দেশ বিদেশ
অপসারিত হলেন নওয়াজকে কারাদণ্ড দেয়া বিচারক
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ৭:৩০ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড দেয়া জবাবদিহি আদালতের বিচারক আরশাদ মালিককে অপসারণ করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে নওয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন তিনি। সম্প্রতি নওয়াজের কন্যা মরিয়ম নওয়াজ এক সঙ্গবাদ সম্মেলনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে আরশাদকে নওয়াজের দলের এক নেতার সঙ্গে আলোচনাকালে বলতে শোনা যায়, চাপের মুখে নওয়াজকে ওই রায় দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এরপরই তাকে অপসারণ করা হয়। যদিও আরশাদ পরবর্তীতে মরিয়মের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার এই বিবৃতিতে আরশাদের অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, মরিয়মের প্রকাশ করা ভিডিওটি প্রথমে ভুয়া ও অবৈধ বলে দাবি করে ইমরান খানের সরকার। সেটি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এমনকি মরিয়মের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মরিয়ম বলেন, তাদের দলের এক নেতা নাসির ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনাকালে আরশাদ বলেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল নওয়াজের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার জন্য। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে তার গোপন মুহূর্তের কিছু ভিডিও ফুটেজ ছিল। পরবর্তীতে নাসিরের সঙ্গে পরিচয় থাকার বিষয় স্বীকার করেন আরশাদ। তবে ব্ল্যাকমেইলের বক্তব্য করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। উল্টো নওয়াজ পরিবারের বিরুদ্ধে তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, নওয়াজ শরিফকে খালাস করে দিতে তাকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে নওয়াজের পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত ভিডিওটিতে আরশাদকে ক্ষণিকের জন্য দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ অংশজুড়েই কেবল তার গলার আওয়াজ শোনা গেছে। এতে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এদিকে, ভিডিওটিতে আরশাদের বক্তব্য নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) বলেছে, আরশাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় বা আইএইচসি সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে, আরশাদ মালিককে অপসারণের পর পরই নওয়াজ শরিফকে মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
দলের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দেয়া কারাদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত বছর নিজের আয়ের উৎস নিয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ ও হিসাব দিতে না পারায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন নওয়াজ।
খবরে বলা হয়, মরিয়মের প্রকাশ করা ভিডিওটি প্রথমে ভুয়া ও অবৈধ বলে দাবি করে ইমরান খানের সরকার। সেটি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এমনকি মরিয়মের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারও বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। মরিয়ম বলেন, তাদের দলের এক নেতা নাসির ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনাকালে আরশাদ বলেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল নওয়াজের বিরুদ্ধে রায় দেয়ার জন্য। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে তার গোপন মুহূর্তের কিছু ভিডিও ফুটেজ ছিল। পরবর্তীতে নাসিরের সঙ্গে পরিচয় থাকার বিষয় স্বীকার করেন আরশাদ। তবে ব্ল্যাকমেইলের বক্তব্য করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। উল্টো নওয়াজ পরিবারের বিরুদ্ধে তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, নওয়াজ শরিফকে খালাস করে দিতে তাকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে নওয়াজের পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত ভিডিওটিতে আরশাদকে ক্ষণিকের জন্য দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ অংশজুড়েই কেবল তার গলার আওয়াজ শোনা গেছে। এতে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এদিকে, ভিডিওটিতে আরশাদের বক্তব্য নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) বলেছে, আরশাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত করা হবে কিনা সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় বা আইএইচসি সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে, আরশাদ মালিককে অপসারণের পর পরই নওয়াজ শরিফকে মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)।
দলের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দেয়া কারাদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা উচিত।
উল্লেখ্য, গত বছর নিজের আয়ের উৎস নিয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ ও হিসাব দিতে না পারায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন নওয়াজ।