বাংলারজমিন
হত্যা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১৬ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। আরো ৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। গতকাল জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এসব মামলার রায় প্রদান করেন। জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা এলাকার তুষার মিয়া হত্যা মামলায় ৩ আসামি মোমেন, সুমন ও ফাহাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। হত্যা মামলার অপর ৬ আসামির মধ্যে হৃদয় মিয়া ও তফসির মিয়াকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এছাড়াও আসামি সবুজ, তারেক মিয়া, রনেল ও আমিনুল ইসলামকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। জানাযায়, ২০১১ সালের ২৯শে জুন একটি মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুষারকে হত্যা করা হয়। মামলার ৯ আসামির মধ্যে ৮ জন একটি ক্লাব থেকে মোবাইল চুরি করে। এটি তুষারের বড় ভাই দেখে ফেলে। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তুষারকে হত্যা করে। এব্যাপারে তুষারের মামা সাজ্জাদ মাহমুদ জিল্লু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। অপরদিকে বিজয়নগর উপজেলার ছতুরপুর এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক সোহরাব চৌধুরী হত্যা মামলার রায়ে মামলার ৩ আসামি মহররম আলী, মো. আলমগীর ওরফে শাহিন ও আবদুল কাদিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ২০১৫ সালের ২৩শে এপ্রিল একই উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা এলাকার একটি পুকুর থেকে সিএনজি অটোরিকশা চালক সোহরাবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দু’দিন আগে ২১শে এপ্রিল সে বাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে বের হয়। এ হত্যা ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মো. সাচ্চু চৌধুরী বিজয়নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিএনজি ছিনতাই করে নিতে হত্যা এবং জড়িতদের নামধাম বেরিয়ে আসে পুলিশের তদন্তে। আদালতে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।