দেশ বিদেশ
ফতুল্লার পশুর হাটে জোর করে আদায় হচ্ছে অতিরিক্ত হাসিল
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১১ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জে অস্থায়ী পশুর হাটে জোরপূর্বক বেশি হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সরকার নির্ধারিত শতকরা ৫ টাকার পরিবর্তে সেখানে আদায় হচ্ছে ৬ টাকা হারে হাসিল। এতে হাট থেকে পশু ক্রয়ের পর হাসিল আদায়ের কাউন্টারে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে ক্রেতা ও হাসিল আদায়ে নিয়োজিতরা। হাটটির ইজারাদার সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির হওয়ায় তার নিয়োজিত ক্যাডাররা ক্রেতাদের হুমকি-ধমকি এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বর্ধিত হাসিল আদায় করছেন। তাদের হাতে লাঞ্ছিত এক ক্রেতা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কিন্তু হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা এ ব্যাপারে একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের লোকজনও এ ব্যাপারে কোনো নজর দিচ্ছে না। হাটে তাদের তেমন নজর নেই। আর পুলিশ বলছে তারা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে দিতে ঈদই শেষ হয়ে যাবে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী হাসিল আদায়ের নিয়ম হচ্ছে শতকরা ৫ টাকা। বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। এদিকে প্রকাশ্যে জোরপূর্বক বেশি হাসিল আদায় করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম তদারকি না থাকায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় হচ্ছে প্রকাশ্যেই। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিরাগঞ্জের ব্যাপারি রেজাউলের কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা মূল্যে একটি গরু কেনেন আলীগঞ্জের বাসিন্দা রমজান আলী। সরকারি নিয়ম অনুসারে ৫ শতাংশ হারে এই গরুর হাসিল আসবে ২ হাজার ১শ’ টাকা। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন জোরপূর্বক ৬ শতাংশ হারে ২ হাজার ৫শ’ টাকা হাসিল আদায় করেন। এর আগে চানমারি এলাকায় যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের হাটেও ৬ শতাংশ করে হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নজরে এলে সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু এরপর আলীগঞ্জ হাটেও ৬ শতাংশ হারে হাসিল আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
এ প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমরা হাটের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি নজর দিচ্ছি। হাসিলের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন যে সংস্থা ইজারা দিয়েছেন তারা। এরপরও যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
একই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া উইং বিশেষ শাখার ডিআইও-টু সাজ্জাদ রোমন বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের লোকজনও এ ব্যাপারে কোনো নজর দিচ্ছে না। হাটে তাদের তেমন নজর নেই। আর পুলিশ বলছে তারা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে দিতে ঈদই শেষ হয়ে যাবে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী হাসিল আদায়ের নিয়ম হচ্ছে শতকরা ৫ টাকা। বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। এদিকে প্রকাশ্যে জোরপূর্বক বেশি হাসিল আদায় করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম তদারকি না থাকায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় হচ্ছে প্রকাশ্যেই। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিরাগঞ্জের ব্যাপারি রেজাউলের কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা মূল্যে একটি গরু কেনেন আলীগঞ্জের বাসিন্দা রমজান আলী। সরকারি নিয়ম অনুসারে ৫ শতাংশ হারে এই গরুর হাসিল আসবে ২ হাজার ১শ’ টাকা। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন জোরপূর্বক ৬ শতাংশ হারে ২ হাজার ৫শ’ টাকা হাসিল আদায় করেন। এর আগে চানমারি এলাকায় যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের হাটেও ৬ শতাংশ করে হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নজরে এলে সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক পরে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু এরপর আলীগঞ্জ হাটেও ৬ শতাংশ হারে হাসিল আদায়ের অভিযোগ ওঠে।
এ প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমরা হাটের নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি নজর দিচ্ছি। হাসিলের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন যে সংস্থা ইজারা দিয়েছেন তারা। এরপরও যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
একই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া উইং বিশেষ শাখার ডিআইও-টু সাজ্জাদ রোমন বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।