শেষের পাতা
প্রিয়া সাহা প্রসঙ্গে কাদের
মশা মারতে কামান দাগাতে চাই না
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করা বাংলাদেশের নারী প্রিয়া সাহার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মশা মারতে কামান দাগাতে চাই না। তার বিষয়ে সরকার ধীর গতিতে এগোচ্ছে। বিষয়টার গভীরে আমরা যাচ্ছি, সবকিছু জেনেশুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন প্রিয়া সাহা তার তখনকার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যে তিন কোটি ৭০ লাখ লোক মিসিং-এ কথা তো নেই। শেখ হাসিনা তো এরকম কোনো কথা বলতে পারেন না। এ ধরনের বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বলা, এটা আমাদের দেশকে ছোট করা। এটা একটা কাল্পনিক বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য। আমরা রয়ে-সয়ে অগ্রসর হচ্ছি, মশা মারতে আমরা কামান দাগাতে চাই না। তিনি বলেন, বিষয়টা আমরা আরও খোঁজ-খবর নিয়েছি,এসব বক্তব্য দেয়ার পেছনে অন্য কারো হাত আছে কি না এবং তিনি যখন দেশে ফিরবেন, তিনি বলেছেন দেশে ফিরবেন... তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যে, তিনি কী উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেন বলেছেন, কী ইনফরমেশনের ভিত্তিতে বলেছেন-সেটা তাকে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ, দেশে গোটা জাতির মধ্যে কনফিউশন সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা মাইনরিটি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যের সাথে সংখ্যা তত্ত্বের এই বিষয়টাতে কোনো মিল নেই। প্রিয়া সাহার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চাকরি করেন-এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, উনার স্বামী সরকারি চাকরি করেন। এক পরিবারে স্বামী-স্ত্রী-ছেলে- মেয়ে সবাই এক মতালম্বী হবেন- এমন তো কোনো কথা নয়। উনার স্ত্রী অন্যায় করলে,সেটার জন্য স্বামীকে কেন অভিযুক্ত করতে হবে-এটা তো কোনো আইনে নেই। আমরা অহেতুক এ ধরনের বিষয়কে কেন ইনভাইট করতে যাব। প্রিয়া দেশে না এলে কী ব্যবস্থা নেবেন-এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,উনি নিজেই বলেছেন দেশে ফিরে আসবেন। আর এটা এমন একটা বিষয় নয় যে, জোর করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে, এরকম কিছু আমরা পাইনি। আমরা খতিয়ে দেখছি,সেরকম কিছু হলে পরে দেখা যাবে। প্রিয়া সাহার বিষয়ে সরকার ব্যাকফুটে গেল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ব্যাকফুটের কোনো বিষয় না। উনি এনজিও সংগঠনের নেতৃত্ব দেন, আবার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাপেক্স বডির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি। কাজেই এটাকে তো তুচ্ছ জ্ঞান আমরা করতে পারি না।
এটা তার নিজের নাকি শেখানো কথা, কী মনে করছেন-এ বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সেটা আমাদের জানা নেই। কারো প্ররোচনা কাজ করেছে কি-না, পেছনে কোনো রাজনৈতিক মতলব আছে কি-না, উস্কানি আছে কি-না, বিষয়টা আমাদের জানতে হবে এবং আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। সারাদেশে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে-এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তারা বিষয়টির পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, এটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন। পিটিয়ে মানুষ মারার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ আসছে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,দলীয় নেতাকর্মী কেউ যদি জড়িত থাকে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা আপসহীন। সবার ক্ষেত্রে একই রকমের আইন প্রযোজ্য হবে, একই রকমের ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। দলীয় লোকের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা শেখ হাসিনার সরকার কখনও করেনি, এখনও করবেন না, ভবিষ্যতেও না।