ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

বিশ্বকাপে ‘ফ্লপ’ একাদশ

স্পোর্টস ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

এবারের বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসন, মিচেল স্টার্করা। তবে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ খেলোয়াড়দের তালিকাটাও ছোট নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফ্লপ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একাদশটা কেমন হবে?
১. মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ: ১০
রান: ১৮৬ রান
গড়: ২০.৬৬
সর্বোচ্চ: ৭৩ রান
এবারের বিশ্বকাপে নিজেকে ঠিক মেলে ধরতে পারেননি মার্টিন গাপটিল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি তুলে নিলেও পরে খেই হারিয়ে বাসেছেন। রানে ফিরবেন এমনটাই আশাছিল সমর্থকদের। ফাইনালের আগে নিজেও জানিয়ে ছিলেন রান ফেরার জন্য ব্যাকুল তিনি। কিন্তু ফাইনালেও ব্যার্থ গাপটিল। করেছেন মাত্র ১৯ রান। গত বিশ্বকাপে গাপটিল ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
২. গুলবদিন নাইব (আফগানিস্তান)
ম্যাচ: ৯
রান: ১৯৪ রান
গড়: ২১.৫৫
সর্বোচ্চ: ৪৭
বিশ্বকাপের আগে অনেকটা হুট করেই আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন গুলবদিন নাইব। নতুন দায়িত্ব পেয়েই যেন ঠিক করে নিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে দলের সব দায়িত্ব একার কাঁধেই তুলে নেবেন! নতুন বল যেমন নিয়মিতভাবে হাতে নিয়েছেন, তেমনি প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে নেমে গেছেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু ওপেনিংয়ে নেমে সফল হতে পারেননি মোটেও।
৩. এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ম্যাচ: ৮
রান: ১৪০
গড়: ২৩.৩৩
সর্বোচ্চ: ৪৫
ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপটা বেশ বাজে গেল এইডিম মার্করামের। ব্যাটিংয়ে বড় ভরসার নাম ছিল মার্করাম। কিন্তু ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থ। ৮ ম্যাচে দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগে আউট হয়েছেন চারবার। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে।
৪. কুসাল মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা)
ম্যাচ: ৭
রান: ১৪৩ রান
গড়: ২০.৪২
সর্বোচ্চ: ৪৬
শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন-আপে টেকনিকের দিক থেকে সেরা ব্যাটসম্যান সম্ভবত ছিলেন কুশল মেন্ডিস। মেন্ডিসের ওপর অনেকটা ভরসা ছিল লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্টেরও। কিন্তু চরমভাবে হতাশ করেছেন মেন্ডিস।







৫. টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ: ৯
রান: ১০৮
গড়: ১৫.৪২
সর্বোচ্চ: ৫৭
বিশ্বকাপের জন্য ল্যাথামকে প্রায় বছর দু-এক সময় নিয়ে তৈরি করেছে নিউজিল্যান্ড। টেস্টে যিনি ওপেনার, ওয়ানডেতে সেই লাথামকেই নিয়মিত পাঁচে খেলিয়ে প্রস্তুত করেছিল নিউজিল্যান্ড। ল্যাথামও মানিয়ে নিয়েছিলেন, মিডল অর্ডারে রস টেলরের সঙ্গে জুটি গড়ে বেশ কিছু ভালো ইনিংসও খেলেছেন। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৬. সরফরাজ আহমেদ (পাকিস্তান)
ম্যাচ: ৮
রান: ১৪৩
গড়: ২৮.৬০
সর্বোচ্চ: ৫৫
সরফরাজের নেতৃত্বেই ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। দুই বছর পর আরেকটি বিশ্বকাপ যখন সেই ইংল্যান্ডেই, সরফরাজের ওপরই ভরসা করেছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক হিসেবে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি, দলকে সেমিফাইনালে তুলতে পারেননি। কিন্তু অধিনায়ক সরফরাজের চেয়েও বেশি হতাশ করেছেন ব্যাটসম্যান সরফরাজ। ব্যাট হাতে দলের প্রয়োজনে তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। ৮ ইনিংসে বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৯টি!
৭. থিসারা পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)
ম্যাচ: ৬
রান: ৮৮
গড়: ১০.১৬
উইকেট: ১
হার্ড হিটার পেরেরার ওপর অনেক আস্থা রেখেই বিশ্বকাপে এসেছিল শ্রীলঙ্কা। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি পেরেরা, ৬ ইনিংসে ব্যাট করে রান করেছেন মাত্র ৮৮! গড় তো ১৫ এরও নিচে। ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতা যে বল হাতে পুষিয়ে দেবেন, সেটিও পারেননি। পুরো বিশ্বকাপে পেরেরার নামের পাশে উইকেট জমা পড়েছে মাত্র ১টি।
৮. মাশরাফি বিন মুর্তজা (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ৮
উইকেট: ১ উইকেট
ইকোনোমি: ৬.৪৪
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বটা ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার কাঁধেই। কিন্তু সে দায়িত্বে ছিলেন পুরোপুরি ফ্লপ। ৮ ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ৫৬ ওভার বল করেছেন তিনি, উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১টি। একটি উইকেটের জন্য গড়ে ৩৬১ রান খরচ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বাজে গড়ের নতুন রেকর্ডই এটি।
৯. হাসান আলী (পাকিস্তান)
ম্যাচ: ৪
উইকেট: ২
ইকোনমি: ৭.৭৫
বাজে বোলিংয়ে বিশ্বকাপে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেই একাদশ থেকে বাদ পড়তে হয়েছে পাকিস্তান পেসার হাসাল আলীকে। ৪ ম্যাচে ২৫৬ রান খরচায় মাত্র ২টি উইকেট তুলেছেন এ ডানহাতি পেসার। প্রতি উইকেটের জন্য তাকে খরচ করতে হয়েছে ১২৮ রান।
১০. রশিদ খান (আফগানিস্তান)
ম্যাচ: ৯
উইকেট: ৬
ইকোনমি: ৫.৭৯
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নাম্বার ওয়ান বোলার রাশিদ খান। তার লেগ স্পিনে কুপোকাত বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ। তাই রাশিদ খানের ওপর একটু বেশী আগ্রহ ছিল ক্রিকেট ভক্তদের। রশিদ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে কেমন করেন। কিন্তু এবার রীতিমতো লজ্জার রেকর্ড গড়ে হতাশ করেছেন আফগান এই লেগি। ৮ ইনিংসে বল করে মাত্র ৬ উইকেট পেয়েছেন রশিদ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করার রেকর্ডটি এখন রশিদের। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয় হজম করার রেকর্ডও তার নামে।
১১. কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ম্যাচ: ৯
উইকেট: ১১ উইকেট
ইকোনমি: ৫.০৮
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারির তালিকায় অনেকেই রেখেছিলেন রাবাদাকে। কিন্তু পারেননি তিনি। তার মাপের বোলারের নামের পাশে ৮ ইনিংসে ১১ উইকেট একেবারেই বেমানান। দলের ভীষণ প্রয়োজনের সময় ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতেও ছিলেন অনেকটা নিষ্প্রভ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status