অনলাইন

বন্যা পরিস্থিতি অবনতি:

গাইবান্ধার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ, ৪ উপজেলা বিচ্ছিন্ন

সিদ্দিক আলম দয়াল, গাইবান্ধা থেকে

১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার চার উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রক্ষ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৮৯ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি বিপদসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সদরের গোদার হাটে সোনাইল বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে বাড়িঘরে। ডিসির বাংলো, জজের বাড়ি, পুলিশ লাইনসহ সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা প্লাবিত হয়েছে।

রেল সুত্র জানায়, আজ পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধার বাদিয়াখালীতে রেল লাইনে পানি ওঠে গেছে। ফলে দুপুর ১২টা থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগায়োগ বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে সড়কে পানি ওঠায় গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়ক, গাইবান্ধা বালাসী ও কালিরজাজার সড়ক, গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরে পানি ওঠায় অধিকাংশ এলাকা এখন পানির নিচে।

তড়িৎ গতিতে পানি প্রবেশ করায় বাড়িঘরের জরুরি মালামাল সরিয়ে নিতে পারেনি অনেকে। এদিকে চরাঞ্চল ডুবে যাওয়ায় চরের লোকজন তাদের বাড়িঘর সরিয়ে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন। অনেকেই কোন রকমে ঠাঁই নিয়েছেন বিভিন্ন শহরক্ষা বাঁধ ও নদী তীরবর্তী রাস্তাগুলোতে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার পরিবার। এসব এলাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও পয়:নিষ্কাশনের। এদিকে ডুবে যাওয়ায় ১১৫টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও পানির তোড়ে ধসে গেছে ৪ কিলোমিটার বাঁধ। কালভাট ধসে গেছে ৬টি। ১১৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্ত মানুষ গবাদী পশু নিয়ে গদাগাদী করে অবস্থান করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানান বন্যার্তরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status