দেশ বিদেশ
যশোরে সিজারে নবজাতকের মাথায় কাঁচির আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
যশোরের ক্লিনিকে এক প্রসূতির সিজার করার সময় গর্ভের সন্তানের মাথায় কাঁচির আঘাতে ক্ষত সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ডা. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনার দুই দিন পর শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে গতকাল সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যশোর সদরের সতীঘাটা পান্থাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইকরাম হোসেনের স্ত্রী নাজনীন নাহার ১০ই জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তি হন ডা. আতিকুর রহমানের মালিকানাধীন কিংস হাসপাতালে। ইকরাম হোসেন জানান, ‘ভর্তির পরপরই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ডা. আতিকুর রহমান তার স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। অপারেশন করার সময় গর্ভে থাকা শিশুটির মাথায় অপারেশন কাজে ব্যবহৃত কাঁচির পোচ লাগে। মাথার চাদিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।’ স্বজনরা নবজাতকের মাথায় রক্ত দেখে একটু উত্তেজিত হয়ে উঠলে ডা. আতিক তাদের ধমক দিয়ে বলেন, ‘এটা কিছু না, সামান্য ব্যাপার। নখের আঁচড়, এমন হয়ে থাকে। ওই অবস্থায় দুই দিন তার হাসপাতালে রেখে দেন শিশুটিকে। গুরুত্ব দিয়ে আলাদা কোনো চিকিৎসা দেয়া বা বিষেশজ্ঞ কোনো ডাক্তার দেখানো হয়নি। শিশুর পিতা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে খাওয়া ছেড়ে দিলে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তখনও কিংস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই শিশুটির চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং শুক্রবার সকালে কর্তৃপক্ষ শিশু ও তার মাকে ডিসচার্জ করে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করে। শিশুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার পিতা শুক্রবার সকাল ১০টায় তাকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, শিশুটির মাথায় কিছুটা কাটা রয়েছে। কি কারণে কাটা হয়েছে, তা জানি না। এ ব্যাপারে ডা. আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এটা তেমন কোনো বড় ঘটনা না। এটা অপারেশনের সময় হতেই পারে। জানা গেছে, ডা. আতিকুর রহমান গাইনি বিশেষজ্ঞ নন। তিনি ছিলেন যশোর হাসপাতালের একজন জেনারেল মেডিকেল অফিসার।
অথচ তিনি নিজে হাসপাতাল খুলে সেখানে সব ধরনের অপারেশন করছেন। এর আগেও ভুল অপারেশনে এই হাসপাতালে একাধিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুটির পরিবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অথচ তিনি নিজে হাসপাতাল খুলে সেখানে সব ধরনের অপারেশন করছেন। এর আগেও ভুল অপারেশনে এই হাসপাতালে একাধিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুটির পরিবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।