দেশ বিদেশ
মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট
১২ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল ও ভূঞাপুর প্রতিনিধি
১১ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
ছবি: ইমরান আলী
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ভোর থেকে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলছে থেমে থেমে। গাড়ির চাপের কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচবার টোল আদায় বন্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির মধ্যে আটকা থেকে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চরম কষ্টে সময় পার করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিপাতের কারণে ও এলেঙ্গায় দুই লেনের সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে গাড়ির গতি কমে আসে। গাড়িগুলো ঠিকমতো টানতে পারে না। অপরদিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং চালকদের প্রতিযোগিতা ও খেয়াল খুশিমতো গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর থেমে থেমে গাড়ি চলাচল করেছে। শনিবার ভোর থেকে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর, দেউহাটা, মির্জাপুর, কাদিমধল্লা, নাটিয়াপাড়া, করটিয়া টাঙ্গাইল শহর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, রসুলপুর ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে হাজারো গাড়ি আটকে পড়েছে। যানজটের কারণে গাড়ির ভেতরে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিনিময় পরিবহনের যাত্রী আনিছুর রহমান জানান, মধুপুর যাওয়ার জন্য শুক্রবার রাত ৯টায় মহাখালী থেকে বাসে উঠেছি। এখন সকাল ৯টা (শনিবার) বাজে। ১২ ঘণ্টায় সবেমাত্র টাঙ্গাইল বাইপাস আসতে পেরেছি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই বিপাকে পড়েছি। শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ঈদে বাড়ি যেতে পরিবারের লোকজন নিয়ে রাত ১০টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেছি। এখন সকাল ৮টা (শনিবার) বাজে কেবল এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যানজটের যে অবস্থা তাতে কখন বাড়ি ফিরতে পারবো তা বলতে পারছি না। আনিছুর, মোজাম্মেলের মতো হাজার হাজার যাত্রীর ভাষ্য একই। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মহিলা যাত্রীদের প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়া নিয়ে। যাত্রী ভোগান্তি ও যানজটের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় দায়িত্বরত মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে না পারায় সেতুর ওপর শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন। তারপরেই এক লেনে এসে গাড়ি ঢুকছে। এ ছাড়া সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জে এক লেনের রাস্তা। এখানে ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ছে গাড়িগুলো। উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়ি টানতে পারছে না। ফলে টোলপ্লাজা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচবার টোল আদায় বন্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। টাঙ্গাইলের পুুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, ঈদের তিনদিন আগের থেকেই ভারি যানবাহন, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক বন্ধ রাখার কথা এসব যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে বিকালের দিকে সড়কের অবস্থা মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। মহাসড়কের তারুটিয়া আন্ডারপাস এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ জানান, সেতুর পশ্চিম অংশের সিরাজগঞ্জ জেলার নলকা ব্রিজ, হাটিকুমরুল আর কড্ডা মোড় এলাকায় পরিবহন টানতে না পারার কারণে সেতু পূর্ব অংশ টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে টাঙ্গাইল অংশের পাকুল্লা, নগরজলফৈ, রাবনা আর এলেঙ্গা বাইপাস ছাড়া প্রায় সব অংশেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিকালের দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। তিনি জানান, মহাসড়কের এ যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ৬৭০ জন সদস্য, ১৯০ জন আনসার কাজ করছেন। এ ছাড়াও মহাসড়কে মলমপার্টি আর ছিনতাইয়ের কবলমুক্ত ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সাদা পোশাকের পুলিশ আর র্যাব।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড: এবারও ঈদযাত্রায় যানবাহন পারাপার এবং টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঈদযাত্রায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ৩৬ হাজার ২৪৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যানবাহন পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রেকর্ড। ছোট-বড় বিপুল সংখ্যক গাড়ি পারাপার হওয়ায় ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। ফলে টোল আদায়ের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ঈদে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ২৭১টি যানবাহন পারাপার হয়। আর টোল আদায় করা হয় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭০ টাকা। যা গত ঈদ যাত্রার চেয়ে ৯৭৭টি বেশি যানবাহন পারাপার হয়। আর ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ২৭০ টাকা বেশি টোল আদায় হয়। