শেষের পাতা

মাদ্রাসাছাত্রীকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

২১ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

অভিযুক্ত সাজ্জাদ

মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি আক্তার হত্যা রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে র‌্যাব। একইসঙ্গে ঘাতক ইজিবাইক চালক সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, দশম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তিকে ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ ইজিবাইক থেকে নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করতে একটি পরিত্যক্ত পুকুরে ইট বেঁধে ডুবিয়ে রাখা হয়। গতকাল র‌্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করে দীপ্তির হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন তিনি।
হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ১৩ই জুলাই অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার ও পরে মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তির লাশ হিসেবে পরিচয় পাওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে মাদারীপুর র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা। লাশ উদ্ধার হওয়া পরিত্যক্ত পুকুরে ১৮ই জুলাই আবার তল্লাশি করে র‌্যাব। সেখান থেকে একটি ব্যাগে দীপ্তির পোশাক পাওয়া যায়। এই সূত্র ধরে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। তাদের তদন্তে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইজিবাইক চালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের জড়িত হওয়ার সন্দেহ হয়। তাই সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ র‌্যাবের কাছে দীপ্তিকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
সাজ্জাদ হোসেনের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে র‌্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম জানান, গত ১১ই জুলাই বোনের বাসা থেকে শহরের চরমুগরীয়ায় চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য ইটেরপোল এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে ওঠে। ইজিবাইকে আর কোনো যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি থাকায় ইজিবাইক চালক সাজ্জাদ দীপ্তিকে জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দীপ্তিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে কয়েকটি ইটসহ দীপ্তির পোশাকবিহীন লাশটি বেঁধে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়। দুইদিন পর লাশটি ভেসে উঠলে দীপ্তি হত্যার ঘটনাটি সামনে চলে আসে।
উল্লেখ্য, ১৩ই জুলাই মাদারীপুরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দীপ্তির বাবা হাসপাতালে এসে লাশটি তার মেয়ে দীপ্তির বলে নিশ্চিত করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status