বাংলারজমিন

আলোচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর ইউপি নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে

২২ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন আগামী ২৫শে জুলাই। নানা কারণে আলোচিত হয়ে উঠেছে এই ইউনিয়নের নির্বাচন। ২৫শে জুলাই নির্বাচনে কি হয় সেদিকেই এখন সবার নজর। নির্বাচনে ৪ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনকে সামনে রেখেই চলছে হিসাব-নিকাশ। তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের শেখ ওমর ফারুক (নৌকা), স্বতন্ত্র শেখ মো. মহসীন (আনারস) ও মো. সোহরাব খান (ঘোড়া)। সোহরাব খানের ছেলে মো. সাকিরুল আলম খান (চশমা) আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে পিতা-পুত্রের লড়াইয়ে পিতাকেই মূল প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সব প্রার্থীর অভিযোগের আঙুল উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও’র দিকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব খান বলেন- ফিরোজুর রহমান ওলিও মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে মাঠে নেমে ছেলের নির্বাচন করছেন। তিনি উপজেলার সকলের অভিভাবক। সে জায়গায় তিনি একজনের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আরেক প্রার্থী শেখ মো. মহসীন বলেন- সুলতানপুরের মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে। সেজন্য তারা সুষ্ঠু ভোট কামনা করছেন। ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ফিরোজুর রহমান ওলিও গত ৩১শে মার্চ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফিরোজুর রহমান ওলিও’র সঙ্গে তার ছেলে শেখ ওমর ফারুকও উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে অবশ্য প্রত্যাহার করে নেন। ৪ মাস পর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ফারুক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এনে চমক সৃষ্টি করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ওলিও। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন। ফলে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। সরজমিন খোঁজখবরে জানা গেছে সোহরাব খান ফিরোজুর রহমান ওলিও’র ডান হাত বলেই পরিচিত। কিন্তু ইউপি নির্বাচনে ওলিও তার ছেলেকে নিয়ে আসায় সোহরাব খান বিদ্রোহী প্রার্থী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব খান বলেন- ফারুক তার পোস্টারে লিখেছে ‘শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী’। আসলে কথাটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত হওয়ার কথা। এতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন আমি ওমরের পিতা ফিরোজুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এটা ঠিক। তার ৫/৬টি নির্বাচনে আমি তাকে সমর্থন দিয়েছি। সেই হিসেবে তার কাছে আমার দাবি ছিল বেশি। কিন্তু তিনি তার ছেলের জন্য দলের মনোনয়ন নিয়ে এলেন। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু করার দাবি জানিয়ে বলেন, একটা পক্ষতো পয়সাওয়ালা। সেটাই ভয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ৭জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে মীর মো. মহসীন মিয়া, সুধীর চন্দ্র ঘোষ ও মো. জসিম উদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এই ইউনিয়নের মোট ভোটার ২১ হাজার ২৯৪। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৯২৯ আর মহিলা ১০ হাজার ৩৬৫। ১০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। গভীর রাতেও সিএনজি অটোরিকশায় একাধিক মাইক লাগিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগও আছে। তবে এসব বিষয় দেখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুবায়ের হোসেন বলেন- আমার চোখে এমন কিছু পড়েনি। আমার কাছে মনে হচ্ছে পরিবেশ ঠিক আছে। যারা প্রার্থী তারা এমনিতেই উদ্বিগ্ন। ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু করার পদক্ষেপ হিসেবে ৪জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জান্নাত জাহান। ২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ২০ জনের ২টি দল এবং পুলিশের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে বলে জানান তিনি। প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ থাকবে ৭ জন করে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status