দেশ বিদেশ
অধ্যাপক ফারুকের পাশে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
দুধ নিয়ে গবেষণা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুকের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘নিরাপদ খাদ্য চাই, ফারুক স্যারের পাশে দাঁড়াই’ প্রতিপাদ্যে এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুকের প্রতি বিদ্রূপাত্মক মন্তব্যকারী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেন। পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুজ জাহের, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ সৈকত, সমাজকর্মী মিজানুর রহমান, নিরাপদ খাদ্য চাই-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, রাইসা নাসের, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন অপু ও ডা. সুব্রত ঘোষ। মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান বলেন, এন্টিবায়োটিক হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। এ ওষুধের ব্যবহার যদি দুধের ভেতরে করা হয়, তার যে কি ভয়াবহতা তা আমরা সবাই জানি। অধ্যাপক ফারুক গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, দুধে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি আছে এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য তিনি তার গবেষণার ফল জানিয়ে দিয়েছেন। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কাজী ওয়াছি উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করা যায় কিনা তাতে গুরুত্ব দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে, তাকে অপমান করে তিনি আমাদেরও কলঙ্কিত করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা এই মন্তব্যকে সাধারণ মন্তব্য মনে করছি না। আমরা মনে করি তাকে অপসারণ করা দরকার। তার শাস্তি হওয়া দরকার। পাশাপাশি গবেষণার ফল নিয়ে যদি কোনো সন্দেহ থাকে তবে আরেকটি গবেষণা করা যেতে পারে, তবে তা যেন নিরপেক্ষ একটি সংস্থা দিয়ে করা হয়। তিনি বলেন, বিএসটিআইয়ের এন্টিবায়োটিক টেস্ট করার কোনো সক্ষমতা নেই বলে আমরা শুনেছি। অনতিবিলম্বে বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হোক এবং সেখানে সৎ লোক নিয়োগ দেয়া হোক। ভেজালমুক্ত দুধ যাতে খেতে পারি সরকারের প্রতি সে দাবি জানাচ্ছি। অধ্যাপক ডা. মো. আবদুজ জাহের বলেন, প্রশ্ন এসেছে ফারুক স্যারের স্টাডি ডিজাইন নিয়ে। স্টাডি ডিজাইন নিয়ে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত গবেষণা হয়েছে, সবগুলো নিয়েই কিছু না কিছু কথা আছে। আমার ডিজাইন আর অন্যের ডিজাইন এক হবে না। যদি কোনো গবেষণা আপনি ভুল প্রমাণ করতে চান, তবে সেটাকে আরেকটা গবেষণা দিয়েই প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু যে লোকটার বিদ্যা, বুদ্ধি বা বিজ্ঞান গবেষণার সঙ্গে কোনো সম্পর্কই নেই, সে প্রাণী সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ওয়াছি উদ্দিন ফারুক স্যারের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ফারুক স্যার যে পরীক্ষা করেছেন, সেটা হলো জনস্বাস্থ্য সম্পৃক্ত।