এক্সক্লুসিভ
৯৯৯ নম্বরে কল করে রেহাই পেলেন ব্যবসায়ী, আটক ৫
অবৈধ পশুর হাট নিয়ে যে উত্তেজনা সিলেটে
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৮ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
ফাইল ছবি
অবৈধ পশুর হাট নিয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে সিলেটে। এসব হাট নিয়ে আপত্তি আছে বৈধ হাট মালিকদের। এলাকার মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ। এরপরও সিলেট নগর ও আশপাশ এলাকায় প্রায় ২০টি অবৈধ হাট বসানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আর এই হাট বসানোকে কেন্দ্র করে এলাকাভিত্তিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে অবৈধ হাটের মালিকরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সিলেটের শাহী ঈদগাহ এলাকায় এবারো দুটি হাট বসানোর চেষ্টা চলছে। চৌকিদেখি এলাকার মতিন মিয়ার পতিত ভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে পশুর হাট। এসব হাট তুলে নিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হলেও মানা হচ্ছে না। এর বাইরে নগরীর মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, কালিবাড়ি, বাগবাড়ি, মেডিকেল এলাকা, রিকাবীবাজার, শিবগঞ্জ, উপশহর, বোরহান উদ্দিন রোড, মেন্দিবাগ, বালুচর, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী, ঝালোপাড়া এলাকায় হাট বসানোর পাঁয়তারা চলছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেট নগরীতে কাজিরবাজার, লালদিঘীরপাড় ও টিলাগড় ছাড়া আর কোথাও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে হাট নেই। বিষয়টি ইতিমধ্যে পুলিশকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে যেসব হাট রয়েছে সেগুলো অবৈধ। সুতরাং পুলিশ প্রশাসন এখন ব্যবস্থা নেবে। সিলেটের কাজিরবাজার পশুর হাটের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পশুবাহী ট্রাক সিলেটে আসছে। পথিমধ্যে এসব ট্রাক অবৈধ হাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও পশু ব্যাপারীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। এ কারণে ক্রমেই সিলেটবিমুখ হচ্ছেন ব্যাপারীরা। এ হাটের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন লোলন মানবজমিনকে জানিয়েছেন, যারা পশু ব্যাপারী তারা জানমালের নিরাপত্তা চায়। এসব নিরাপত্তা আমরা হাট কর্তৃপক্ষ দেই বলে ব্যাপারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করেন। এ কারণেই ব্যাপারীদের গন্তব্যস্থল থাকে কাজির বাজার পশুর হাট। কিন্তু অবৈধ হাট কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক গরু নিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তিনি বলেন, ব্যাপারীরা পশু নিয়ে সিলেটে না এলে কোনোভাবেই দাম কমবে না। সুতরাং জনস্বার্থে সবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। গতকাল সকালেও কাজিরবাজার পশুর হাটগামী ৬ ট্রাক গরু শাহী ঈদগাহ এলাকার একটি হাটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিলো। পরে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয়রা এতে হস্তক্ষেপ করেন। পুলিশ এসে ওই ট্রাকগুলো ছাড়িয়ে দেয়। সিলেট নগরীর সবক’টি প্রবেশমুখে এখন অবৈধ হাটের লাঠিয়াল বাহিনী অবস্থান করছে। প্রথমে তারা অবস্থান নিয়েছিলো শেরপুরে। সেখান থেকে তাড়া খেয়ে তারা গোয়ালাবাজারে চলে আসে। মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার আরিফ শেখ ট্রাকযোগে ১৮টি গরু নিয়ে সিলেট শহরের দিকে আসছিলেন। ওসমানীনগরের শেরপুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করার পর দুটি মোটরসাইকেলের ৫ আরোহী গরুবোঝাই ট্রাকটিকে থামার সংকেত দেয়। ট্রাকটি ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলের ৫ আরোহী ট্রাকের গতিরোধ করে উঠে যায়। এ সময় তারা গরুর মালিকের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। গরুর মালিক কৌশলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চাইলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করেন। ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চাইলে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২টি মোটরসাইকেলসহ ৫ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে সিলেট নগরীর মাছিমপুর গ্রামের আবুল কালাম দিপু, সিলেট উপশহরের সৈয়দ তাফরিদ চৌধুরী মাহির, সিলেট সদরের নোয়াগাঁও সাদীপুর এলাকার শাকিল আলম খান, মোগলাবাজার থানার সিলাম গ্রামের শামছুল ইসলাম রুমন এবং দক্ষিণ সুরমার বলি গ্রামের মেহের হাসান। তাদের বিরুদ্ধে গরুর মালিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদিকে সিলেট নগরীর চৌকিদেখী এলাকায় একটি অবৈধ পশুর হাট নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সিলেট নগরীর ৬ নং ওয়ার্ডের চৌকিদেখীস্থ আনোয়ার মতিন একাডেমির পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় অবৈধ গরুর হাট বসানো হয়েছে। এটি বন্ধে সিলেট বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এলাকাবাসী।
গত ৪ঠা আগস্ট পুলিশ কমিশনার বরাবরে ৫১ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, একটি সুবিধাভোগী চক্র এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে চৌকিদেখীস্থ আনোয়ার মতিন একাডেমি সংলগ্ন খালি জায়গায় অবৈধ গরুর হাট স্থাপন করে মুনাফা লাভের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এখানে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি মসজিদ, একটি ক্লিনিক রয়েছে। এখানে অবৈধ পশুর হাটের কারণে আশপাশের এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এমনিতে সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় জনদুর্ভোগের শেষ নেই। এলাকাবাসীর নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশের স্বার্থে আনোয়ার একাডেমির পাশে খালি জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যাপারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গিয়ে হাট তুলে নিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে আসে। কিন্তু গতকাল আবার মাইক লাগিয়ে এই হাট থেকে পশু কেনার অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকেও অবগত করা হয়েছে। সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলের পাশে আরো একটি পশুর হাট বসানো হয়েছে। জনস্বার্থে হাট বসানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও অনুমোদন না থাকার কারণে এই হাটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
গত ৪ঠা আগস্ট পুলিশ কমিশনার বরাবরে ৫১ জন এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, একটি সুবিধাভোগী চক্র এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে চৌকিদেখীস্থ আনোয়ার মতিন একাডেমি সংলগ্ন খালি জায়গায় অবৈধ গরুর হাট স্থাপন করে মুনাফা লাভের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এখানে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি মসজিদ, একটি ক্লিনিক রয়েছে। এখানে অবৈধ পশুর হাটের কারণে আশপাশের এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এমনিতে সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় জনদুর্ভোগের শেষ নেই। এলাকাবাসীর নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশের স্বার্থে আনোয়ার একাডেমির পাশে খালি জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যাপারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গিয়ে হাট তুলে নিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে আসে। কিন্তু গতকাল আবার মাইক লাগিয়ে এই হাট থেকে পশু কেনার অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকেও অবগত করা হয়েছে। সিলেটের এমসি কলেজের হোস্টেলের পাশে আরো একটি পশুর হাট বসানো হয়েছে। জনস্বার্থে হাট বসানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও অনুমোদন না থাকার কারণে এই হাটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।