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় দশ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে তিন দিন ও পরের তিন দিন ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। পচনশীল দ্রব্য,গার্মেন্ট ও ওষুধবাহী যানবাহন যথারীতি চলবে। তিনি বলেন,এছাড়া ঈদের আগের সাতদিন এবং পরের তিন দিন মোট ১০ দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। গার্মেন্ট কর্মীদের ঈদের সময় বিআরটিসি বাস দিয়ে সহযোগীতা করা হবে এবং ধাপে ধাপে ছুটির বিষয়ে মালিকদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সড়কের কারণে যানজটের সৃষ্টি হবে না আশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বন্যা কবলিত এলাকায় সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হচ্ছে। মহাসড়কে কোথাও সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কোন কারণ নেই, সব গুড শেইপে রয়েছে এবং ভালও থাকবে। সেতুমন্ত্রী বলেন,যত্রতত্র পশুর হাট যেন না বসে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানোনো হয়েছে, রাস্তা এবং রাস্তার আশে পাশে যেন পশুর হাট না বসে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা মাইনরিটি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যের সাথে সংখ্যা তত্ত্বের এই বিষয়টাতে কোনো মিল নেই। প্রিয়া সাহার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চাকরি করেন-এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, উনার স্বামী সরকারি চাকরি করেন। এক পরিবারে স্বামী-স্ত্রী-ছেলে- মেয়ে সবাই এক মতালম্বী হবেন- এমন তো কোনো কথা নয়। উনার স্ত্রী অন্যায় করলে,সেটার জন্য স্বামীকে কেন অভিযুক্ত করতে হবে-এটা তো কোনো আইনে নেই। আমরা অহেতুক এ ধরনের বিষয়কে কেন ইনভাইট করতে যাব। প্রিয়া দেশে না এলে কী ব্যবস্থা নেবেন-এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,উনি নিজেই বলেছেন দেশে ফিরে আসবেন। আর এটা এমন একটা বিষয় নয় যে, জোর করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে, এরকম কিছু আমরা পাইনি। আমরা খতিয়ে দেখছি,সেরকম কিছু হলে পরে দেখা যাবে। প্রিয়া সাহার বিষয়ে সরকার ব্যাকফুটে গেল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ব্যাকফুটের কোনো বিষয় না। উনি এনজিও সংগঠনের নেতৃত্ব দেন, আবার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাপেক্স বডির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি। কাজেই এটাকে তো তুচ্ছ জ্ঞান আমরা করতে পারি না।
এটা তার নিজের নাকি শেখানো কথা, কী মনে করছেন-এ বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সেটা আমাদের জানা নেই। কারো প্ররোচনা কাজ করেছে কি-না, পেছনে কোনো রাজনৈতিক মতলব আছে কি-না, উস্কানি আছে কি-না, বিষয়টা আমাদের জানতে হবে এবং আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। সারাদেশে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে-এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তারা বিষয়টির পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, এটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন। পিটিয়ে মানুষ মারার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ আসছে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,দলীয় নেতাকর্মী কেউ যদি জড়িত থাকে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা আপসহীন। সবার ক্ষেত্রে একই রকমের আইন প্রযোজ্য হবে, একই রকমের ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। দলীয় লোকের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা শেখ হাসিনার সরকার কখনও করেনি, এখনও করবেন না, ভবিষ্যতেও না।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় দশ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে তিন দিন ও পরের তিন দিন ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। পচনশীল দ্রব্য,গার্মেন্ট ও ওষুধবাহী যানবাহন যথারীতি চলবে। তিনি বলেন,এছাড়া ঈদের আগের সাতদিন এবং পরের তিন দিন মোট ১০ দিন সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। গার্মেন্ট কর্মীদের ঈদের সময় বিআরটিসি বাস দিয়ে সহযোগীতা করা হবে এবং ধাপে ধাপে ছুটির বিষয়ে মালিকদের যথাযথ উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সড়কের কারণে যানজটের সৃষ্টি হবে না আশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের বন্যা কবলিত এলাকায় সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হচ্ছে। মহাসড়কে কোথাও সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কোন কারণ নেই, সব গুড শেইপে রয়েছে এবং ভালও থাকবে। সেতুমন্ত্রী বলেন,যত্রতত্র পশুর হাট যেন না বসে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানোনো হয়েছে, রাস্তা এবং রাস্তার আশে পাশে যেন পশুর হাট না বসে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।