছে চিত্র। বাংলাদেশ এখন গবাদিপশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত নয় বছরে মাংসের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে সাত গুণ। প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে গবাদিপশুর খামারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে আর এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মাংস রপ্তানিরও আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ বছরে মাংসের উৎপাদন ছিল ৭.১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০০৮-৯ অর্থবছরের তুলনায় এটি ৬.০৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন বেশি। ওই বছর উৎপাদন ছিল ১.০৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গবাদি পশুর মোট পরিমাণ (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া) ৫ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল গবাদি পশুর সংখ্যা ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৪৫ হাজার। আর ২০০৮-৯ অর্থবছরে ছিল ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৫৮ হাজার। গত ১০ বছরে ৫৬ লাখেরও বেশি গবাদি পশু উৎপাদন হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি আদর্শ কার্যক্রম, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার এমডিজি’র পর এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে কারিগরি ও সেবা সহায়তা। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও নড়াইল জেলার ৬০টি উপজেলায় ‘দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’- নামে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গ্রামে কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বিজ্ঞানসম্মত গবাদিপশু লালন পালনে। শেখানো হচ্ছে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সংরক্ষণ, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ’সহ নানা কৌশল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উন্নয়ন প্রকল্পের দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন যে গত কয়েক বছরে বেড়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেগুলোকে চিহ্নিত করে এরই মধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জাত উন্নয়ন, কৃত্রিম প্রজনন, মানসম্পন্ন ব্রিড তৈরি করা ছাড়াও খামারিদের নানা ধরনের সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি আদর্শ কার্যক্রম, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার এমডিজি’র পর এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মাঠপর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে কারিগরি ও সেবা সহায়তা। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও নড়াইল জেলার ৬০টি উপজেলায় ‘দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’- নামে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গ্রামে কৃষক পর্যায়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বিজ্ঞানসম্মত গবাদিপশু লালন পালনে। শেখানো হচ্ছে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সংরক্ষণ, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ’সহ নানা কৌশল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উন্নয়ন প্রকল্পের দিলীপ কুমার ঘোষ বলেন, ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন যে গত কয়েক বছরে বেড়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেগুলোকে চিহ্নিত করে এরই মধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জাত উন্নয়ন, কৃত্রিম প্রজনন, মানসম্পন্ন ব্রিড তৈরি করা ছাড়াও খামারিদের নানা ধরনের সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।