দেশ বিদেশ
কার্যালয়ের বাইরে সমাবেশ করতে না দেয়ার অভিযোগ বিএনপির
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
দলীয় কার্যালয়ের বাইরে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির প্রতি এটি অমানবিক আচরণ। গতকাল দুপুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আগামী ২০শে জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে ডা. শাহাদাত বলেন, বিএনপি সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও চট্টগ্রামে তেমন কোনো কর্মসুচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। সমাবেশের জন্য আবেদন করেও অনুমতি মিলছে না। সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার জন্য পুলিশের দিকে আঙুল তুলেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলংকজনক দিন। ওই দিন এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর থেকে দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে তিনি কারাগারে বন্দি। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভূগছেন দেশনেত্রী বেগম খলেদা জিয়া। কারাগারে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দমত একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হোক। কিন্তু সরকার এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে তাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এখনও আমরা তার সুচিকৎসা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। শাহাদাত বলেন, জামিন পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। অথচ সরকার খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করে তাকে জামিন পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। সরকার ভীত হয়ে খালেদা জিয়াকে গায়ের জোরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সব মিলিয়ে সরকার তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে সুকৌশলে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অশুভ উদ্দেশ্যেই তার চিকিৎসা ও মুক্তিতে বাধা দিচ্ছে।
শাহাদাত বলেন, দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, হামলা-মামলা, প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লার আদালতে বিচারকের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করছে। সরকার বিনা কারণে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সংকটকালে গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় দেশের মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন যাপন করছে। বিনা ভোটের অস্বাভাবিক সরকার আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ, সংসদ ও প্রশাসনযন্ত্র নিজেদের কবজায় নিয়ে সরকার দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার সাজা বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানানো হয়। একই সাথে ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দেয়া হাজার হাজার মিথ্যা গায়েবি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। আগামী ২০শে জুলাই নগরীর লালদীঘির পাড়স্থ জেলাপরিষদ চত্ত্বর অথবা কাজীর দেউরী মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনাও করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সমপাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশিদ ভিপি, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সহ-দপ্তর সমপাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
শাহাদাত বলেন, দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ, হামলা-মামলা, প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুমিল্লার আদালতে বিচারকের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করছে। সরকার বিনা কারণে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম পানিতে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সংকটকালে গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রব্যবস্থায় দেশের মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন যাপন করছে। বিনা ভোটের অস্বাভাবিক সরকার আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ, সংসদ ও প্রশাসনযন্ত্র নিজেদের কবজায় নিয়ে সরকার দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার সাজা বাতিল করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানানো হয়। একই সাথে ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দেয়া হাজার হাজার মিথ্যা গায়েবি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। আগামী ২০শে জুলাই নগরীর লালদীঘির পাড়স্থ জেলাপরিষদ চত্ত্বর অথবা কাজীর দেউরী মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনাও করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সমপাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশিদ ভিপি, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সহ-দপ্তর সমপাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ।