বিশ্বজমিন
প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে চীনের অর্থনীতি
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:২৯ অপরাহ্ন
প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে চীনের অর্থনীতি। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি বেড়েছে ৬.২ শতাংশ। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিক থেকে বর্তমান পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে এটাই দেশটির সর্বনিন্ম প্রবৃদ্ধি। সরকারি জরিপের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, চলতি বছর ব্যয় বাড়িয়ে ও কর কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলছে তাদের কয়েক হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যযুদ্ধ। ওই বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রবৃদ্ধির হার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছিলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চীনের অর্থনীতি।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। গত বছর ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, দেশের বাইরে ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে।
প্রবৃদ্ধি কমলেও শিল্প খাতে গতি বেড়েছে দেশটির। গত বছরের চেয়ে এ বছরের জুনে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে খুচরা বিক্রয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব
চীনের অর্থনীতির ধীর প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। আশঙ্কা করছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর বড় প্রভাব পড়বে। চলতি বছরে শুরুতে, করহার কমিয়ে ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ব্যাংকগুলোয় রিজার্ভে রাখা নির্ধারিত নগদ অর্থের পরিমাণ কমিয়েছে দেশটির সরকার। বিদেশি অর্থ বিনিময় প্রতিষ্ঠান ওআন্ডা’র জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, সাম্প্রতিক জরিপ থেকে দেখে যায় যে, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আরো উদ্যোগের ঘোষণা পেতে পারে।
মোয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ তাদের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমার মতে, চীনা অর্থনীতির এই দুঃসময় আরো দীর্ঘ সময় থাকতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কোনো টেকসই চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। গত মাসের জি২০ বৈঠকে ফের আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই পক্ষ।
খবরে বলা হয়, চলতি বছর ব্যয় বাড়িয়ে ও কর কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলছে তাদের কয়েক হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যযুদ্ধ। ওই বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রবৃদ্ধির হার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছিলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চীনের অর্থনীতি।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। গত বছর ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, দেশের বাইরে ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে।
প্রবৃদ্ধি কমলেও শিল্প খাতে গতি বেড়েছে দেশটির। গত বছরের চেয়ে এ বছরের জুনে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। একই সময়ের ব্যবধানে খুচরা বিক্রয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব
চীনের অর্থনীতির ধীর প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। আশঙ্কা করছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর বড় প্রভাব পড়বে। চলতি বছরে শুরুতে, করহার কমিয়ে ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ব্যাংকগুলোয় রিজার্ভে রাখা নির্ধারিত নগদ অর্থের পরিমাণ কমিয়েছে দেশটির সরকার। বিদেশি অর্থ বিনিময় প্রতিষ্ঠান ওআন্ডা’র জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলেন, সাম্প্রতিক জরিপ থেকে দেখে যায় যে, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আরো উদ্যোগের ঘোষণা পেতে পারে।
মোয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ তাদের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমার মতে, চীনা অর্থনীতির এই দুঃসময় আরো দীর্ঘ সময় থাকতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যযুদ্ধের অবসান ঘটাতে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কোনো টেকসই চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। গত মাসের জি২০ বৈঠকে ফের আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই পক্ষ।