বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে ছেলেধরা গুজব নিখোঁজ স্কুলছাত্র কুমিল্লায় উদ্ধার
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
২১ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
পদ্মা সেতুর শিশুদের মাথা লাগবে ছেলেধরা গুজবের আতঙ্কে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ গুজবের কারণে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে ভুয়া গুজব সর্বত্র ফেসবুকে রটাচ্ছেন কিছু চক্র এতে শিশুদের মনে আতঙ্কের মাত্রা আরো বেশি ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে গত দুদিন ধরে নিখোঁজ শহরের উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র ১২ বছরের নাদিম মিয়াকে কুমিল্লা রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল থানার এসআই আল আমিন। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে নাদিম কুমিল্লা রেলস্টেশনে কান্নাকাটি করছিল এ অবস্থায় এক ভদ্রলোক তাকে পান। এরপর সে বলছে, তার আম্মুর সঙ্গে কথা বলবে। নাদিম তার মায়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বললে তিনি ওই নম্বরে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলান। তখন তার মা বুঝলেন তার ছেলে নাদিমই কথা বলেছে। সঙ্গে সঙ্গে নাদিমের বাবা ফরিদ তাকে নিয়ে আসার জন্য কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে বাসা পাশে খেলার মাঠ থেকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে আত্মীয়স্বজনসহ কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার পরিবার থেকে জানানো হয়। এ ঘটনায় রাতেই শিশু নাদিমের পিতা ফরিদ মিয়া শ্রীমঙ্গল থানায় পুত্র নিখোঁজের ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করেন। এদিকে নাদিমের নিখোঁজের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অভিভাবকদের মাঝে ‘দেশব্যাপী শিশুদের কল্লাকাটার যে গুজব’ আতঙ্ক তা আরো বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। নাদিম শ্রীমঙ্গল শহরের বিরাহিমপুর (নিউ পূর্বাশা) এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম ফরিদ মিয়া। তিনি পদ্মা ওয়েল কোম্পানিতে কর্মরত। তিন ভাইয়ের মাঝে নাদিম মেজো। উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবিতা রানী দাস বলেন, ছেলে ধরা আতংকে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৫০ ভাগ কমে গেছে। গত সপ্তাহ হতে শনিবার পর্যন্ত প্রথম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি হার বেশি কমেছে। যাদের উপস্থিতি আছে তাদের অভিভাবকরা এখন স্কুলে এসে বসে থাকেন। অনেকে মোবাইল ফোনে কল করে ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন। এ ব্যাপারে গুজব রোধে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।