বিশ্বজমিন
স্ত্রীর দেহে এইচআইভি ছড়িয়ে দিলেন স্বামী
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১:০৬ পূর্বাহ্ন
স্ত্রীর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণের দায়ে এক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করছেন এক বৃটিশ নারী। এতে তিনি ৫০ হাজার পাউন্ড দাবি করছেন। বৃটেনে একে একটি ঐতিহাসিক মামলা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ওই নারী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরে তার পরীক্ষা নিরীক্ষায় এইডস ধরা পড়ে। এখন তিনি দাবি করছেন, ভয়াবহভাবে অবহেলা করা হয়েছে তার প্রতি। সাত বছরের দাম্পত্য তাদের। এ সময়ে তার অজ্ঞাতে অনেক পুরুষ ও নারীর সঙ্গে তার স্বামী অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। আর এর মাধ্যমে তিনি এইচআইভি নিজের শরীরে বহন করছেন। তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্নজনের দেহে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।
রিপোর্টে ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয় নি। তিনি ৩৬ বছর বয়সী একজন যুবতী। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি এইচআইভিতে আক্রান্ত। এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, এই ভাইরাস আমার দেহে ঢুকিয়ে দিয়েছে আমার স্বামী। তার প্রতি আমি খুব বিশ্বস্ত ছিলাম। কিন্তু সেই আমার সঙ্গে এমনটা করলো! আমার দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করেছে একমাত্র যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে। আমি তো এ সম্পর্ক এ যাবত শুধু আমার স্বামীর সঙ্গেই স্থাপন করেছি।
স্বামীর কাছ থেকে বর্তমানে ওই যুবতী সেপারেট বা আলাদা থাকছেন। তার স্বামীর এইচআইভি আছে এ বিষয়টি তার স্বামী জানতেন না বলে মনে করেন না ওই যুবতী। তিনি তা গোপন করে তার সঙ্গে অব্যাহতভাবে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে গেছেন। একই সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তিনি অন্যদের সঙ্গেও। নিজের শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ার পর পরই ওই যুবতী ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমার স্বামী অন্য আরো মানুষের শয্যা গ্রহণ করেছে এবং তাদের দেহেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে। তার ভাষায়, আমার দেহে এইচআইভি ভাইরাস আছে এ বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করলাম। বললাম- আমার দেহে এইচআইভি ধরা পড়েছে। এ কথা শুনে সে নীরব হয়ে রইল। কিছুক্ষণ পরে বললোÑ ঠিক আছে। এর দু’দিন পরে সে একটি ম্যাসেজ পাঠায়। তাতে সে আমাকে এ জন্য দায়ী করে যে, সে মারা যাচ্ছে, আমি কেন তা বিশ্বাস করি না।
নিজের স্বামী সম্পর্কে ওই নারী বলেন, সে ভীষণ স্বার্থপর। বর্তমানে তিনি চিকিৎসায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন। কিন্তু তার স্বামী তাকে বলেছিলেন, বাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্য অতিমাত্রায় ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারের জন্য তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ওই নারী বলেন, তার এ কথার পরই আমি আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নিই। জেনেশুনে তার শরীরে এইচআইভি প্রবেশ করিয়ে দেয়ার জন্য তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার পাউন্ডের মামলা করা হচ্ছে।
রিপোর্টে ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয় নি। তিনি ৩৬ বছর বয়সী একজন যুবতী। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি এইচআইভিতে আক্রান্ত। এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, এই ভাইরাস আমার দেহে ঢুকিয়ে দিয়েছে আমার স্বামী। তার প্রতি আমি খুব বিশ্বস্ত ছিলাম। কিন্তু সেই আমার সঙ্গে এমনটা করলো! আমার দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করেছে একমাত্র যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে। আমি তো এ সম্পর্ক এ যাবত শুধু আমার স্বামীর সঙ্গেই স্থাপন করেছি।
স্বামীর কাছ থেকে বর্তমানে ওই যুবতী সেপারেট বা আলাদা থাকছেন। তার স্বামীর এইচআইভি আছে এ বিষয়টি তার স্বামী জানতেন না বলে মনে করেন না ওই যুবতী। তিনি তা গোপন করে তার সঙ্গে অব্যাহতভাবে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে গেছেন। একই সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তিনি অন্যদের সঙ্গেও। নিজের শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ার পর পরই ওই যুবতী ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমার স্বামী অন্য আরো মানুষের শয্যা গ্রহণ করেছে এবং তাদের দেহেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে। তার ভাষায়, আমার দেহে এইচআইভি ভাইরাস আছে এ বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করলাম। বললাম- আমার দেহে এইচআইভি ধরা পড়েছে। এ কথা শুনে সে নীরব হয়ে রইল। কিছুক্ষণ পরে বললোÑ ঠিক আছে। এর দু’দিন পরে সে একটি ম্যাসেজ পাঠায়। তাতে সে আমাকে এ জন্য দায়ী করে যে, সে মারা যাচ্ছে, আমি কেন তা বিশ্বাস করি না।
নিজের স্বামী সম্পর্কে ওই নারী বলেন, সে ভীষণ স্বার্থপর। বর্তমানে তিনি চিকিৎসায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন। কিন্তু তার স্বামী তাকে বলেছিলেন, বাড়ি পরিষ্কার রাখার জন্য অতিমাত্রায় ব্লিচিং পাউডার ব্যবহারের জন্য তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ওই নারী বলেন, তার এ কথার পরই আমি আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নিই। জেনেশুনে তার শরীরে এইচআইভি প্রবেশ করিয়ে দেয়ার জন্য তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার পাউন্ডের মামলা করা হচ্ছে।