খেলা
ভাইয়ের মৃত্যুর খবর গোপন রেখেছিলেন জফরা আর্চার!
স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ১২:০৩ অপরাহ্ন
পুরো টুর্নামেন্টে বল হাতে গতি ঝরিয়েছেন ইংলিশ গতি তারকা জফরা আর্চার। লর্ডসের মহাকাব্যিক ফাইনালে সুপার ওভারের বল করে স্বপ্নের বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ইংলিশদের। আর এই টুর্নামেন্টে পুরোটা সময় নিজের ব্যক্তিগত শোকের কথা গোপন করে খেলে গেছেন ২৪ বছর বয়সী এই বার্বাডিয়ান ইংলিশ পেসার। ভাইয়ের মৃত্যু শোক আর্চারকে এতোটুকু কাবু করতে পারেনি। বিশ্বকাপ শেষে বিষয়টি জানালেন জফরার বাবা ফ্রাঙ্ক আর্চার। তিনি বলেন, ‘জফরা আর আশানসিয়ো (চাচাতো ভাই) সমবয়সি। তারা খুব ঘনিষ্ঠও ছিল। মৃত্যুর কয়েক দিন আগেও ওরা মেসেজে কথা বলেছে। জানি এই খবরে কতটা ভেঙে পড়েছিল জফরা। কিন্তু তার পরেও খেলা চালিয়ে গিয়েছে।’
ঘটনাটি ঘটে ৩১ শে মে সন্ধ্যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিন। বার্বাডোজের সেন্ট ফিলিপে নিজের বাড়ির সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন আশানসিয়ো ব্ল্যাকম্যান (২৪)। আশানসিয়ো জফরার চাচাতো ভাই।
কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদটি জফরা কাউকে জানাতে চাননি। জফরা ভেবেছিল খবরটি জানাজানি হলে বারবার এই নিয়ে কথা হতো। যা ক্রিকেট থেকে তার মনযোগ সরে যেতে পারতো। পুরো টুর্নামেন্টে ভাই হারানোর শোক নিয়ে খেলেছেন। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেননি। এনিয়ে জফরার বাবা বলেন, ‘আট বছর বয়স থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ড দলে খেলার। অনেকেই প্রশ্ন তুলতেন, আমার ছেলে কতটা বৃটিশ তা নিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপে জফরা যে ভাবে খেললো, তাতে ইংল্যান্ডের তরুণরাই অনুপ্রাণিত হবে। এখনও ইংল্যান্ডে ক্রিকেট অভিজাতদের খেলা। জফরার জন্যই হয়তো ইংল্যান্ডে ক্রিকেট জনসাধারণের খেলা হয়ে উঠবে। সেমিফাইনালের পরেই ওকে বলেছিলাম, এখন তোমার সময়। নিজের সেরাটা দেয়ার জন্য কাজ করো। তা হলেই একমাত্র ইংল্যান্ডের ক্রিকেট-নায়করা বুঝতে পারবে তোমার মূল্য।’
ঘটনাটি ঘটে ৩১ শে মে সন্ধ্যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দিন। বার্বাডোজের সেন্ট ফিলিপে নিজের বাড়ির সামনে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন আশানসিয়ো ব্ল্যাকম্যান (২৪)। আশানসিয়ো জফরার চাচাতো ভাই।
কিন্তু ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদটি জফরা কাউকে জানাতে চাননি। জফরা ভেবেছিল খবরটি জানাজানি হলে বারবার এই নিয়ে কথা হতো। যা ক্রিকেট থেকে তার মনযোগ সরে যেতে পারতো। পুরো টুর্নামেন্টে ভাই হারানোর শোক নিয়ে খেলেছেন। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেননি। এনিয়ে জফরার বাবা বলেন, ‘আট বছর বয়স থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ড দলে খেলার। অনেকেই প্রশ্ন তুলতেন, আমার ছেলে কতটা বৃটিশ তা নিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপে জফরা যে ভাবে খেললো, তাতে ইংল্যান্ডের তরুণরাই অনুপ্রাণিত হবে। এখনও ইংল্যান্ডে ক্রিকেট অভিজাতদের খেলা। জফরার জন্যই হয়তো ইংল্যান্ডে ক্রিকেট জনসাধারণের খেলা হয়ে উঠবে। সেমিফাইনালের পরেই ওকে বলেছিলাম, এখন তোমার সময়। নিজের সেরাটা দেয়ার জন্য কাজ করো। তা হলেই একমাত্র ইংল্যান্ডের ক্রিকেট-নায়করা বুঝতে পারবে তোমার মূল্য।’