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ৩৬ হাজার ২৪৮টি যানবাহন পারাপার হওয়ার মধ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ এ রেকর্ড অর্জন করেছে। যানবাহনের মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ২৪ হাজার ৪৫৪টি এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে ঢাকার দিকে যায় ১১ হাজার ৯৯০টি। আর ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪০ টাকার টোল আদায়ের ফলেও টোল আদায়ের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিপাতের কারণে ও এলেঙ্গায় দুই লেনের সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে গাড়ির গতি কমে আসে। গাড়িগুলো ঠিকমতো টানতে পারে না। অপরদিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং চালকদের প্রতিযোগিতা ও খেয়াল খুশিমতো গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর থেমে থেমে গাড়ি চলাচল করেছে। শনিবার ভোর থেকে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর, দেউহাটা, মির্জাপুর, কাদিমধল্লা, নাটিয়াপাড়া, করটিয়া টাঙ্গাইল শহর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, রসুলপুর ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে হাজারো গাড়ি আটকে পড়েছে। যানজটের কারণে গাড়ির ভেতরে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিনিময় পরিবহনের যাত্রী আনিছুর রহমান জানান, মধুপুর যাওয়ার জন্য শুক্রবার রাত ৯টায় মহাখালী থেকে বাসে উঠেছি। এখন সকাল ৯টা (শনিবার) বাজে। ১২ ঘণ্টায় সবেমাত্র টাঙ্গাইল বাইপাস আসতে পেরেছি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই বিপাকে পড়েছি। শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী মোজাম্মেল হোসেন জানান, ঈদে বাড়ি যেতে পরিবারের লোকজন নিয়ে রাত ১০টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বগুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেছি। এখন সকাল ৮টা (শনিবার) বাজে কেবল এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যানজটের যে অবস্থা তাতে কখন বাড়ি ফিরতে পারবো তা বলতে পারছি না। আনিছুর, মোজাম্মেলের মতো হাজার হাজার যাত্রীর ভাষ্য একই। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মহিলা যাত্রীদের প্রকৃতির ডাকে সারা দেয়া নিয়ে। যাত্রী ভোগান্তি ও যানজটের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় দায়িত্বরত মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরান হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে না পারায় সেতুর ওপর শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে। এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন। তারপরেই এক লেনে এসে গাড়ি ঢুকছে। এ ছাড়া সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জে এক লেনের রাস্তা। এখানে ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ছে গাড়িগুলো। উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়ি টানতে পারছে না। ফলে টোলপ্লাজা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচবার টোল আদায় বন্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। টাঙ্গাইলের পুুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, ঈদের তিনদিন আগের থেকেই ভারি যানবাহন, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক বন্ধ রাখার কথা এসব যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে বিকালের দিকে সড়কের অবস্থা মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। মহাসড়কের তারুটিয়া আন্ডারপাস এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ জানান, সেতুর পশ্চিম অংশের সিরাজগঞ্জ জেলার নলকা ব্রিজ, হাটিকুমরুল আর কড্ডা মোড় এলাকায় পরিবহন টানতে না পারার কারণে সেতু পূর্ব অংশ টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে টাঙ্গাইল অংশের পাকুল্লা, নগরজলফৈ, রাবনা আর এলেঙ্গা বাইপাস ছাড়া প্রায় সব অংশেই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিকালের দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। তিনি জানান, মহাসড়কের এ যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ৬৭০ জন সদস্য, ১৯০ জন আনসার কাজ করছেন। এ ছাড়াও মহাসড়কে মলমপার্টি আর ছিনতাইয়ের কবলমুক্ত ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সাদা পোশাকের পুলিশ আর র্যাব।
বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড: এবারও ঈদযাত্রায় যানবাহন পারাপার এবং টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঈদযাত্রায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ৩৬ হাজার ২৪৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যানবাহন পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রেকর্ড। ছোট-বড় বিপুল সংখ্যক গাড়ি পারাপার হওয়ায় ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। ফলে টোল আদায়ের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ঈদে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ২৭১টি যানবাহন পারাপার হয়। আর টোল আদায় করা হয় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭০ টাকা। যা গত ঈদ যাত্রার চেয়ে ৯৭৭টি বেশি যানবাহন পারাপার হয়। আর ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ২৭০ টাকা বেশি টোল আদায় হয়। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ৩৬ হাজার ২৪৮টি যানবাহন পারাপার হওয়ার মধ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ এ রেকর্ড অর্জন করেছে। যানবাহনের মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ২৪ হাজার ৪৫৪টি এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে ঢাকার দিকে যায় ১১ হাজার ৯৯০টি। আর ২ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৪০ টাকার টোল আদায়ের ফলেও টোল আদায়ের ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড করেছে কর্তৃপক্ষ।